২০ টন সরকারি চালসহ গ্রেপ্তার ৩

রাজশাহীর বাঘা খাদ্য গুদামের ৬৬৭ বস্তা সরকারি চাল চারঘাটের কাঁকড়ামারি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাঘা ও চারঘাট থানার পুলিশ কাঁকড়ামারি বাজারের দুটি চালের আড়ত থেকে এই চাল উদ্ধার করেন। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আড়তের মালিক সমসের আলী, মোস্তাকিন আলী ও তার ছেলে মফিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাঘা খাদ্য গুদামের দায়িত্বরতদের সহায়তায় ৬৬৭ বস্তা সরকারি চাল চারঘাটের কাঁকড়ামারি বাজারের ব্যবসায়ী বিশাল খাদ্য ভান্ডারের মালিক সমসের আলী এবং সুমি মায়া মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক মোস্তাকিন আলীর কাছে বিক্রি করেন। ক্রয়কৃত প্রতি ৩০ কেজি ওজনের সরকারি বস্তার চাল তারা নিজস্ব আড়তের বস্তায় প্যাকেট করেছিলেন। এ সময় বাঘা থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৬৬৭ বস্তায় ২০ টন ১০ কেজি চাল উদ্ধার করেন। এ সময় আড়তের মালিক সমসের, মোস্তাকিন ও তার ছেলে মফিজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় বাঘা থানায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে বাঘা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুবিউর রহমান বলেন, আমার অফিসের কর্মচারী আবদুল হালিম। তিনি চাকরির পাশাপাশি চালের ব্যবসা করেন। পুলিশের জব্দকৃত চাল সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি ও পাবনার ঈশ্বরদী থেকে আবদুল হালিক ক্রয় করেন।

রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২ , ০৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমাদ্বান ১৪৪৩

২০ টন সরকারি চালসহ গ্রেপ্তার ৩

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহীর বাঘা খাদ্য গুদামের ৬৬৭ বস্তা সরকারি চাল চারঘাটের কাঁকড়ামারি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাঘা ও চারঘাট থানার পুলিশ কাঁকড়ামারি বাজারের দুটি চালের আড়ত থেকে এই চাল উদ্ধার করেন। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আড়তের মালিক সমসের আলী, মোস্তাকিন আলী ও তার ছেলে মফিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাঘা খাদ্য গুদামের দায়িত্বরতদের সহায়তায় ৬৬৭ বস্তা সরকারি চাল চারঘাটের কাঁকড়ামারি বাজারের ব্যবসায়ী বিশাল খাদ্য ভান্ডারের মালিক সমসের আলী এবং সুমি মায়া মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক মোস্তাকিন আলীর কাছে বিক্রি করেন। ক্রয়কৃত প্রতি ৩০ কেজি ওজনের সরকারি বস্তার চাল তারা নিজস্ব আড়তের বস্তায় প্যাকেট করেছিলেন। এ সময় বাঘা থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৬৬৭ বস্তায় ২০ টন ১০ কেজি চাল উদ্ধার করেন। এ সময় আড়তের মালিক সমসের, মোস্তাকিন ও তার ছেলে মফিজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় বাঘা থানায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে বাঘা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুবিউর রহমান বলেন, আমার অফিসের কর্মচারী আবদুল হালিম। তিনি চাকরির পাশাপাশি চালের ব্যবসা করেন। পুলিশের জব্দকৃত চাল সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি ও পাবনার ঈশ্বরদী থেকে আবদুল হালিক ক্রয় করেন।