খাল-নদী ভরাট করে বেদখল করবেন না মেয়র আতিক

ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আপনারা জনগণের খাল ও নদী বালু দিয়ে ভরাট করে বেদখল করবেন না। আপনারা নকশা অনুমোদনের সময় যে খেলার মাঠ, পার্ক, কবরস্থান দেখিয়েছেন সেগুলো নগরবাসীকে ফিরিয়ে দিন। সেগুলো ফিরিয়ে না দিলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে। এগুলো ফিরিয়ে না দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গতকাল রাজধানীর শ্যামলীতে ‘সাতটি পার্ক ও মাঠের শুভ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন উন্নয়ন ও সবুজায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উন্নয়নকৃত সাতটি পার্ক ও মাঠ নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো হলোÑ শ্যামলী পার্ক, ইকবাল রোড পার্ক, হুমায়ুন রোড পার্ক, বনানী ব্লক-সি পার্ক, বারিধারা পার্ক, বনানী ব্লক-এফ পার্ক, রায়ের বাজার বৈশাখী খেলার মাঠ।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খেলার মাঠ, পার্ক, খাল এগুলো উদ্ধার করে দিতেই হবে। তাদের প্রতি এটা আমাদের দায়িত্ব। এগুলো না দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রশ্ন করবে আপনারা আমাদের কী দিয়েছেন। মহানগর জরিপ অনুযায়ী ৬০(ষাট) ফিট খালকে ৬(ছয়) ফিট বানিয়ে খালের সীমানা নির্ধারণ করে দখল করা যাবে না। সি এস এবং আর এস অনুযায়ী যেটি বেশি সেই অনুযায়ী খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে।’

নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘আজ নববর্ষের উপহার হিসেবে যে সাতটি পার্ক ও মাঠ উন্মুক্ত করে দেয়া হলো এগুলো আপনাদেরই দেখে রাখতে হবে, এগুলো আপনাদেরই সম্পদ। এখানে সবুজায়ন করে দেয়া হয়েছে, মাঠ করে দেয়া হয়েছে এবং খেলার সরঞ্জাম দেয়া হয়েছে। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের নিতে হবে।’

এ সময় তিনি ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে এই পার্ক ও মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যাবস্থাপনা কমিটি করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২ , ০৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমাদ্বান ১৪৪৩

খাল-নদী ভরাট করে বেদখল করবেন না মেয়র আতিক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আপনারা জনগণের খাল ও নদী বালু দিয়ে ভরাট করে বেদখল করবেন না। আপনারা নকশা অনুমোদনের সময় যে খেলার মাঠ, পার্ক, কবরস্থান দেখিয়েছেন সেগুলো নগরবাসীকে ফিরিয়ে দিন। সেগুলো ফিরিয়ে না দিলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে। এগুলো ফিরিয়ে না দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গতকাল রাজধানীর শ্যামলীতে ‘সাতটি পার্ক ও মাঠের শুভ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন উন্নয়ন ও সবুজায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উন্নয়নকৃত সাতটি পার্ক ও মাঠ নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো হলোÑ শ্যামলী পার্ক, ইকবাল রোড পার্ক, হুমায়ুন রোড পার্ক, বনানী ব্লক-সি পার্ক, বারিধারা পার্ক, বনানী ব্লক-এফ পার্ক, রায়ের বাজার বৈশাখী খেলার মাঠ।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খেলার মাঠ, পার্ক, খাল এগুলো উদ্ধার করে দিতেই হবে। তাদের প্রতি এটা আমাদের দায়িত্ব। এগুলো না দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রশ্ন করবে আপনারা আমাদের কী দিয়েছেন। মহানগর জরিপ অনুযায়ী ৬০(ষাট) ফিট খালকে ৬(ছয়) ফিট বানিয়ে খালের সীমানা নির্ধারণ করে দখল করা যাবে না। সি এস এবং আর এস অনুযায়ী যেটি বেশি সেই অনুযায়ী খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে।’

নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘আজ নববর্ষের উপহার হিসেবে যে সাতটি পার্ক ও মাঠ উন্মুক্ত করে দেয়া হলো এগুলো আপনাদেরই দেখে রাখতে হবে, এগুলো আপনাদেরই সম্পদ। এখানে সবুজায়ন করে দেয়া হয়েছে, মাঠ করে দেয়া হয়েছে এবং খেলার সরঞ্জাম দেয়া হয়েছে। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের নিতে হবে।’

এ সময় তিনি ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে এই পার্ক ও মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যাবস্থাপনা কমিটি করার নির্দেশনা প্রদান করেন।