মুজিবনগরে শপথ : বাকের, জয়নাল, আজিমুদ্দিন, সিরাজুদ্দীনের স্মৃতিচারণ

১৯৭১-এর ১৭ এপ্রিলের সকাল। মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আমবাগান। প্রচুর অচেনা মানুষ আমবাগানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। হঠাৎ করেই অনেক জনাসমাগম, বলছিলেন মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগর গ্রামের বাকের আলী।

তিনি জানতেন সেদিন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ নেয়ার কথা। শপথের অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেছিলেন বাকের আলী, যিনি কিছুদিন আগে মুজিবনগর সরকরি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকতা থেকে অবসরে গেছেন।

তবে ওই শপথ অনুষ্ঠানের কথা গোপন রাখতে বলা হয়েছিল তাদের, যারা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, জানালেন তাদেরই একজন জয়নাল আবেদীন।

জয়নাল ১৯৭১ সালে মেহেরপুর কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র। তখন তিনি মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের বাসিন্দা। রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাই ১৯৬৯ সালে গঠিত অসহযোগ আন্দোলনের বাগোয়ান গ্রামের সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

এপ্রিলে একদিন মেহেরপুর থেকে নেতাদের ডাক পড়ল। তখন জয়নাল ভবেরপাড়া গ্রাম সংগ্রাম কমিটির সভাপতি আবদুল মোমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব হোসেন ম-লসহ সাইকেলে করে ১৬ এপ্রিল বিকালে তৎকালীন মেহেরপুর মহাকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) ছহিউদ্দীন বিশ্বাসের মেহেরপুরের বাসভবনে যান।

‘বাসার বাইরে আমরা আরও কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছিলাম। এমন সময় মেহেরপুর মহাকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, সহ-সভাপতি আ ক ম ইদ্রিস আলী ও সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. জালাল উদ্দীন আমাদের এমএনএ সাহেবের বাসার ভেতর নিয়ে গেলেন,’ বলেন জয়নাল।

সেখানে তাদের বলা হলো ১৭ এপ্রিল সকাল ৯টার সময় বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেবে। বিষয়টি গোপন রাখার নির্দেশ দেয়া হলো। তাদের দায়িত্ব পড়লো মঞ্চ তৈরির, একটি টেবিল ও সামনে কয়েকটি চেয়ার রাখার ব্যবস্থা করার।

‘আমরা আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে তৎক্ষণিক বৈদ্যনাথতলা সংলগ্ন ভবেরপাড়া গ্রামে চলে যাই। সুশীল ম-ল, রফিক মাস্টার, পিন্টু বিশ্বাস, সৈয়দ মাস্টারসহ বেশ কয়েকজন প্রায় সারারাত ধরে স্থানীয় মিশন ও আশপাশের বাড়ি থেকে চারটি চৌকি, একটি টেবিল এবং ৩৪টি কাঠের চেয়ার সংগ্রহ করে মঞ্চ তৈরিসহ সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখলাম, ’ বললেন জয়নাল। ‘মনে পড়ে গেল দুয়েকটি

চেয়ারের আবার হাতল ভাঙা ছিল। আমরা জাতীয় পতাকা বাঁশের সঙ্গে বেঁধে প্রস্তুত রেখেছিলাম,’ স্মৃতিচারণ জয়নালের।

আজিমুদ্দীন শেখ, মুজিবনগরের ভবেরপাড়া বৈদ্যনাথতলা গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৭১ এ আনাসারে চাকরি করতেন, তবে অন্য জেলায়। এপ্রিলে ছুটিতে বাড়িতে গেছেন। আর ১৬ এপ্রিল বিকেলে তৎকালীন মহাকুমা প্রশাসক তৌফিক এলাহী চৌধুরী তাকে ডেকে বললেন ‘১৭ এপ্রিল সকালে বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে বড় ধরনের কিছু মেহমান আসবেন’। তাকে দায়িত্ব দেয়া হলো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার জোগাড় করার। উদ্দেশ গার্ড অব অনার দেয়া।

