চবির শাটলে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ হোক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের প্রাণভোমরা শাটল এখন পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। চলন্ত শাটলে এলোপাতাড়ি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা শঙ্কিত করে তুলছে শিক্ষার্থীদের। বহিরাগতদের উৎপাতের সঙ্গে সঙ্গে সমানুপাতিক হারে বাড়ছে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার শঙ্কা। দুর্বৃত্তরা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে চলন্ত শাটলে পাথর নিক্ষেপ করে নিছক আনন্দ পেলেও, ছুড়ে মারা পাথর কোনো কোনো পরিবারের জন্য সারা জীবনের দুর্দশা।

‘সতর্কীকরণ ব্যবস্থা’, ‘নিরাপদ’ ও ‘নিরাপত্তা’ শব্দ তিনটি আমাদের অভিধানে আছে কিন্তু বাস্তবে নেই বললেই চলে। কারো জীবনের বিনিময়ে গণমাধ্যমে কিছুদিন হৈ হুল্লোড় চলে পরে আবার সব ধামাচাপা পরে যায়। একদিকে কর্তৃপক্ষ দেখে দেখে তন্দ্রাবিলাস করছে, অন্যদিকে চবির শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার হার বাড়ছে।

পাথর ছুড়ে মারার হটস্পট কিংবা এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। তার আগে রেললাইনের পাশের বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করা জরুরি। তাছাড়া জনসচেতনতার পাশাপাশি যেসব জায়গায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি সেসব জায়গায় পুলিশি নজরদারিও বাড়ানো উচিত। সর্বশেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, চলন্ত শাটলে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করতে একটি সময়োপযোগী ব্যবস্থা নিন।

মিজবাহুল জান্নাত তারিন

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

শনিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২২ , ০৩ বৈশাখ ১৪২৮ ১৪ রমাদ্বান ১৪৪৩

চবির শাটলে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ হোক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের প্রাণভোমরা শাটল এখন পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। চলন্ত শাটলে এলোপাতাড়ি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা শঙ্কিত করে তুলছে শিক্ষার্থীদের। বহিরাগতদের উৎপাতের সঙ্গে সঙ্গে সমানুপাতিক হারে বাড়ছে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার শঙ্কা। দুর্বৃত্তরা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে চলন্ত শাটলে পাথর নিক্ষেপ করে নিছক আনন্দ পেলেও, ছুড়ে মারা পাথর কোনো কোনো পরিবারের জন্য সারা জীবনের দুর্দশা।

‘সতর্কীকরণ ব্যবস্থা’, ‘নিরাপদ’ ও ‘নিরাপত্তা’ শব্দ তিনটি আমাদের অভিধানে আছে কিন্তু বাস্তবে নেই বললেই চলে। কারো জীবনের বিনিময়ে গণমাধ্যমে কিছুদিন হৈ হুল্লোড় চলে পরে আবার সব ধামাচাপা পরে যায়। একদিকে কর্তৃপক্ষ দেখে দেখে তন্দ্রাবিলাস করছে, অন্যদিকে চবির শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার হার বাড়ছে।

পাথর ছুড়ে মারার হটস্পট কিংবা এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। তার আগে রেললাইনের পাশের বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করা জরুরি। তাছাড়া জনসচেতনতার পাশাপাশি যেসব জায়গায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি সেসব জায়গায় পুলিশি নজরদারিও বাড়ানো উচিত। সর্বশেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, চলন্ত শাটলে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করতে একটি সময়োপযোগী ব্যবস্থা নিন।

মিজবাহুল জান্নাত তারিন

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়