সরকারি স্কুল-কলেজ ও শিক্ষা প্রশাসনের ২৫ শতাংশ পদই শূন্য

ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম

সরকারি হাইস্কুল, কলেজ ও শিক্ষা প্রশাসনের ২৫ শতাংশ পদই শূন্য রয়েছে। প্রতিমাসে গড়ে দেড় হাজার পদ খালি হচ্ছে। নিয়োগের নানা প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও শূন্য পদের সংখ্যা যেন কমছেই না। তবে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি দিয়ে আপাতত শূন্য পদের সংখ্যা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ‘জরুরি ভিত্তিতে’ সব শূন্য পূরণের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিভাগেই সাড়ে ১২ হাজার শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীনে ১৭টি অধিদপ্তর ও সংস্থায় ওই পদগুলো শূন্য রয়েছে। আরও চারটি শিক্ষা বোর্ডের শূন্য পদের তালিকা পায়নি এই বিভাগ। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের হালনাগাদ শূন্য পদের তালিকাও পায়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ শূন্য থাকায় প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। করোনা মহামারীতে ঠানা প্রায় দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নিয়োগ প্রক্রিয়াও কিছুটা পিছিয়ে গেছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের ১৭টি অধিদপ্তর ও সংস্থায় (সব সরকারি হাইস্কুল ও কলেজসহ) মোট ৪৯ হাজার ৪৫৭টি শিক্ষক-কর্মচারী ও কর্মকর্তার পদ রয়েছে। এর মধ্যে মার্চ পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৩৫৩টি পদ ফাঁকা ছিল। এ হিসাবে প্রায় ২৫ শতাংশ পদই শূন্য।

এ আগে গত ফেব্রুয়ারিতে মোট শূন্য পসের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৭৬৮টি। এ হিসাবে এক মাসে শূন্য পদ বেড়েছে এক হাজার ৫৮৫টি।

শিক্ষার বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ কার্যক্রম জোড়ালো করতে গত ২৩ মার্চ বিভিন্ন অধিদপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দিক। সম্প্রতি ওই সভার কার্যবিবরণী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বলেন, ‘ যেসব দপ্তর-সংস্থায় শূন্য পদ রয়েছে এবং পদোন্নতি প্রদানের সুযোগ রয়েছে তাদের পদোন্নতি প্রদানপূর্বক জরুরি ভিত্তিতে শূন্য পদ পূরণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যেসব বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের যেসব শিক্ষক-কর্মকর্তা পাঁচ বছরের অধিক সময় উচ্চশিক্ষা বা লিয়েনে বিদেশে অবস্থান করছেন তাদের তথ্য এবং বিদেশ হতে ফেরত আসার পর তাদের যোগদান ও পদায়ন সংক্রান্ত তথ্য এ বিভাগে থাকা প্রয়োজন।’

এছাড়া বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের যেসব কর্মকর্তা পাঁচ বছরের অধিক সময় নিজ নিজ ক্যাডারের বাইরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত আছেন তাদের প্রত্যাবর্তনের লক্ষে তালিকা জরুরি ভিত্তিতে প্রণয়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে সচিব আবু বকর ছিদ্দিক।

সবচেয়ে বেশি শূন্য পদ মাউশিতে

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীনে সবচেয়ে বেশি মোট ৪৩ হাজার ৭২৭টি শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ২৯৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এই সংস্থার অধীনে সারাদেশের সরকারি হাইস্কুল ও কলেজগুলো রয়েছে।

মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি হাইস্কুল ও কলেজগুলোতে ছয় থেকে সাত হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর পদ খালি রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক ন্যূনতম একজন শিক্ষকও নেই।

জনবল স্বল্পতায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী সংবাদকে বলেন, ‘বর্তমানে চার হাজার ৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সংকট অনেকটাই কেটে যাবে। আর ক্যাডার (সরকারি কলেজ শিক্ষক) এবং সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষক নিয়োগ দেয় পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। তারা বছর বছর নিয়োগ দিচ্ছে।’

অন্যান্য দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৪৭৭টি পদের মধ্যে শূন্য ১৭০টি; শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তিন হাজার ১৭৪টি পদের মধ্যে শূন্য দুই হাজার ৩১২টি এবং শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান বুরে‌্যার (ব্যানবেইস) ৮০৭টি পদের মধ্যে ১৭৮টি পদ শূন্য রয়েছে।

এর মধ্যে ইইডিতে এক হাজার ২৫০ জন কর্মী নিয়োগের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে সংস্থাটির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এছাড়া বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনে ৩২টি পদের মধ্যে ১২টি, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে ৩২টি পদের মধ্যে একটি, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলে ৬১টি পদের মধ্যে ৪৬টি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ৯৮টি পদের মধ্যে ৩৮টি, এনটিআরসিএতে ৬৯টি পদের মধ্যে সাতটি, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) ১৮২টি পদের মধ্যে ৪০টি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ৮৯টি, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরে (ডিআইএ) ১৩০টি পদের মধ্যে ৪২টি, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ২১৯টি পদের মধ্যে ৬৭টি, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ১৩৮টি পদের মধ্যে ৫৪টি পদ শূন্য রয়েছে।

রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২ , ০৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমাদ্বান ১৪৪৩

