মুন্সীগঞ্জের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মহেষপুর এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ, ককটেল বিষ্ফোরণ ও গুলি বিনিময় এবং বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনই গত বৃহস্পতিবার (১৪এপ্রিল) সকাল থেকে শফীক মেম্বার ও জাহাঙ্গীর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁেধ।

স্থানীয়রা জানিয়েছে শফিক মেম্বার ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার মোফাজ্জল হালদার ও রহমান সরকারের বাড়িঘরসহ তিনটি ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট এবং একটি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এলাকায় ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক তৈরী করে বাড়িঘরে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করে অত্র এলাকায় আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সমর্থকরা।

এ বিষয়ে আওয়ামীলীগের নেতা জাহাঙ্গীর জানান, শফীক মেম্বার বর্তমানে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। স্থানীয় নির্বাচনের পর থেকে আমাদেরকে গ্রাম থেকে বের করে দেয়। পুলিশ প্রশাসন গিয়ে একবার আমাদেরকে আমাদের বাড়িঘরে উঠিয়ে দিয়ে আসে। পরবর্তীতে আবার তারা হামলা, ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে লুটপাট করে আমার সমর্থকদের এলাকাছাড়া করে দেয়। পরবর্তী আবারও দলীয়ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য নেতারা আমাদেরকে বাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে আসলেও রিপন পাটোয়ারির নির্দেশে শফিক মেম্বার ও তার লোকজন সেহরীর পরেই এলাকায় ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর করে লুটপাট করে এলাকা ছাড়া করে দেয় আওয়ামী সমর্থক নেতাকর্মীদের। সফিক মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারী তার সেল ফোনে জানান, জাহাঙ্গীর ও শফীক মেম্বার ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

তবে এসআই আবুল বাশেরর উপস্থিতিতেই এই হামলা ও ভাংচুর ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটে। তিনি আরো বলেন, সদর থানার ওসি আবু বকর ছিদ্দিকের নির্দেশেই এই হামলা ও ভাংচুর লুটপাট হচ্ছে এলাকায়।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মো: আবু বকর ছিদ্দিক জানিয়েছেন মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারির সমর্থকরাই আজকের হামলা চালিয়েছে।