আজিমুদ্দীনের কাছ থেকেই তারই গ্রামের মো. সিরাজুদ্দীন ১৬ এপ্রিল রাতে জানতে পারেন পরদিন ‘একদল বড়মাপের মানুষ’ বৈদ্যনাথতলা আমবাগানে আসবেন। সিরাজুদ্দীনের পেষা ছিল দিনমজুরি ও চাষাবাদ। তবে তার আনসারের ট্রেনিং নেয়া ছিল। আর তাই যুক্ত হয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করা দলের সঙ্গে।

বাকের আলীর বাড়ি মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগর গ্রামে। একাত্তরে দর্শনা কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র। ১৬ এপ্রিল চারিদিকে কেমন যেন অস্বস্তিকর আবহাওয়া ছিল। তাই সেদিন দর্শনা থেকে পায়ে হেঁটে চলে যান বাড়ি। তখন যাতায়াতের তেমন কোন ব্যবস্থা ছিল না।

বাড়িতে সন্ধ্যায় পৌঁছে রাতে তিনি জানতে পারেন ১৭ এপ্রিল বৈদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেবে। ‘তবে বিষয়টি ছিল কানাঘুঁষা এবং চাপা,’ বলছিলেন বাকের।

তার এক শিক্ষক অসহযোগ আন্দোলন সংগ্রাম কমিটি ইউনিয়ন সমন্বয়ক দোয়াজ আলী মাস্টার তাকে বলেছিলেন ওই অনুষ্ঠানে কোরআন তেলওয়াত করতে। ‘সকালে সাড়ে ৭টার দিকে হেঁটে বৈদ্যনাথতলায় গিয়েছিলাম,’ বলেন বাকের।

এক সময় বাকের দেখলেন নেতারা সভাস্থলে হেঁটে আসছেন। ‘আমি নিতান্ত গ্রামের মানুষ হিসেবে কোন নেতাকেই তখন চিনতাম না,’ বললেন তিনি।

জয়নাল আবেদীন বলেলেন তার মনে আছে নেতারা ওপার (ভারত) থেকে সড়ক পথে জিপে করে শপথস্থলে এসেছিলেন। আর আজিমুদ্দিন শেখ বললেন, ‘নেতারা এমনভাবে সভাস্থলে এসেছিলেন যাতে মনে হয় তারা দেশের মধ্য থেকেই আসছেন এবং যাওয়ার সময় ঐভাবেই চলে যান।’

মেহেরপুর মহাকুমা প্রশাসক তৌফিক এলাহী চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ১৭ এপ্রিল এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ঝিনাইদহের এসডিপিও মাহবুব উদ্দীনের নেতৃত্বে ১২ জন আনসার কর্তৃক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে।

বাকের আলী যে বলছিলেন অনেক অচেনা মানুষ দেখেছিলেন আম বাগানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন, পরে শুনেছেন তারা বিএসএফ এবং ভারতীয় সেনা সদস্য। জয়নাল, আজিমুদ্দিন, মো. সিরাজুদ্দীন তারাও বললেন বেশ সংখ্যক সেনা ও বিএসএফ সদস্যদের সাদা পোশাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাহারা দিতে দেখা গেছে।

আর জয়নাল বলেন বিএসএফ সদস্যরা তাদের গাড়িতে করে কয়েক ড্রাম মিষ্টি নিয়ে এসেছিলেন যা শপথ অনুষ্ঠানের পর মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল।

এত লোক, ছিল উৎসবের আমেজও, তারপরও এলাকাটি ছিল শান্ত। জয়নাল আবেদীন জানালেন, ‘বিদায় বেলায় আমরা কয়েকজন ছাত্র মিলে শপথ নেয়া নেতাদের গাড়িতে মানচিত্রখচিত পতাকা বেঁধে দিয়েছিলাম।’

রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২ , ০৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমাদ্বান ১৪৪৩

