কক্সবাজার চ্যানেলে অস্ত্র-গুলিসহ ৬ মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার

স্যাটেলাইট ফোন, জিপিএস ও কম্পাসের মতো অত্যাধুনিক ডিভাইস ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচার করে আসছিল একটি চক্র। মূলত তাদের টার্গেটে ছিল বাংলাদেশি অসহায় যুবক বা মায়ানমার থেকে বাস্তচ্যুত হয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিক।

গতকাল ভোরে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলের নাজিরারটেক চ্যানেল থেকে অস্ত্র-গুলিসহ এই মানবপাচারকারী চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানতে পারে র‌্যাব। বিকেল ৪টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর শেখ ইউসুফ আহমেদ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেনÑ মহেশখালী উপজেলার শাহ জাহান (৩৭), মোহাম্মদ পারভেজ (২৩), একই এলাকার আবদুল মাজেদ (২৭), আমির মো. ফয়সাল (২৪), মোহাম্মদ শাকের ( ৩০) ও রফিকুল ইসলাম (৩৫)। তাদের প্রত্যেকে আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি দেশীয় বন্দুক, দুটি থ্রিকোয়ার্টার গান, চার রাউন্ড কার্তুজ, দুটি রামদা, একটি স্যাটেলাইট ফোন, একটি কম্পাস, একটি জিপিএস ডিভাইস, ১৬টি মোবাইল ফোন, ১০টি সিম কার্ড ও পাচারে ব্যবহৃত একটি ফিশিং ট্রলার।

রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২ , ০৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমাদ্বান ১৪৪৩

কক্সবাজার চ্যানেলে অস্ত্র-গুলিসহ ৬ মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার

স্যাটেলাইট ফোন, জিপিএস ও কম্পাসের মতো অত্যাধুনিক ডিভাইস ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচার করে আসছিল একটি চক্র। মূলত তাদের টার্গেটে ছিল বাংলাদেশি অসহায় যুবক বা মায়ানমার থেকে বাস্তচ্যুত হয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিক।

গতকাল ভোরে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলের নাজিরারটেক চ্যানেল থেকে অস্ত্র-গুলিসহ এই মানবপাচারকারী চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানতে পারে র‌্যাব। বিকেল ৪টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর শেখ ইউসুফ আহমেদ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেনÑ মহেশখালী উপজেলার শাহ জাহান (৩৭), মোহাম্মদ পারভেজ (২৩), একই এলাকার আবদুল মাজেদ (২৭), আমির মো. ফয়সাল (২৪), মোহাম্মদ শাকের ( ৩০) ও রফিকুল ইসলাম (৩৫)। তাদের প্রত্যেকে আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি দেশীয় বন্দুক, দুটি থ্রিকোয়ার্টার গান, চার রাউন্ড কার্তুজ, দুটি রামদা, একটি স্যাটেলাইট ফোন, একটি কম্পাস, একটি জিপিএস ডিভাইস, ১৬টি মোবাইল ফোন, ১০টি সিম কার্ড ও পাচারে ব্যবহৃত একটি ফিশিং ট্রলার।