বাণিজ্য বাড়াতে ভারতকে বিজিএমইএর অনুরোধ

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। গত শনিবার নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রসচিবের বাসভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিজিএমইএ পরিচালক তানভির আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সাক্ষাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বিদ্যমান সমস্যা, অশুল্ক বাধা, বিশেষ করে টেক্সটাইল পণ্যের বাণিজ্যে বিরাজমান সমস্যা ও সেসব সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নিয়েও তারা আলোচনা করেন।

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের যে বিশাল সুযোগ রয়েছে, ফারুক হাসান ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সামনে তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘উভয় দেশ একে অপরের পরিপূরক হিসেবে বিশেষ করে পোশাক ও টেক্সটাইল বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে পারস্পরিক সুবিধা লাভ করতে পারে। ভারত তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য আমাদের অন্যতম প্রধান বাজার। আমরা ফাইবার, ইয়ার্ন, ফেব্রিক্স, কেমিক্যালস, মেশিনারি, ডাইস প্রভৃতি আমদানি করি।’ বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে হাই-এন্ড এমএমএফ-ভিত্তিক পোশাক আইটেম প্রস্তুতে জোর দিচ্ছে। ভারত মনুষ্য-সৃষ্ট ফাইবারসহ টেক্সটাইলের একটি বৃহৎ সরবরাহকারী হিসেবে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারে।’

সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২ , ০৫ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমাদ্বান ১৪৪৩

বাণিজ্য বাড়াতে ভারতকে বিজিএমইএর অনুরোধ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। গত শনিবার নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রসচিবের বাসভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিজিএমইএ পরিচালক তানভির আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সাক্ষাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বিদ্যমান সমস্যা, অশুল্ক বাধা, বিশেষ করে টেক্সটাইল পণ্যের বাণিজ্যে বিরাজমান সমস্যা ও সেসব সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নিয়েও তারা আলোচনা করেন।

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের যে বিশাল সুযোগ রয়েছে, ফারুক হাসান ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সামনে তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘উভয় দেশ একে অপরের পরিপূরক হিসেবে বিশেষ করে পোশাক ও টেক্সটাইল বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে পারস্পরিক সুবিধা লাভ করতে পারে। ভারত তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য আমাদের অন্যতম প্রধান বাজার। আমরা ফাইবার, ইয়ার্ন, ফেব্রিক্স, কেমিক্যালস, মেশিনারি, ডাইস প্রভৃতি আমদানি করি।’ বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে হাই-এন্ড এমএমএফ-ভিত্তিক পোশাক আইটেম প্রস্তুতে জোর দিচ্ছে। ভারত মনুষ্য-সৃষ্ট ফাইবারসহ টেক্সটাইলের একটি বৃহৎ সরবরাহকারী হিসেবে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারে।’