মুজিবনগরে শপথ : বাকের, জয়নাল, আজিমুদ্দিন, সিরাজুদ্দীনের স্মৃতিচারণ

রফিকুল আলম, মেহেরপুর

image

১৯৭১-এর ১৭ এপ্রিলের সকাল। মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আমবাগান। প্রচুর অচেনা মানুষ আমবাগানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। হঠাৎ করেই অনেক জনাসমাগম, বলছিলেন মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগর গ্রামের বাকের আলী।

তিনি জানতেন সেদিন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ নেয়ার কথা। শপথের অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেছিলেন বাকের আলী, যিনি কিছুদিন আগে মুজিবনগর সরকরি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকতা থেকে অবসরে গেছেন।

তবে ওই শপথ অনুষ্ঠানের কথা গোপন রাখতে বলা হয়েছিল তাদের, যারা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, জানালেন তাদেরই একজন জয়নাল আবেদীন।

জয়নাল ১৯৭১ সালে মেহেরপুর কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র। তখন তিনি মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের বাসিন্দা। রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাই ১৯৬৯ সালে গঠিত অসহযোগ আন্দোলনের বাগোয়ান গ্রামের সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

এপ্রিলে একদিন মেহেরপুর থেকে নেতাদের ডাক পড়ল। তখন জয়নাল ভবেরপাড়া গ্রাম সংগ্রাম কমিটির সভাপতি আবদুল মোমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব হোসেন ম-লসহ সাইকেলে করে ১৬ এপ্রিল বিকালে তৎকালীন মেহেরপুর মহাকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) ছহিউদ্দীন বিশ্বাসের মেহেরপুরের বাসভবনে যান।

‘বাসার বাইরে আমরা আরও কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছিলাম। এমন সময় মেহেরপুর মহাকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, সহ-সভাপতি আ ক ম ইদ্রিস আলী ও সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. জালাল উদ্দীন আমাদের এমএনএ সাহেবের বাসার ভেতর নিয়ে গেলেন,’ বলেন জয়নাল।

সেখানে তাদের বলা হলো ১৭ এপ্রিল সকাল ৯টার সময় বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেবে। বিষয়টি গোপন রাখার নির্দেশ দেয়া হলো। তাদের দায়িত্ব পড়লো মঞ্চ তৈরির, একটি টেবিল ও সামনে কয়েকটি চেয়ার রাখার ব্যবস্থা করার।

‘আমরা আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে তৎক্ষণিক বৈদ্যনাথতলা সংলগ্ন ভবেরপাড়া গ্রামে চলে যাই। সুশীল ম-ল, রফিক মাস্টার, পিন্টু বিশ্বাস, সৈয়দ মাস্টারসহ বেশ কয়েকজন প্রায় সারারাত ধরে স্থানীয় মিশন ও আশপাশের বাড়ি থেকে চারটি চৌকি, একটি টেবিল এবং ৩৪টি কাঠের চেয়ার সংগ্রহ করে মঞ্চ তৈরিসহ সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখলাম, ’ বললেন জয়নাল। ‘মনে পড়ে গেল দুয়েকটি

চেয়ারের আবার হাতল ভাঙা ছিল। আমরা জাতীয় পতাকা বাঁশের সঙ্গে বেঁধে প্রস্তুত রেখেছিলাম,’ স্মৃতিচারণ জয়নালের।

আজিমুদ্দীন শেখ, মুজিবনগরের ভবেরপাড়া বৈদ্যনাথতলা গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৭১ এ আনাসারে চাকরি করতেন, তবে অন্য জেলায়। এপ্রিলে ছুটিতে বাড়িতে গেছেন। আর ১৬ এপ্রিল বিকেলে তৎকালীন মহাকুমা প্রশাসক তৌফিক এলাহী চৌধুরী তাকে ডেকে বললেন ‘১৭ এপ্রিল সকালে বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে বড় ধরনের কিছু মেহমান আসবেন’। তাকে দায়িত্ব দেয়া হলো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার জোগাড় করার। উদ্দেশ গার্ড অব অনার দেয়া।