সরকারি স্কুল-কলেজ ও শিক্ষা প্রশাসনের ২৫ শতাংশ পদই শূন্য

ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম

রাকিব উদ্দিন

সরকারি হাইস্কুল, কলেজ ও শিক্ষা প্রশাসনের ২৫ শতাংশ পদই শূন্য রয়েছে। প্রতিমাসে গড়ে দেড় হাজার পদ খালি হচ্ছে। নিয়োগের নানা প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও শূন্য পদের সংখ্যা যেন কমছেই না। তবে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি দিয়ে আপাতত শূন্য পদের সংখ্যা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ‘জরুরি ভিত্তিতে’ সব শূন্য পূরণের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিভাগেই সাড়ে ১২ হাজার শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীনে ১৭টি অধিদপ্তর ও সংস্থায় ওই পদগুলো শূন্য রয়েছে। আরও চারটি শিক্ষা বোর্ডের শূন্য পদের তালিকা পায়নি এই বিভাগ। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের হালনাগাদ শূন্য পদের তালিকাও পায়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ শূন্য থাকায় প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। করোনা মহামারীতে ঠানা প্রায় দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নিয়োগ প্রক্রিয়াও কিছুটা পিছিয়ে গেছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের ১৭টি অধিদপ্তর ও সংস্থায় (সব সরকারি হাইস্কুল ও কলেজসহ) মোট ৪৯ হাজার ৪৫৭টি শিক্ষক-কর্মচারী ও কর্মকর্তার পদ রয়েছে। এর মধ্যে মার্চ পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৩৫৩টি পদ ফাঁকা ছিল। এ হিসাবে প্রায় ২৫ শতাংশ পদই শূন্য।

এ আগে গত ফেব্রুয়ারিতে মোট শূন্য পসের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৭৬৮টি। এ হিসাবে এক মাসে শূন্য পদ বেড়েছে এক হাজার ৫৮৫টি।

শিক্ষার বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ কার্যক্রম জোড়ালো করতে গত ২৩ মার্চ বিভিন্ন অধিদপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দিক। সম্প্রতি ওই সভার কার্যবিবরণী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বলেন, ‘ যেসব দপ্তর-সংস্থায় শূন্য পদ রয়েছে এবং পদোন্নতি প্রদানের সুযোগ রয়েছে তাদের পদোন্নতি প্রদানপূর্বক জরুরি ভিত্তিতে শূন্য পদ পূরণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যেসব বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের যেসব শিক্ষক-কর্মকর্তা পাঁচ বছরের অধিক সময় উচ্চশিক্ষা বা লিয়েনে বিদেশে অবস্থান করছেন তাদের তথ্য এবং বিদেশ হতে ফেরত আসার পর তাদের যোগদান ও পদায়ন সংক্রান্ত তথ্য এ বিভাগে থাকা প্রয়োজন।’

এছাড়া বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের যেসব কর্মকর্তা পাঁচ বছরের অধিক সময় নিজ নিজ ক্যাডারের বাইরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত আছেন তাদের প্রত্যাবর্তনের লক্ষে তালিকা জরুরি ভিত্তিতে প্রণয়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে সচিব আবু বকর ছিদ্দিক।

সবচেয়ে বেশি শূন্য পদ মাউশিতে

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীনে সবচেয়ে বেশি মোট ৪৩ হাজার ৭২৭টি শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ২৯৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এই সংস্থার অধীনে সারাদেশের সরকারি হাইস্কুল ও কলেজগুলো রয়েছে।

মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি হাইস্কুল ও কলেজগুলোতে ছয় থেকে সাত হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর পদ খালি রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক ন্যূনতম একজন শিক্ষকও নেই।

জনবল স্বল্পতায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী সংবাদকে বলেন, ‘বর্তমানে চার হাজার ৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সংকট অনেকটাই কেটে যাবে। আর ক্যাডার (সরকারি কলেজ শিক্ষক) এবং সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষক নিয়োগ দেয় পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। তারা বছর বছর নিয়োগ দিচ্ছে।’

অন্যান্য দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৪৭৭টি পদের মধ্যে শূন্য ১৭০টি; শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তিন হাজার ১৭৪টি পদের মধ্যে শূন্য দুই হাজার ৩১২টি এবং শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান বুরে‌্যার (ব্যানবেইস) ৮০৭টি পদের মধ্যে ১৭৮টি পদ শূন্য রয়েছে।

এর মধ্যে ইইডিতে এক হাজার ২৫০ জন কর্মী নিয়োগের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে সংস্থাটির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এছাড়া বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনে ৩২টি পদের মধ্যে ১২টি, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে ৩২টি পদের মধ্যে একটি, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলে ৬১টি পদের মধ্যে ৪৬টি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ৯৮টি পদের মধ্যে ৩৮টি, এনটিআরসিএতে ৬৯টি পদের মধ্যে সাতটি, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) ১৮২টি পদের মধ্যে ৪০টি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ৮৯টি, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরে (ডিআইএ) ১৩০টি পদের মধ্যে ৪২টি, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ২১৯টি পদের মধ্যে ৬৭টি, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ১৩৮টি পদের মধ্যে ৫৪টি পদ শূন্য রয়েছে।