সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এক আক্ষেপ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শক্তিশালী বিরোধী দল দেখতে পাবেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেটা দেখতে চাচ্ছেন। সেটা অতি অল্প সময়ের মধ্যে দেখতে পাবেন।
গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। গত শুক্রবার বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকের নেয়া সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কোন ভিত্তি না থাকলেও শুধুমাত্র জিয়া পরিবারকে হয়রানি ও হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমানের লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ হওয়ার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় স্থায়ী কমিটির সভায়।
তিনি বলেন, ডা. জোবায়দা একজন অরাজনৈতিক চিকিৎসক। তাকে দুদকের এই মামলায় জড়ানো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতিহিংসামূলক। কোন ভিত্তি না থাকলেও শুধুমাত্র জিয়া পরিবারকে হয়রানি ও হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, যে আদেশ দেয়া হয়েছে তা ফরমায়েশি বলে প্রতীয়মান হয়। বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রভাব বিস্তার করে এই ফ্যাসিবাদী সরকার রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিমূর্ল করার হীন উদ্দেশ্যেই এসব হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। একইভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিচার বিভাগ সংবিধানিক স্বাধীনতা রক্ষা না করে দলীয় সংকীর্ণ উদ্দেশ্য চরিতার্থের জন্য বেআইনি, জবরদখলকারী অনির্বাচিত আওয়ামী সরকারকে অনৈতিক সহযোগিতা করছে বলে
প্রতীয়মান হচ্ছে। তিনি বলেন, গত ১৩ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা, বিচার ব্যবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ সম্পর্কে যে বিশদ বিবরণ দেয়া হয়েছে। বিএনপি মনে করে, ফ্যাসিবাদী এই সরকারের মারাত্মক মানবাধিকার লংঘন, সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম, খুন, নির্যাতনের যেসব অভিযোগ উঠেছে তা এই রিপোর্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিচার বর্হির্ভূত হত্যাকা-, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের ফলে হত্যাকা-, প্রতিবাদকারী ব্যক্তিদের বাবা-মা, ভাই-বোনদের গ্রেপ্তার, বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার, বিশেষ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া ও কারাগারে পাঠানো রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বলে উল্লেখ করা প্রকৃত সত্যকে উদ্ঘাটিত করেছে।
গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল নেই বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, এর উত্তর দেয়ার মতো রুচি আমাদের থাকে না। এগুলো মূল বিষয়গুলোকে এড়িয়ে এসব কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছুই নয়। শক্তিশালী বিরোধী দল আছে বলেই তো এখন পর্যন্ত কথাগুলো আমরা বলছি।
রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২ , ০৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমাদ্বান ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এক আক্ষেপ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শক্তিশালী বিরোধী দল দেখতে পাবেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেটা দেখতে চাচ্ছেন। সেটা অতি অল্প সময়ের মধ্যে দেখতে পাবেন।
গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। গত শুক্রবার বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকের নেয়া সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কোন ভিত্তি না থাকলেও শুধুমাত্র জিয়া পরিবারকে হয়রানি ও হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমানের লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ হওয়ার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় স্থায়ী কমিটির সভায়।
তিনি বলেন, ডা. জোবায়দা একজন অরাজনৈতিক চিকিৎসক। তাকে দুদকের এই মামলায় জড়ানো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতিহিংসামূলক। কোন ভিত্তি না থাকলেও শুধুমাত্র জিয়া পরিবারকে হয়রানি ও হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, যে আদেশ দেয়া হয়েছে তা ফরমায়েশি বলে প্রতীয়মান হয়। বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রভাব বিস্তার করে এই ফ্যাসিবাদী সরকার রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিমূর্ল করার হীন উদ্দেশ্যেই এসব হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। একইভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিচার বিভাগ সংবিধানিক স্বাধীনতা রক্ষা না করে দলীয় সংকীর্ণ উদ্দেশ্য চরিতার্থের জন্য বেআইনি, জবরদখলকারী অনির্বাচিত আওয়ামী সরকারকে অনৈতিক সহযোগিতা করছে বলে
প্রতীয়মান হচ্ছে। তিনি বলেন, গত ১৩ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা, বিচার ব্যবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ সম্পর্কে যে বিশদ বিবরণ দেয়া হয়েছে। বিএনপি মনে করে, ফ্যাসিবাদী এই সরকারের মারাত্মক মানবাধিকার লংঘন, সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম, খুন, নির্যাতনের যেসব অভিযোগ উঠেছে তা এই রিপোর্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিচার বর্হির্ভূত হত্যাকা-, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের ফলে হত্যাকা-, প্রতিবাদকারী ব্যক্তিদের বাবা-মা, ভাই-বোনদের গ্রেপ্তার, বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার, বিশেষ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া ও কারাগারে পাঠানো রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বলে উল্লেখ করা প্রকৃত সত্যকে উদ্ঘাটিত করেছে।
গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল নেই বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, এর উত্তর দেয়ার মতো রুচি আমাদের থাকে না। এগুলো মূল বিষয়গুলোকে এড়িয়ে এসব কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছুই নয়। শক্তিশালী বিরোধী দল আছে বলেই তো এখন পর্যন্ত কথাগুলো আমরা বলছি।