এএফসি কাপ : আবাহনী কলকাতা যাচ্ছে আজ

মালদ্বীপের ভ্যালেন্সিয়া সিলেটে খেলতে না আসায় এএফসি কাপের প্রথম প্লে-অফে ওয়াকওভার পায় আবাহনী লিমিটেড। এবার তাদের মিশন দ্বিতীয় প্লে-অফ। প্রতিপক্ষ কলকাতায় অন্যতম জায়ান্ট মোহানবাগান। এই ম্যাচে জিততে পারলেই আকাশি হলদুদের মিলবে এএফসি কাপে চূড়ান্ত পর্বের টিকিট। সে লক্ষ্য নিয়ে আজ কলকাতার উদ্দেশ্যের রওয়ানা হবেন নাবীব নেওয়াজ জীবনরা। গত মঙ্গলবার সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

চূড়ান্ত পর্বে উঠার লড়াইয়ের এ ম্যাচকে ঘিরে উš§াদনা বইছে দুই দেশেই। প্রতিপক্ষ মোহনবাগান শক্তিশালী হলেও ভারতের ক্লাবগুলোর বিপক্ষে অতীত পারফরম্যান্সে আশাবাদী আবাহনীর পর্তুগীজ কোচ মারিও লেমোস। আইএসএলে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকলেও পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালের ৩১ মে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। আর এবারের এই ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্লে-অফ পর্ব। যারা জিতবে তারাই খেলবে ডি-গ্রুপে। যেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, ভারতের গোকুলাম কেরালা ও মাল™^ীপের মাজিয়া স্পোর্টস। তবে গ্রুপ পর্ব নয়, এখন আবাহনী কোচ মারিও লেমোসের ভাবনায় মোহনবাগান ম্যাচ, ‘আমি সবসময়ই বাস্তববাদী এবং আমার মনে হয় মোহনবাগানের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচটি খুব কঠিন হবে। ওরা খুবই ভালো দল, কিন্তু আমিও বিশ^াস করি, সবসময় আমাদের জয়ের সুযোগ রয়েছে।’

মোহনবাগানের সঙ্গে লড়াইয়ের আগে আবাহনীর প্রেরণায় ২০১৯ সালের এএফসি কাপ। ওই আসরে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার কীর্তি গড়েছিল তারা। মিনারভা পাঞ্জাব এবং চেন্নাইনের মতো দলকে পিছনে ফেলেছিল আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। তবে এবার ম্যাচটি মোহনবাগান খেলবে তাদেরই ঘরের মাঠে। স্বাগতিক দর্শক, চেনা মাঠ হওয়ায় সবকিছুই তাদের অনুকূলে। আর দলটির চার বিদেশি ছাড়াও স্থানীরা রয়েছেন দারুণ ছন্দে। তবে আবাহনীর জন্য দুর্ভাবনা দলটির ব্রাজিলিয়ান তারকা ডরিয়েলটন। চোটে ভুগতে থাকা এই ফরোয়ার্ড মোহনবাগানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাওয়া নিয়ে সংশয় আছে। শেষ পর্যন্ত ডরিয়েলটন খেলতে না পারলে বাকিদের নিয়ে জয় পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী লেমোস, ‘প্রতিটি বিভাগেই মোহনবাগান ভাল। এটা নিয়ে কোন সংশয় নেই। আমরাও কম নই। দল ভাল অবস্থায় আছে। আমি মনে করি পুরো দল উজ্জীবিত হয়ে খেলতে পারলে জয় পাওয়া সম্ভব।’

মোহনবাগান আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে। ১৯ এপ্রিল ঢাকা আবাহনী ও মোহনবাগানের মধ্যকার ম্যাচের জয়ী দল মূল পর্বে খেলবে। ১৮-২৪ মে এএফসি কাপের ডি গ্রুপের মূল পর্ব হবে কলকাতাতেই। সেখানে সরাসরি জায়গা নিশ্চিত করা তিন দল বসুন্ধরা কিংস, গোকুলাম কেরালা ও মাজিয়া স্পোর্টস।

শনিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২২ , ০৩ বৈশাখ ১৪২৮ ১৪ রমাদ্বান ১৪৪৩

