নতুন বছরকে স্বাগত জানাই

নববর্ষ আমাদের জীবনে আসে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনা নিয়ে। পুরনো বছরের সকল ব্যর্থতা, নৈরাশ্য ও জরাজীর্ণতা ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাই। মূলত ‘পহেলা বৈশাখ’ এই শব্দ দুটো শুনলেই আবেগাপ্লুত হয়ে যাই আমরা। বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে বৈশাখ মানে বিশেষ একটি দিন। নববর্ষ হলো বাঙালির সহস্র বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, রীতি-নীতি, প্রথা, আচার অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক।

বিদায়ী বছরের দুঃখ-বেদনা, নৈরাশ্য, স্বজনহারা আর্তনাদ, স্থবিরতার, হতাশা ও বঞ্চনাকে পেছনে ফেলে ভালো কিছু প্রাপ্তির স্বপ্ন নিয়ে মানুষ বরণ করে নেয় নতুন বছরকে। তরুণ সমাজের নববর্ষের শুরু হোক উদ্ভাবনীমূলক কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে। আমাদের প্রত্যেকের ভালো পরিকল্পনাগুলো সম্পন্ন করার প্রত্যয় নিয়ে যদি আমরা নতুন বছর শুরু করি তাহলে দেশের সামগ্রিক উন্নতি হবে।

বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যকে আগামীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজে আমাদের তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে। অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, স্বৈরাচারিতা, অন্যায় ও অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠতে হবে তরুণ প্রজন্মকে।

নতুন বছরের প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ সকল প্রকার অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে সবার জন্য মঙ্গল বার্তা বয়ে আনুক। প্রত্যাশা নতুন বছর সবার জন্য সুখ ও সৌভাগ্য বহন করে আনবে। নববর্ষে আমাদের জীবন কল্যাণের প্রাচুর্যে ভরে উঠুক। শান্তিময় হয়ে উঠুক দেশ ও জাতি।

সিনথিয়া সুমি

রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২ , ০৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমাদ্বান ১৪৪৩

নতুন বছরকে স্বাগত জানাই

নববর্ষ আমাদের জীবনে আসে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনা নিয়ে। পুরনো বছরের সকল ব্যর্থতা, নৈরাশ্য ও জরাজীর্ণতা ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাই। মূলত ‘পহেলা বৈশাখ’ এই শব্দ দুটো শুনলেই আবেগাপ্লুত হয়ে যাই আমরা। বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে বৈশাখ মানে বিশেষ একটি দিন। নববর্ষ হলো বাঙালির সহস্র বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, রীতি-নীতি, প্রথা, আচার অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক।

বিদায়ী বছরের দুঃখ-বেদনা, নৈরাশ্য, স্বজনহারা আর্তনাদ, স্থবিরতার, হতাশা ও বঞ্চনাকে পেছনে ফেলে ভালো কিছু প্রাপ্তির স্বপ্ন নিয়ে মানুষ বরণ করে নেয় নতুন বছরকে। তরুণ সমাজের নববর্ষের শুরু হোক উদ্ভাবনীমূলক কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে। আমাদের প্রত্যেকের ভালো পরিকল্পনাগুলো সম্পন্ন করার প্রত্যয় নিয়ে যদি আমরা নতুন বছর শুরু করি তাহলে দেশের সামগ্রিক উন্নতি হবে।

বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যকে আগামীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজে আমাদের তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে। অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, স্বৈরাচারিতা, অন্যায় ও অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠতে হবে তরুণ প্রজন্মকে।

নতুন বছরের প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ সকল প্রকার অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে সবার জন্য মঙ্গল বার্তা বয়ে আনুক। প্রত্যাশা নতুন বছর সবার জন্য সুখ ও সৌভাগ্য বহন করে আনবে। নববর্ষে আমাদের জীবন কল্যাণের প্রাচুর্যে ভরে উঠুক। শান্তিময় হয়ে উঠুক দেশ ও জাতি।

সিনথিয়া সুমি