‘পুলিশ হেফাজতে যুবক নিহত, বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি’

লালমনিরহাটে পুলিশ হেফাজতে রবিউল ইসলামের নিহতের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট তিন আসনের সংসদ সদস্য জিএম কাদের। নিহত রবিউল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর সময় তিনি এ দাবি জানান।

গতকাল লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি কাজির চওড়া এলাকায় পুলিশ হেফাজতে নিহত রবিউল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান কাদের।

এ সময় তিনি নিহত রবিউলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, পুলিশ হেফাজতে নিহতের বিষয়টি শুধু তার পরিবারের জন্য নয় সারাদেশের জন্য একটি অশুভ সংকেত। পুলিশ হেফাজতে প্রাণ হারানো খুবই দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রধান উদ্দেশই হলো জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

যদি কোন নাগরিক কোন বিষয়ে অভিযোগ উপস্থাপন করে তাহলে তা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কিন্তু তাদের কর্মকা-ে মনে হয়েছে এই বিষয়টিকে ধাপাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। দায়িত্বশীল অফিসার হিসেবে যদি কোন সদস্য ভুল করে থাকে তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। তাহলেই জনগণকে বিক্ষুব্ধ হতে হয় না। ন্যায় বিচার মানুষের অধিকার। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য সঠিক তদন্ত করা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।

এ সময় তিনি পুলিশের বিষয়ে পুলিশের তদন্ত করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, পুলিশ পুলিশের সহকর্মী হিসেবে তদন্তের

ক্ষেত্রে এখানে নিরপেক্ষতা বিঘিœত হতে পারে। বিচার বিভাগীয় দায়িত্বরত মানুষকে দিয়ে তদন্ত করলে ভালো হতো।

নিহত রবিউলের পরিবার ও তার সন্তানের ভরণপোষণের জন্য ব্যক্তিগত অর্থ থেকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব জাহিদ হাসান লিমন, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব রুহুল আমিন দুদু, জেলা ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক জাকিরুল ইসলাম জাকির প্রমুখ।

উল্লেখ যে, বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার হিরামানিক এলাকার বৈশাখী মেলায় জুয়া খেলা চলছিল। এমন খবরে পুলিশ মেলায় অভিযান চালালে জুয়াড়িরা দিকবিদিক পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে মহেন্দ্র নগর কাজীরচওড়া এলাকার দুলাল খানের ছেলে রবিউল খান (২৫) এবং দক্ষিণ হিরামানিক এলাকার মৃত রসনির ছেলে প্লোল্লাদ রায়কে জুয়ায় অংশ নেয়ার অভিযোগে আটক করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, পুলিশ আটক দুই জনকে ভ্যানে উঠানোর চেষ্টা করলে রবিউল ভ্যানে উঠতে রাজি হয়নি। পরে তাকে ঘটনাস্থলে নির্যাতন করা হয় এবং সেখানে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পুলিশ অসুস্থ রবিউলকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়।

রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২ , ০৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমাদ্বান ১৪৪৩

‘পুলিশ হেফাজতে যুবক নিহত, বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি’

প্রতিনিধি, লালমনিরহাট

লালমনিরহাটে পুলিশ হেফাজতে রবিউল ইসলামের নিহতের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট তিন আসনের সংসদ সদস্য জিএম কাদের। নিহত রবিউল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর সময় তিনি এ দাবি জানান।

গতকাল লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি কাজির চওড়া এলাকায় পুলিশ হেফাজতে নিহত রবিউল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান কাদের।

এ সময় তিনি নিহত রবিউলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, পুলিশ হেফাজতে নিহতের বিষয়টি শুধু তার পরিবারের জন্য নয় সারাদেশের জন্য একটি অশুভ সংকেত। পুলিশ হেফাজতে প্রাণ হারানো খুবই দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রধান উদ্দেশই হলো জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

যদি কোন নাগরিক কোন বিষয়ে অভিযোগ উপস্থাপন করে তাহলে তা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কিন্তু তাদের কর্মকা-ে মনে হয়েছে এই বিষয়টিকে ধাপাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। দায়িত্বশীল অফিসার হিসেবে যদি কোন সদস্য ভুল করে থাকে তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। তাহলেই জনগণকে বিক্ষুব্ধ হতে হয় না। ন্যায় বিচার মানুষের অধিকার। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য সঠিক তদন্ত করা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।

এ সময় তিনি পুলিশের বিষয়ে পুলিশের তদন্ত করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, পুলিশ পুলিশের সহকর্মী হিসেবে তদন্তের

ক্ষেত্রে এখানে নিরপেক্ষতা বিঘিœত হতে পারে। বিচার বিভাগীয় দায়িত্বরত মানুষকে দিয়ে তদন্ত করলে ভালো হতো।

নিহত রবিউলের পরিবার ও তার সন্তানের ভরণপোষণের জন্য ব্যক্তিগত অর্থ থেকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব জাহিদ হাসান লিমন, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব রুহুল আমিন দুদু, জেলা ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক জাকিরুল ইসলাম জাকির প্রমুখ।

উল্লেখ যে, বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার হিরামানিক এলাকার বৈশাখী মেলায় জুয়া খেলা চলছিল। এমন খবরে পুলিশ মেলায় অভিযান চালালে জুয়াড়িরা দিকবিদিক পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে মহেন্দ্র নগর কাজীরচওড়া এলাকার দুলাল খানের ছেলে রবিউল খান (২৫) এবং দক্ষিণ হিরামানিক এলাকার মৃত রসনির ছেলে প্লোল্লাদ রায়কে জুয়ায় অংশ নেয়ার অভিযোগে আটক করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, পুলিশ আটক দুই জনকে ভ্যানে উঠানোর চেষ্টা করলে রবিউল ভ্যানে উঠতে রাজি হয়নি। পরে তাকে ঘটনাস্থলে নির্যাতন করা হয় এবং সেখানে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পুলিশ অসুস্থ রবিউলকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়।