ধান নষ্ট হলে চালের দাম অবশ্যই বাড়বে : কৃষিমন্ত্রী

হাওরে বোরো ধানের ঝুঁকি কমাতে আগাম জাতের ধানের চাষ ও টেকসই বাঁধ নির্মণে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন। এছাড়া আগামী বোরো মৌসুমে হাওরের ফসলহারা কৃষককে সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ দিয়ে পুনর্বাসন করা হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ভিজিএফ দিয়ে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

গতকাল সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাওয়া চাপতির হাওর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘যাদের ধান পেকে গেছে তারা ধান কেটে ফেলুন। হাওরের পুরো ধান নষ্ট হলে চালের দাম অবশ্যই বাড়বে। চালের দাম বাড়লে কেউ বলবে না যে, বন্যার কারণে চালের দাম বাড়বে। সবাই তখন বলবে ধানের দাম বাড়লো কেন, খাদ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাব চাইবে। বিরোধীদল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক সবাই পেছনে লাগবে। কিন্তু কী কারণে দাম বাড়লো তা কেউ বলবে না। তখন আর

আমাদের কাছে জবাব থাকে না। তখন আমরা চার দিক থেকে প্রচ- সমালোচনার শিকার হই।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘হাওরের কৃষক প্রকৃতির কাছে অসহায়। প্রতিবছর তাদের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের কষ্টের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশের অর্থনীতিতেও বিরাট প্রভাব পড়ে। হাওর তলিয়ে গেলে দেশে চালের দাম বেড়ে যায়। এই সংকট উত্তরণে বিনা আগাম জাতের ফসল উৎপাদনে গবেষণা করছে।’

‘কিভাবে ১৫-২০ দিন আগে ফসল উৎপাদন করা যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি।’

বাঁধের কাজে আরও উন্নতি করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাঁধের কাজ আশানুরূপ হয় না, গাফিলতি আছে। বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি অনিয়মের কথা প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করা হবে। বাঁধ নির্মাণকাজে আগামীতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। সমন্বিত কাজ না করলে বাঁধ সুরক্ষিত হবে না। ফলে ফসল হারানোর ঝুঁকি থেকে যাবে।’

ফসল রক্ষায় কৃষকরা নদী খননের কথাও উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘নদী খনন করে পানি ধারনের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আগামী বছর নভেম্বরে যাতে কাজ শুরু করে যথা সময়ে কাজ শেষ করা যায় সে চেষ্টাও চলছে।’

চাপতির হাওর পরিদর্শন শেষে হাওরে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে বোরো ধান কাটেন মন্ত্রী। পরে হাসননগরে বিনা উদ্ভাবিত ধান কর্তন কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় সুনামগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের এমপি শামীমা শাহরিয়ার ও জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২ , ০৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমাদ্বান ১৪৪৩

ধান নষ্ট হলে চালের দাম অবশ্যই বাড়বে : কৃষিমন্ত্রী

প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ

হাওরে বোরো ধানের ঝুঁকি কমাতে আগাম জাতের ধানের চাষ ও টেকসই বাঁধ নির্মণে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন। এছাড়া আগামী বোরো মৌসুমে হাওরের ফসলহারা কৃষককে সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ দিয়ে পুনর্বাসন করা হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ভিজিএফ দিয়ে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

গতকাল সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাওয়া চাপতির হাওর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘যাদের ধান পেকে গেছে তারা ধান কেটে ফেলুন। হাওরের পুরো ধান নষ্ট হলে চালের দাম অবশ্যই বাড়বে। চালের দাম বাড়লে কেউ বলবে না যে, বন্যার কারণে চালের দাম বাড়বে। সবাই তখন বলবে ধানের দাম বাড়লো কেন, খাদ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাব চাইবে। বিরোধীদল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক সবাই পেছনে লাগবে। কিন্তু কী কারণে দাম বাড়লো তা কেউ বলবে না। তখন আর

আমাদের কাছে জবাব থাকে না। তখন আমরা চার দিক থেকে প্রচ- সমালোচনার শিকার হই।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘হাওরের কৃষক প্রকৃতির কাছে অসহায়। প্রতিবছর তাদের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের কষ্টের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশের অর্থনীতিতেও বিরাট প্রভাব পড়ে। হাওর তলিয়ে গেলে দেশে চালের দাম বেড়ে যায়। এই সংকট উত্তরণে বিনা আগাম জাতের ফসল উৎপাদনে গবেষণা করছে।’

‘কিভাবে ১৫-২০ দিন আগে ফসল উৎপাদন করা যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি।’

বাঁধের কাজে আরও উন্নতি করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাঁধের কাজ আশানুরূপ হয় না, গাফিলতি আছে। বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি অনিয়মের কথা প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করা হবে। বাঁধ নির্মাণকাজে আগামীতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। সমন্বিত কাজ না করলে বাঁধ সুরক্ষিত হবে না। ফলে ফসল হারানোর ঝুঁকি থেকে যাবে।’

ফসল রক্ষায় কৃষকরা নদী খননের কথাও উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘নদী খনন করে পানি ধারনের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আগামী বছর নভেম্বরে যাতে কাজ শুরু করে যথা সময়ে কাজ শেষ করা যায় সে চেষ্টাও চলছে।’

চাপতির হাওর পরিদর্শন শেষে হাওরে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে বোরো ধান কাটেন মন্ত্রী। পরে হাসননগরে বিনা উদ্ভাবিত ধান কর্তন কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় সুনামগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের এমপি শামীমা শাহরিয়ার ও জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।