এশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগ ও ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দেশীয় ব্যবসায়ের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করে তুলতে একটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী ও ঋণ প্রদানকারী রোডশোর আয়োজন করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। ব্যাংকের রিজনাল ফাইন্যান্সিং সল্যুশনস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন টিমের সহযোগিতায় রোডশোটি আয়োজন করা হয়।
রোডশোতে বক্তারা সাম্প্রতিক ব্যবসায়িক উন্নয়ন, উচ্চ-সম্ভাবনাময় খাতের ওপর নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি এবং বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের গল্পগুলো তুলে ধরেন। বাংলাদেশ যেভাবে সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করে উচ্চমাত্রার স্থিতিস্থাপকতা ও দৃঢ়তা প্রদর্শনের মাধ্যমে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে, বক্তারা স্পষ্টভাবে তা উপস্থাপন করেন।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘জাতি হিসেবে বাংলাদেশ বর্তমানে একটি ইনফ্লেকশন পয়েন্টে আছে। স্থিতিশীল সামষ্টিক-অর্থনৈতিক সূচক এবং মহামারী পরবর্তী সময়ে ঘুড়ে দাঁড়াতে গৃহীত দৃঢ় পদক্ষেপসমূহ আমাদের জাতিকে সেরা দুটি এশিয়ান অর্থনীতির একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা সাম্প্রতিক বাজার-অনিশ্চয়তার মধ্যেও স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করছে। ভবিষ্যতেও রূপান্তর ও প্রবৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসাবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ, ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিশ্চিত এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে স্থানীয় মহল, বৈশ্বিক স্টেকহোল্ডার এবং সরকারের সঙ্গে কাজ করছে।’
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিংয়ের হেড অফ করপোরেট ও ক্লায়েন্ট কভারেজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এনামুল হক বলেন, ‘দেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ এবং ঋণ প্রদানে লাভজনক সম্ভাবনা রয়েছে, যার প্রতিটিই সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অসাধারণ প্রবৃদ্ধি সাধন করেছে। এসব খাতের মধ্যে রয়েছেÑ তৈরি পোশাক, হালকা প্রকৌশল, ফার্মাসিউটিক্যালস ও অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিএস), কৃষি খাত, পাওয়ার ও এনার্জি, এবং আর্থিক খাত।’
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডয়ের (দক্ষিণ এশিয়া) হেড অব লোন সিন্ডিকেট অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন বীরেন্দ্র ধীর রিস্ক রিওয়ার্ড স্কেলে বাংলাদেশের সাম্যাবস্থা অর্জনের বিষয়টি উল্লেখ করে দেশের বর্তমান বহুমাত্রিক সম্ভাবনার বিষয়ে কথা বলেন।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটস মুহিত রহমান তার বক্তব্যে আবারও বাজার হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যাপক সাফল্যের আধার এবং অনন্য নতুন সম্ভাবনায় ভরপুর বলে উল্লেখ ধরেন। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জিডিপি’র বিপরীতে বাংলাদেশের দেনার পরিমাণ তুলনামূলক হারে অনেক কম। যার ফলে দেশের উন্নয়ন কর্মকা- চলমান রাখার জন্য প্রয়োজনে বিদেশি ঋণ সহায়তা পাওয়ার সুযোগও অনেক বেশি।’
সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২ , ০৫ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমাদ্বান ১৪৪৩
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
এশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগ ও ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দেশীয় ব্যবসায়ের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করে তুলতে একটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী ও ঋণ প্রদানকারী রোডশোর আয়োজন করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। ব্যাংকের রিজনাল ফাইন্যান্সিং সল্যুশনস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন টিমের সহযোগিতায় রোডশোটি আয়োজন করা হয়।
রোডশোতে বক্তারা সাম্প্রতিক ব্যবসায়িক উন্নয়ন, উচ্চ-সম্ভাবনাময় খাতের ওপর নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি এবং বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের গল্পগুলো তুলে ধরেন। বাংলাদেশ যেভাবে সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করে উচ্চমাত্রার স্থিতিস্থাপকতা ও দৃঢ়তা প্রদর্শনের মাধ্যমে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে, বক্তারা স্পষ্টভাবে তা উপস্থাপন করেন।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘জাতি হিসেবে বাংলাদেশ বর্তমানে একটি ইনফ্লেকশন পয়েন্টে আছে। স্থিতিশীল সামষ্টিক-অর্থনৈতিক সূচক এবং মহামারী পরবর্তী সময়ে ঘুড়ে দাঁড়াতে গৃহীত দৃঢ় পদক্ষেপসমূহ আমাদের জাতিকে সেরা দুটি এশিয়ান অর্থনীতির একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা সাম্প্রতিক বাজার-অনিশ্চয়তার মধ্যেও স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করছে। ভবিষ্যতেও রূপান্তর ও প্রবৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসাবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ, ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিশ্চিত এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে স্থানীয় মহল, বৈশ্বিক স্টেকহোল্ডার এবং সরকারের সঙ্গে কাজ করছে।’
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিংয়ের হেড অফ করপোরেট ও ক্লায়েন্ট কভারেজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এনামুল হক বলেন, ‘দেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ এবং ঋণ প্রদানে লাভজনক সম্ভাবনা রয়েছে, যার প্রতিটিই সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অসাধারণ প্রবৃদ্ধি সাধন করেছে। এসব খাতের মধ্যে রয়েছেÑ তৈরি পোশাক, হালকা প্রকৌশল, ফার্মাসিউটিক্যালস ও অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিএস), কৃষি খাত, পাওয়ার ও এনার্জি, এবং আর্থিক খাত।’
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডয়ের (দক্ষিণ এশিয়া) হেড অব লোন সিন্ডিকেট অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন বীরেন্দ্র ধীর রিস্ক রিওয়ার্ড স্কেলে বাংলাদেশের সাম্যাবস্থা অর্জনের বিষয়টি উল্লেখ করে দেশের বর্তমান বহুমাত্রিক সম্ভাবনার বিষয়ে কথা বলেন।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটস মুহিত রহমান তার বক্তব্যে আবারও বাজার হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যাপক সাফল্যের আধার এবং অনন্য নতুন সম্ভাবনায় ভরপুর বলে উল্লেখ ধরেন। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জিডিপি’র বিপরীতে বাংলাদেশের দেনার পরিমাণ তুলনামূলক হারে অনেক কম। যার ফলে দেশের উন্নয়ন কর্মকা- চলমান রাখার জন্য প্রয়োজনে বিদেশি ঋণ সহায়তা পাওয়ার সুযোগও অনেক বেশি।’