আজিমুদ্দীনের কাছ থেকেই তারই গ্রামের মো. সিরাজুদ্দীন ১৬ এপ্রিল রাতে জানতে পারেন পরদিন ‘একদল বড়মাপের মানুষ’ বৈদ্যনাথতলা আমবাগানে আসবেন। সিরাজুদ্দীনের পেষা ছিল দিনমজুরি ও চাষাবাদ। তবে তার আনসারের ট্রেনিং নেয়া ছিল। আর তাই যুক্ত হয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করা দলের সঙ্গে।

বাকের আলীর বাড়ি মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগর গ্রামে। একাত্তরে দর্শনা কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র। ১৬ এপ্রিল চারিদিকে কেমন যেন অস্বস্তিকর আবহাওয়া ছিল। তাই সেদিন দর্শনা থেকে পায়ে হেঁটে চলে যান বাড়ি। তখন যাতায়াতের তেমন কোন ব্যবস্থা ছিল না।

বাড়িতে সন্ধ্যায় পৌঁছে রাতে তিনি জানতে পারেন ১৭ এপ্রিল বৈদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেবে। ‘তবে বিষয়টি ছিল কানাঘুঁষা এবং চাপা,’ বলছিলেন বাকের।

তার এক শিক্ষক অসহযোগ আন্দোলন সংগ্রাম কমিটি ইউনিয়ন সমন্বয়ক দোয়াজ আলী মাস্টার তাকে বলেছিলেন ওই অনুষ্ঠানে কোরআন তেলওয়াত করতে। ‘সকালে সাড়ে ৭টার দিকে হেঁটে বৈদ্যনাথতলায় গিয়েছিলাম,’ বলেন বাকের।

এক সময় বাকের দেখলেন নেতারা সভাস্থলে হেঁটে আসছেন। ‘আমি নিতান্ত গ্রামের মানুষ হিসেবে কোন নেতাকেই তখন চিনতাম না,’ বললেন তিনি।

জয়নাল আবেদীন বলেলেন তার মনে আছে নেতারা ওপার (ভারত) থেকে সড়ক পথে জিপে করে শপথস্থলে এসেছিলেন। আর আজিমুদ্দিন শেখ বললেন, ‘নেতারা এমনভাবে সভাস্থলে এসেছিলেন যাতে মনে হয় তারা দেশের মধ্য থেকেই আসছেন এবং যাওয়ার সময় ঐভাবেই চলে যান।’

মেহেরপুর মহাকুমা প্রশাসক তৌফিক এলাহী চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ১৭ এপ্রিল এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ঝিনাইদহের এসডিপিও মাহবুব উদ্দীনের নেতৃত্বে ১২ জন আনসার কর্তৃক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে।

বাকের আলী যে বলছিলেন অনেক অচেনা মানুষ দেখেছিলেন আম বাগানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন, পরে শুনেছেন তারা বিএসএফ এবং ভারতীয় সেনা সদস্য। জয়নাল, আজিমুদ্দিন, মো. সিরাজুদ্দীন তারাও বললেন বেশ সংখ্যক সেনা ও বিএসএফ সদস্যদের সাদা পোশাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাহারা দিতে দেখা গেছে।

আর জয়নাল বলেন বিএসএফ সদস্যরা তাদের গাড়িতে করে কয়েক ড্রাম মিষ্টি নিয়ে এসেছিলেন যা শপথ অনুষ্ঠানের পর মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল।

এত লোক, ছিল উৎসবের আমেজও, তারপরও এলাকাটি ছিল শান্ত। জয়নাল আবেদীন জানালেন, ‘বিদায় বেলায় আমরা কয়েকজন ছাত্র মিলে শপথ নেয়া নেতাদের গাড়িতে মানচিত্রখচিত পতাকা বেঁধে দিয়েছিলাম।’