ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষা কাজে ১৯ ও ২০ নম্বর ব্লকে (নলছিয়া অংশের) নিয়ম ভঙ্গ করে দলা মাটি মেশানো বালু দিয়ে জিও ব্যাগ ভর্তি করা হচ্ছে এবং শ্রমিকদের মজুরি, জমির মালিকেদের বালু রাখার টাকা পরিশোধ না করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করাসহ নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ এবং শ্রমিকদের মজুরির দাবিতে এলাকাবাসীসহ শ্রমিকরা গত বুধবার কাজের এলাকায় নদীর তীরে দাঁড়িয়ে মানববন্ধনও করেছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙ্গন হতে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলাধীন কাতলামারী ও সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দি এবং হলদিয়া এলাকা রক্ষা শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। উক্ত প্রকল্পের অধীনে হলদিয়া ইউনিয়নের নলছিায় এলাকায় যমুনা নদীর ডানতীর বরাবর বিআরই কিঃ মিঃ ৯৭.৯৭৩ কিঃ মিঃ মোট ২০০ মিটার স্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ ফেনির মেসার্স রহমানিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গত ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের ৫ তারিখে শুরু করে। কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার ৩৪৬ টাকা। উক্ত প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে শুষ্ক মৌসুমে নদীর তীরে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদার তীর থেকে একটু দূরে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলে জিও ব্যাগ ভর্তি করা হয়েছে। কোন কোন সময় দলা মাটি মেশানো বালু দিয়ে জিও ব্যাগ ভর্তি করা হয়েছে। তা নদীর তীরে ফেলা হয়েছে। ইতোমধ্যেই নদীতে পানি এসে ব্যাগগুলো ডুবে গেছে। মাটিগুলো পানিতে ধীরে ধীরে গলে জিও ব্যাগ খালি হলে ¯্রােতে ভেসে যাবে। নিম্নœমানের কাজের বাধা নিষেধ করলে ঠিকাদারের লোকজন উল্টো মামলা করার ভয় দেখায়। এখন নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এমতাবস্থা ঠিকাদার তার কাজ বন্ধ রেখে। ফলে নদী ভাঙ্গন শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হরে নদীর তীরবর্তী এলাকার বিপুলসংখ্যক আবাদি জমি ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হবে।

এছাড়া প্রকল্পের কাজে স্থানীয় একজন সাব ঠিকাদার মহা আলম জানান, নতীর তীর কাটিং, বালু, ভ্যাকু মেশিনের কাজ করে ঠিকাদারের কাছে ২১ লাখ টাকা পাওয়া। টিকাদারের কাছে টাকা চাইলে আজ-কাল বলে সময় ক্ষেপণ করছে। একই ধরনের অভিযোগ করলেন শ্রমিক সরদার মুকুল, আব্দুল ওয়ারেছসহ আরও অনেকে। তারা জানান টাকা না দিয়ে উল্টো ঠিকাদার আমাদের বিরুদ্ধে সাঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

কাজে অনিয়মের এবং শ্রমিকদের মজুরির টাকা পরিশোধ না করার ব্যাপারে টিকাদার প্রতিষ্ঠাানের স্বত্বাধিকারী জামাল জানান, শ্রমিক এবং এলাকাবাসীর অবিযোগ ভিত্তিহীন কাজে কোন অনিয়ম হয়নি শ্রমিকদের মজুরির টাকাও বাকি নেই। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রেজাউল করিম রেজা জানান, অনিয়মের সুযোগ নেই।

দলামাটি মেশানো বালু হলে আমরা গ্রহণ করিনা। তিনি কাজ বন্ধের ব্যাপারে বলেন কাজ বন্ধ নেই, চলছে।

রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২ , ০৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমাদ্বান ১৪৪৩

যমুনার তীর রক্ষা প্রকল্প

ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষা কাজে ১৯ ও ২০ নম্বর ব্লকে (নলছিয়া অংশের) নিয়ম ভঙ্গ করে দলা মাটি মেশানো বালু দিয়ে জিও ব্যাগ ভর্তি করা হচ্ছে এবং শ্রমিকদের মজুরি, জমির মালিকেদের বালু রাখার টাকা পরিশোধ না করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করাসহ নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ এবং শ্রমিকদের মজুরির দাবিতে এলাকাবাসীসহ শ্রমিকরা গত বুধবার কাজের এলাকায় নদীর তীরে দাঁড়িয়ে মানববন্ধনও করেছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙ্গন হতে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলাধীন কাতলামারী ও সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দি এবং হলদিয়া এলাকা রক্ষা শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। উক্ত প্রকল্পের অধীনে হলদিয়া ইউনিয়নের নলছিায় এলাকায় যমুনা নদীর ডানতীর বরাবর বিআরই কিঃ মিঃ ৯৭.৯৭৩ কিঃ মিঃ মোট ২০০ মিটার স্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ ফেনির মেসার্স রহমানিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গত ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের ৫ তারিখে শুরু করে। কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার ৩৪৬ টাকা। উক্ত প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে শুষ্ক মৌসুমে নদীর তীরে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদার তীর থেকে একটু দূরে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলে জিও ব্যাগ ভর্তি করা হয়েছে। কোন কোন সময় দলা মাটি মেশানো বালু দিয়ে জিও ব্যাগ ভর্তি করা হয়েছে। তা নদীর তীরে ফেলা হয়েছে। ইতোমধ্যেই নদীতে পানি এসে ব্যাগগুলো ডুবে গেছে। মাটিগুলো পানিতে ধীরে ধীরে গলে জিও ব্যাগ খালি হলে ¯্রােতে ভেসে যাবে। নিম্নœমানের কাজের বাধা নিষেধ করলে ঠিকাদারের লোকজন উল্টো মামলা করার ভয় দেখায়। এখন নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এমতাবস্থা ঠিকাদার তার কাজ বন্ধ রেখে। ফলে নদী ভাঙ্গন শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হরে নদীর তীরবর্তী এলাকার বিপুলসংখ্যক আবাদি জমি ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হবে।

এছাড়া প্রকল্পের কাজে স্থানীয় একজন সাব ঠিকাদার মহা আলম জানান, নতীর তীর কাটিং, বালু, ভ্যাকু মেশিনের কাজ করে ঠিকাদারের কাছে ২১ লাখ টাকা পাওয়া। টিকাদারের কাছে টাকা চাইলে আজ-কাল বলে সময় ক্ষেপণ করছে। একই ধরনের অভিযোগ করলেন শ্রমিক সরদার মুকুল, আব্দুল ওয়ারেছসহ আরও অনেকে। তারা জানান টাকা না দিয়ে উল্টো ঠিকাদার আমাদের বিরুদ্ধে সাঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

কাজে অনিয়মের এবং শ্রমিকদের মজুরির টাকা পরিশোধ না করার ব্যাপারে টিকাদার প্রতিষ্ঠাানের স্বত্বাধিকারী জামাল জানান, শ্রমিক এবং এলাকাবাসীর অবিযোগ ভিত্তিহীন কাজে কোন অনিয়ম হয়নি শ্রমিকদের মজুরির টাকাও বাকি নেই। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রেজাউল করিম রেজা জানান, অনিয়মের সুযোগ নেই।

দলামাটি মেশানো বালু হলে আমরা গ্রহণ করিনা। তিনি কাজ বন্ধের ব্যাপারে বলেন কাজ বন্ধ নেই, চলছে।