কুয়াকাটায় রাখাইন সাংগ্রাইং উৎসব পালিত

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে রাখাইনদের বর্ষবরণ ১৩৮৪ সাংগ্রাইং (জলকেলি) উৎসব। গতকাল দুপুরে কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে জলকেলি উৎসবের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে রাখাইনদের এ বর্ষবরণ উৎসব। এর আগে সকালে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ স্নানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পুরোনো বছরের সব দুঃখ-গ্লানি ভুলে গিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এ উৎসবের আয়োজন করে অং হেলফ অ্যান্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামের একটি স্থানীয় রাখাইন এনজিও। করোনার দীর্ঘ দুই বছর পর এ উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পেরে রাখাইন পরিবারগুলোর মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন ফিতা কেটে জলকেলি উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। জলকেলি উৎসবে রাখাইন

নেতা নিউ নিউ খেইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বলেন, আদিবাসী রাখাইনদের নিরাপত্তা, খাদ্য বাসস্থান এবং উন্নত নাগরিক সেবায় জেলা প্রশাসন সব সময় পাশে আছে। আদিবাসী রাখাইনদের ভূমি অধিকারসহ শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে সরকার অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। তিনি আরও বলেন, ধর্ম ভিন্ন হলেও আমরা সবাই বাংলাদেশি, আমরা বাঙ্গালি এটাই আমাদের বড় পরিচয়। এ সময় জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন আরও বলেন, এক সময় আদিবাসী রাখাইনরা এই এলাকা আবাদ করে বসতি স্থাপন করে। তাদের কুয়ার নামেই আজকে কুয়াকাটার নাম করণ করা হয়েছে। এখন রাখাইনরা দিন দিন সংখ্যায় কমে আসছে। তাই রাখাইনদের অধিকার রক্ষায় সবাইকে একতাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, মহিপুর থানার ওসি মো. আবুল খায়ের, বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক ও অং হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট নিউ নিউ খেইন, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, মহিপুর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, পৌর কাউন্সিলর আবুল হোসেন ফরাজী প্রমুখ।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন রাখাইন পাড়ায় সপ্তাহব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাখাইনদের বর্ষবরণের আয়োজন চলছে।

image

কুয়াকাটায় রাখাইন সাংগ্রাইং উৎসব পালিত - সংবাদ

আরও খবর
মুজিবনগরে শপথ : বাকের, জয়নাল, আজিমুদ্দিন, সিরাজুদ্দীনের স্মৃতিচারণ
পদ্মা সেতু এ বছরই খুলে দেয়া হবে : রাষ্ট্রপতি
উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ডায়রিয়া পরিস্থিতির ক্রমাবনতি হচ্ছে
অতি অল্প সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শক্তিশালী বিরোধীদল পাবেন : ফখরুল
আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কমিটি
ধান নষ্ট হলে চালের দাম অবশ্যই বাড়বে : কৃষিমন্ত্রী
আধাপেট খাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে : সিপিবি
পশ্চিমবঙ্গ উপনির্বাচনে ধরাশায়ী বিজেপি, তৃণমূলের জয়

রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২ , ০৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমাদ্বান ১৪৪৩

কুয়াকাটায় রাখাইন সাংগ্রাইং উৎসব পালিত

প্রতিনিধি, কুয়াকাটা

image

কুয়াকাটায় রাখাইন সাংগ্রাইং উৎসব পালিত - সংবাদ

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে রাখাইনদের বর্ষবরণ ১৩৮৪ সাংগ্রাইং (জলকেলি) উৎসব। গতকাল দুপুরে কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে জলকেলি উৎসবের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে রাখাইনদের এ বর্ষবরণ উৎসব। এর আগে সকালে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ স্নানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পুরোনো বছরের সব দুঃখ-গ্লানি ভুলে গিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এ উৎসবের আয়োজন করে অং হেলফ অ্যান্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামের একটি স্থানীয় রাখাইন এনজিও। করোনার দীর্ঘ দুই বছর পর এ উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পেরে রাখাইন পরিবারগুলোর মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন ফিতা কেটে জলকেলি উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। জলকেলি উৎসবে রাখাইন

নেতা নিউ নিউ খেইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বলেন, আদিবাসী রাখাইনদের নিরাপত্তা, খাদ্য বাসস্থান এবং উন্নত নাগরিক সেবায় জেলা প্রশাসন সব সময় পাশে আছে। আদিবাসী রাখাইনদের ভূমি অধিকারসহ শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে সরকার অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। তিনি আরও বলেন, ধর্ম ভিন্ন হলেও আমরা সবাই বাংলাদেশি, আমরা বাঙ্গালি এটাই আমাদের বড় পরিচয়। এ সময় জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন আরও বলেন, এক সময় আদিবাসী রাখাইনরা এই এলাকা আবাদ করে বসতি স্থাপন করে। তাদের কুয়ার নামেই আজকে কুয়াকাটার নাম করণ করা হয়েছে। এখন রাখাইনরা দিন দিন সংখ্যায় কমে আসছে। তাই রাখাইনদের অধিকার রক্ষায় সবাইকে একতাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, মহিপুর থানার ওসি মো. আবুল খায়ের, বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক ও অং হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট নিউ নিউ খেইন, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, মহিপুর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, পৌর কাউন্সিলর আবুল হোসেন ফরাজী প্রমুখ।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন রাখাইন পাড়ায় সপ্তাহব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাখাইনদের বর্ষবরণের আয়োজন চলছে।