কঠোর নিরাপত্তায় শান্তিপূর্ণভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে সারাদেশে উদযাপন করা হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। রাজধানীসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে সারাদেশে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। বিভাগীয় শহর, মেট্টোপলিটন এলাকা, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পহেলা বৈশাখ নির্বিঘেœ করতে সার্বিকভাবে নিরাপত্তা গড়ে তোলার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানদের। যেসব এলাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়েছে সে সব এলাকায় আগ থেকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পোশাকে, সিভিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট মাঠ পর্যায়ে তৎপর ছিল।

পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন্স অ্যান্ড মিডিয়া) হায়দার আলী জানান, বাঙালির প্রাণের উৎসব ধরা হয় পহেলা বৈশাখকে। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সংষ্কৃতির ধারকও বাহক। প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও পহেলা বৈশাখ নির্বিঘেœ উদযাপন করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মনিটরিং করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা, জঙ্গি হামলাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মাথায় রেখে আগ থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছিল। বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের নির্দেশনা মোতাবেক আগে থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়াকড়ি থাকায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, বিশেষ করে রোজার দিনে পহেলা বৈশাখ উৎসব পড়ে যাওয়ায় একটু দুশ্চিন্তা ছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপন নিয়ে। কিন্তু কোন সমস্যা হয়নি। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ সম্মিলিতভাবে বৈশাখ উদযাপন করেছে। মূলত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তরিক ছিল।

পুলিশের কর্মকর্তা বলছেন, নির্মল করার বার্তা নিয়ে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে সারাদেশে। এবার শোভাযাত্রার ধরনও ছিল ভিন্ন। প্রতি বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার সবচেয়ে বড় আয়োজন হয় ঢাকায়। ঢাকায় এর নিরপত্তার জন্য বড় ব্যবস্থা নিতে হয়। এবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে ভিসি চত্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয় শোভাযাত্রার পথ। তাতে ছিল তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সামনে র?্যাব, সোয়াট টিম, তারপর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং তৃতীয় স্তরে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছিলেন। এছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।

মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘিরে চতুর্দিকে ছিল নিরাপত্তা বলয়। যার ফলে শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার পর মাঝখান দিয়ে কেউ প্রবেশ করতে পারেনি। শোভাযাত্রায় পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের টিমও তৎপর ছিল। এছাড়া স্কাউটস এবং বিএনসিসির সদস্যরাও এখানে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

শনিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২২ , ০৩ বৈশাখ ১৪২৮ ১৪ রমাদ্বান ১৪৪৩

কঠোর নিরাপত্তায় শান্তিপূর্ণভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে সারাদেশে উদযাপন করা হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। রাজধানীসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে সারাদেশে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। বিভাগীয় শহর, মেট্টোপলিটন এলাকা, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পহেলা বৈশাখ নির্বিঘেœ করতে সার্বিকভাবে নিরাপত্তা গড়ে তোলার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানদের। যেসব এলাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়েছে সে সব এলাকায় আগ থেকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পোশাকে, সিভিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট মাঠ পর্যায়ে তৎপর ছিল।

পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন্স অ্যান্ড মিডিয়া) হায়দার আলী জানান, বাঙালির প্রাণের উৎসব ধরা হয় পহেলা বৈশাখকে। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সংষ্কৃতির ধারকও বাহক। প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও পহেলা বৈশাখ নির্বিঘেœ উদযাপন করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মনিটরিং করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা, জঙ্গি হামলাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মাথায় রেখে আগ থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছিল। বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের নির্দেশনা মোতাবেক আগে থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়াকড়ি থাকায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, বিশেষ করে রোজার দিনে পহেলা বৈশাখ উৎসব পড়ে যাওয়ায় একটু দুশ্চিন্তা ছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপন নিয়ে। কিন্তু কোন সমস্যা হয়নি। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ সম্মিলিতভাবে বৈশাখ উদযাপন করেছে। মূলত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তরিক ছিল।

পুলিশের কর্মকর্তা বলছেন, নির্মল করার বার্তা নিয়ে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে সারাদেশে। এবার শোভাযাত্রার ধরনও ছিল ভিন্ন। প্রতি বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার সবচেয়ে বড় আয়োজন হয় ঢাকায়। ঢাকায় এর নিরপত্তার জন্য বড় ব্যবস্থা নিতে হয়। এবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে ভিসি চত্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয় শোভাযাত্রার পথ। তাতে ছিল তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সামনে র?্যাব, সোয়াট টিম, তারপর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং তৃতীয় স্তরে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছিলেন। এছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।

মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘিরে চতুর্দিকে ছিল নিরাপত্তা বলয়। যার ফলে শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার পর মাঝখান দিয়ে কেউ প্রবেশ করতে পারেনি। শোভাযাত্রায় পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের টিমও তৎপর ছিল। এছাড়া স্কাউটস এবং বিএনসিসির সদস্যরাও এখানে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।