ঈদে বঙ্গবন্ধু সেতুর সংযোগ সড়কে ভোগান্তির শঙ্কা

২২ কিলোমিটারের অবস্থা বেশ নাজুক ও ঝুঁকিপূর্ণ

ঈদ আসতে আর মাত্র হাতে গোনা কয়দিন বাকি। এরই মধ্যে বিভিন্ন সড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে গেছে। সামনে আরও বাড়বে। তাই জরুরি ভিত্তিতে সড়কের ছোটোখাটো সারাই সেরে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ছোটোখাটো সারাই সারালেও বঙ্গবন্ধু সেতুর সংযোগ সড়ক নিয়ে শঙ্কায় এ পথের যাত্রীসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তিন বছরে প্রকল্পে বঙ্গবন্ধু সেতু সংযোগ সড়কের কাজ শুরুর পর মেয়াদ শেষে অর্ধেক সম্পন্ন করতে পেরেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হেগো-মীর।

বঙ্গবন্ধু সেতুর সংযোগ সড়কের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটারের অবস্থা বেশ নাজুক। এই ২২ কিলোমিটারের নয়টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ, যা স্বয়ং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্বীকার করেছে।

এই ২২ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা সেতু এলাকা। মহাসড়ক চার লেনের হলেও পুরনো নলকা সেতু দুই লেনের। তাছাড়া সেতুর দুই পাশের রাস্তা ভাঙা হওয়ায় প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে। এই সেতুর পাশেই নির্মিত হচ্ছে নতুন একটি সেতু। নতুন সেতুর একটি লেন ২০ রোজার মধ্যেই খুলে দেয়া হবে বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে। হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ‘নতুন নলকা সেতু খুলে দিলে ভোগান্তি কমে যাবে। তাছাড়া হাটিকুমরুল থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত মহাসড়কের ছয়টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান ঈদের আগে মেরামত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো যান চলাচলের উপযোগী করতে দ্রুতগতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানালেও এই সময়ের মধ্যে তারা কাজ শেষ করতে পারবেন কি-না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হেগো-মীর আখতারের জয়েন্ট ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপক মো. এখলাস উদ্দিন।

২০১৯ সালের এপ্রিলে তারা এই কাজ শুরু করলেও সময়ের মধ্যে কেন কাজটা শেষ করতে পারেননি সে বিষয়ে এখলাস উদ্দিন সঠিকভাবে কোন উত্তর দিতে পারেননি।

এই সংযোগ সড়কটি যথাযথভাবে সময়ে সম্পন্ন না হওয়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন এই রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ। বাসচালক মো.

নাজমুল বলেন, এখানে কোন দুর্ঘটনা ঘটলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয়।’ পরিবহন শ্রমিকদের পাশাপাশি যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন বলে জানান এলাকার মানুষসহ কয়েকজন বাস শ্রমিক।

ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে রাস্তায় চাপ বাড়ছে তত। এ সময় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে ভোগান্তি আরও বাড়বে সন্দেহ নাই বলে একজন যাত্রী ওমর শেখ বলেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় পরিস্থিতি দুর্বিষহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।’ তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক করে দেয় তবে সমস্যা অনেকটা কমে যাবে। কিন্তু তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবেন কি-না সে বিষয়ে শঙ্কায় চালক ও যাত্রীরা।

তবে শুধু রাস্তা খারাপের জন্য না, রাস্তায় সমস্যা তৈরি করে নিয়ম না মেনে এলোমেলো গাড়ি চালানোর ফলে, এজন্য যানজট ও দুর্ঘটনাও ঘটে বলে মনে করেন পুলিশ পরিদর্শক লুৎফর রহমান।

রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২ , ০৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমাদ্বান ১৪৪৩

ঈদে বঙ্গবন্ধু সেতুর সংযোগ সড়কে ভোগান্তির শঙ্কা

২২ কিলোমিটারের অবস্থা বেশ নাজুক ও ঝুঁকিপূর্ণ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ঈদ আসতে আর মাত্র হাতে গোনা কয়দিন বাকি। এরই মধ্যে বিভিন্ন সড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে গেছে। সামনে আরও বাড়বে। তাই জরুরি ভিত্তিতে সড়কের ছোটোখাটো সারাই সেরে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ছোটোখাটো সারাই সারালেও বঙ্গবন্ধু সেতুর সংযোগ সড়ক নিয়ে শঙ্কায় এ পথের যাত্রীসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তিন বছরে প্রকল্পে বঙ্গবন্ধু সেতু সংযোগ সড়কের কাজ শুরুর পর মেয়াদ শেষে অর্ধেক সম্পন্ন করতে পেরেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হেগো-মীর।

বঙ্গবন্ধু সেতুর সংযোগ সড়কের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটারের অবস্থা বেশ নাজুক। এই ২২ কিলোমিটারের নয়টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ, যা স্বয়ং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্বীকার করেছে।

এই ২২ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা সেতু এলাকা। মহাসড়ক চার লেনের হলেও পুরনো নলকা সেতু দুই লেনের। তাছাড়া সেতুর দুই পাশের রাস্তা ভাঙা হওয়ায় প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে। এই সেতুর পাশেই নির্মিত হচ্ছে নতুন একটি সেতু। নতুন সেতুর একটি লেন ২০ রোজার মধ্যেই খুলে দেয়া হবে বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে। হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ‘নতুন নলকা সেতু খুলে দিলে ভোগান্তি কমে যাবে। তাছাড়া হাটিকুমরুল থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত মহাসড়কের ছয়টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান ঈদের আগে মেরামত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো যান চলাচলের উপযোগী করতে দ্রুতগতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানালেও এই সময়ের মধ্যে তারা কাজ শেষ করতে পারবেন কি-না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হেগো-মীর আখতারের জয়েন্ট ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপক মো. এখলাস উদ্দিন।

২০১৯ সালের এপ্রিলে তারা এই কাজ শুরু করলেও সময়ের মধ্যে কেন কাজটা শেষ করতে পারেননি সে বিষয়ে এখলাস উদ্দিন সঠিকভাবে কোন উত্তর দিতে পারেননি।

এই সংযোগ সড়কটি যথাযথভাবে সময়ে সম্পন্ন না হওয়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন এই রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ। বাসচালক মো.

নাজমুল বলেন, এখানে কোন দুর্ঘটনা ঘটলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয়।’ পরিবহন শ্রমিকদের পাশাপাশি যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন বলে জানান এলাকার মানুষসহ কয়েকজন বাস শ্রমিক।

ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে রাস্তায় চাপ বাড়ছে তত। এ সময় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে ভোগান্তি আরও বাড়বে সন্দেহ নাই বলে একজন যাত্রী ওমর শেখ বলেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় পরিস্থিতি দুর্বিষহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।’ তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক করে দেয় তবে সমস্যা অনেকটা কমে যাবে। কিন্তু তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবেন কি-না সে বিষয়ে শঙ্কায় চালক ও যাত্রীরা।

তবে শুধু রাস্তা খারাপের জন্য না, রাস্তায় সমস্যা তৈরি করে নিয়ম না মেনে এলোমেলো গাড়ি চালানোর ফলে, এজন্য যানজট ও দুর্ঘটনাও ঘটে বলে মনে করেন পুলিশ পরিদর্শক লুৎফর রহমান।