এএফসি কাপ : আবাহনী কলকাতা যাচ্ছে আজ

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

মালদ্বীপের ভ্যালেন্সিয়া সিলেটে খেলতে না আসায় এএফসি কাপের প্রথম প্লে-অফে ওয়াকওভার পায় আবাহনী লিমিটেড। এবার তাদের মিশন দ্বিতীয় প্লে-অফ। প্রতিপক্ষ কলকাতায় অন্যতম জায়ান্ট মোহানবাগান। এই ম্যাচে জিততে পারলেই আকাশি হলদুদের মিলবে এএফসি কাপে চূড়ান্ত পর্বের টিকিট। সে লক্ষ্য নিয়ে আজ কলকাতার উদ্দেশ্যের রওয়ানা হবেন নাবীব নেওয়াজ জীবনরা। গত মঙ্গলবার সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

চূড়ান্ত পর্বে উঠার লড়াইয়ের এ ম্যাচকে ঘিরে উš§াদনা বইছে দুই দেশেই। প্রতিপক্ষ মোহনবাগান শক্তিশালী হলেও ভারতের ক্লাবগুলোর বিপক্ষে অতীত পারফরম্যান্সে আশাবাদী আবাহনীর পর্তুগীজ কোচ মারিও লেমোস। আইএসএলে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকলেও পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালের ৩১ মে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। আর এবারের এই ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্লে-অফ পর্ব। যারা জিতবে তারাই খেলবে ডি-গ্রুপে। যেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, ভারতের গোকুলাম কেরালা ও মাল™^ীপের মাজিয়া স্পোর্টস। তবে গ্রুপ পর্ব নয়, এখন আবাহনী কোচ মারিও লেমোসের ভাবনায় মোহনবাগান ম্যাচ, ‘আমি সবসময়ই বাস্তববাদী এবং আমার মনে হয় মোহনবাগানের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচটি খুব কঠিন হবে। ওরা খুবই ভালো দল, কিন্তু আমিও বিশ^াস করি, সবসময় আমাদের জয়ের সুযোগ রয়েছে।’

মোহনবাগানের সঙ্গে লড়াইয়ের আগে আবাহনীর প্রেরণায় ২০১৯ সালের এএফসি কাপ। ওই আসরে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার কীর্তি গড়েছিল তারা। মিনারভা পাঞ্জাব এবং চেন্নাইনের মতো দলকে পিছনে ফেলেছিল আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। তবে এবার ম্যাচটি মোহনবাগান খেলবে তাদেরই ঘরের মাঠে। স্বাগতিক দর্শক, চেনা মাঠ হওয়ায় সবকিছুই তাদের অনুকূলে। আর দলটির চার বিদেশি ছাড়াও স্থানীরা রয়েছেন দারুণ ছন্দে। তবে আবাহনীর জন্য দুর্ভাবনা দলটির ব্রাজিলিয়ান তারকা ডরিয়েলটন। চোটে ভুগতে থাকা এই ফরোয়ার্ড মোহনবাগানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাওয়া নিয়ে সংশয় আছে। শেষ পর্যন্ত ডরিয়েলটন খেলতে না পারলে বাকিদের নিয়ে জয় পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী লেমোস, ‘প্রতিটি বিভাগেই মোহনবাগান ভাল। এটা নিয়ে কোন সংশয় নেই। আমরাও কম নই। দল ভাল অবস্থায় আছে। আমি মনে করি পুরো দল উজ্জীবিত হয়ে খেলতে পারলে জয় পাওয়া সম্ভব।’

মোহনবাগান আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে। ১৯ এপ্রিল ঢাকা আবাহনী ও মোহনবাগানের মধ্যকার ম্যাচের জয়ী দল মূল পর্বে খেলবে। ১৮-২৪ মে এএফসি কাপের ডি গ্রুপের মূল পর্ব হবে কলকাতাতেই। সেখানে সরাসরি জায়গা নিশ্চিত করা তিন দল বসুন্ধরা কিংস, গোকুলাম কেরালা ও মাজিয়া স্পোর্টস।