ঈদ সামনে রেখে লঞ্চের টিকেট নিয়ে তৎপর হয়ে উঠছে কালোবাজারিরা

ঈদের বাকি আরও দুই সপ্তাহ। ঈদকে সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের প্রধান ভরসা বেসরকারি লঞ্চগুলো থেকে এখন পর্যন্ত অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু না হলেও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে দালাল ও কালোবাজারীদের কাছ থেকে সিøপ সংগ্রহ করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছে শীঘ্রই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দালাল ও কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবেন। বেসরকারি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ঈদ সার্ভিস শুরু করবেন বলে জানা গেছে।

শুধুমাত্র ঢাকা-বরিশাল রুটে বেসরকারি কোম্পানির ২২টি বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল করে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে ৩৫টি লঞ্চ রয়েছে। এই লঞ্চগুলো ঈদের ঘরমুখো ও কর্মস্থলমুখো যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন দুই বার করে গন্তব্যে চলাচল করবে। আর এ সময়ে লঞ্চগুলোর কোন সময় নির্ধারণও থাকে না।

ঢাকা-বরিশাল রুটের বেসরকারি লঞ্চগুলোতে একক, দ্বৈত, ভিআইপি, সেমি ভিআইপি, ভিভিআইপি, শৌখিন, ফ্যামিলি ক্যটাগরিতে প্রায় দুই হাজার কেবিন আছে। এর সঙ্গে রয়েছে সোফা। আর যত কালোবাজারি হয়ে থাকে তার সিংহভাগই এসব কক্ষগুলো নিয়ে। এখন থেকেই কেবিনগুলোর বুকিং দিয়ে সিøপ নেয়া হচ্ছে। বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে সিøপ অনুযায়ী টিকেট দেয়া শুরু হবে। কিন্তু অতীতে দেখা গেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বুকিং সিøপ দিলেও শেষ মুহূর্তে টিকেট দেন না। আর সেই সুযোগই নেয় দালাল ও কালোবাজারিরা।

বরিশাল-ঢাকা রুটের সুরভি লঞ্চের কাউন্টার ইনচার্জ ফেরদৌস বলেন, আমরা যাত্রীদের নাম ঠিকানা রেখে সিøপ দিচ্ছি। কিন্তু যে সংখ্যক সিøপ দেয়া হয়েছে তত সংখ্যক কেবিন আমাদের নেই। তাই কর্তৃপক্ষ লটারির কথা ভাবছেন। কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানির ম্যানেজার বেল্লাল হোসেন জানান, তারা আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকেট দিয়ে থাকেন। তাই কালোবাজারির কোন সুযোগ নেই। সুন্দরবন লঞ্চের বুকিং ইনচার্জ বলেন, তারা ৬ এপ্রিল থেকে সিøপ দেয়া শুরু করেছেন। সিøপ অনুযায়ী যাত্রীদের টিকেট দেয়া হবে।

বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিটিএর উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর বলেন, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করেন। কিন্তু এ বছর এখন পর্যন্ত কোন সভা হয়নি।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে বর্তমানে দুটি গ্রুপ টিকেট

কালোবাজির চক্র তৈরি করেছে। এদের সঙ্গে লঞ্চগুলোর টিকেট কাউন্টারের কর্মচারীরা যুক্ত আছেন। এরা প্রায় লঞ্চগুলোর টিকেট কাউন্টারে নামে-বেনামে কেবিন বুকিং করে সিøপ সংগ্রহ করেছেন। ভবিষ্যতে তারা টিকেট সংগ্রহ করে মূল ভাড়ার থেকে কমপক্ষে তিনগুণ মূল্যে টিকেট বিক্রি করবে।

রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২ , ০৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমাদ্বান ১৪৪৩

ঈদ সামনে রেখে লঞ্চের টিকেট নিয়ে তৎপর হয়ে উঠছে কালোবাজারিরা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

ঈদের বাকি আরও দুই সপ্তাহ। ঈদকে সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের প্রধান ভরসা বেসরকারি লঞ্চগুলো থেকে এখন পর্যন্ত অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু না হলেও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে দালাল ও কালোবাজারীদের কাছ থেকে সিøপ সংগ্রহ করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছে শীঘ্রই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দালাল ও কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবেন। বেসরকারি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ঈদ সার্ভিস শুরু করবেন বলে জানা গেছে।

শুধুমাত্র ঢাকা-বরিশাল রুটে বেসরকারি কোম্পানির ২২টি বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল করে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে ৩৫টি লঞ্চ রয়েছে। এই লঞ্চগুলো ঈদের ঘরমুখো ও কর্মস্থলমুখো যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন দুই বার করে গন্তব্যে চলাচল করবে। আর এ সময়ে লঞ্চগুলোর কোন সময় নির্ধারণও থাকে না।

ঢাকা-বরিশাল রুটের বেসরকারি লঞ্চগুলোতে একক, দ্বৈত, ভিআইপি, সেমি ভিআইপি, ভিভিআইপি, শৌখিন, ফ্যামিলি ক্যটাগরিতে প্রায় দুই হাজার কেবিন আছে। এর সঙ্গে রয়েছে সোফা। আর যত কালোবাজারি হয়ে থাকে তার সিংহভাগই এসব কক্ষগুলো নিয়ে। এখন থেকেই কেবিনগুলোর বুকিং দিয়ে সিøপ নেয়া হচ্ছে। বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে সিøপ অনুযায়ী টিকেট দেয়া শুরু হবে। কিন্তু অতীতে দেখা গেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বুকিং সিøপ দিলেও শেষ মুহূর্তে টিকেট দেন না। আর সেই সুযোগই নেয় দালাল ও কালোবাজারিরা।

বরিশাল-ঢাকা রুটের সুরভি লঞ্চের কাউন্টার ইনচার্জ ফেরদৌস বলেন, আমরা যাত্রীদের নাম ঠিকানা রেখে সিøপ দিচ্ছি। কিন্তু যে সংখ্যক সিøপ দেয়া হয়েছে তত সংখ্যক কেবিন আমাদের নেই। তাই কর্তৃপক্ষ লটারির কথা ভাবছেন। কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানির ম্যানেজার বেল্লাল হোসেন জানান, তারা আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকেট দিয়ে থাকেন। তাই কালোবাজারির কোন সুযোগ নেই। সুন্দরবন লঞ্চের বুকিং ইনচার্জ বলেন, তারা ৬ এপ্রিল থেকে সিøপ দেয়া শুরু করেছেন। সিøপ অনুযায়ী যাত্রীদের টিকেট দেয়া হবে।

বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিটিএর উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর বলেন, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করেন। কিন্তু এ বছর এখন পর্যন্ত কোন সভা হয়নি।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে বর্তমানে দুটি গ্রুপ টিকেট

কালোবাজির চক্র তৈরি করেছে। এদের সঙ্গে লঞ্চগুলোর টিকেট কাউন্টারের কর্মচারীরা যুক্ত আছেন। এরা প্রায় লঞ্চগুলোর টিকেট কাউন্টারে নামে-বেনামে কেবিন বুকিং করে সিøপ সংগ্রহ করেছেন। ভবিষ্যতে তারা টিকেট সংগ্রহ করে মূল ভাড়ার থেকে কমপক্ষে তিনগুণ মূল্যে টিকেট বিক্রি করবে।