বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় ফরিদা বেগম ওরফে জাহানারা (৬০) নামে এক বিধবা নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফরিদাকে তার পূর্ব পরিচিত দুর্বৃত্তরা শ^াসরোধে হত্যার পর তার ঘরের মালামাল লুট করে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার সকাল ১০টার দিকে ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারাশিয়া গ্রাম থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ফরিদা বেগম ওরফে জাহানারা ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারাশিয়া গ্রামের মৃত সরদার রবিউল ইসলামের স্ত্রী।
বাগেরহাটের ফকিরহাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ছয়রুদ্দীন আহমেদ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, কয়েকবছর আগে ফরিদা বেগম ওরফে জাহানারার স্বামী মারা যান। এরপর থেকে তিনি একা এই বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রতিবেশীদের গরু-ছাগল লালন পালন করে যে টাকা রোজগার করতেন তা দিয়েই চলছিল তার সংসার। তার কাছে ছাগল লালন-পালন করতে দেয়া এক মালিক শওকাত গত দুইদিন ধরে ফরিদাকে না পেয়ে তার বাড়িতে খুঁজতে যান। বাড়িতে এসে ঘর তালাবন্ধ দেখতে পেয়ে বিষয়টি প্রতিবেশিদের জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সেখানে গিয়ে ঘরের তালা খুলে খাটের উপর থেকে মুখ বাঁধা অবস্থায় ফরিদার মরদেহটি উদ্ধার করে। ফরিদার ঘরের আলমারি ভাঙা দেখছি এবং ঘরের অন্যান্য মালামাল তছনছ করা। পূর্ব পরিচিত দুর্বৃত্তরা তাকে শ^াসরোধে হত্যা করে ঘরের তালাবন্ধ করে পালিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি। ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। অন্তত দুইদিন আগে এই নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ক্রাইমসিন টিমকে আসতে বলা হয়েছে। এই পরিচিতরা কারা, তারা কেন কি উদ্দেশ্যে এই নারীকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত ছাড়া এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছেনা।
সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২ , ০৫ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমাদ্বান ১৪৪৩
জেলা বার্তা পরিবশেক, বাগেরহাট
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় ফরিদা বেগম ওরফে জাহানারা (৬০) নামে এক বিধবা নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফরিদাকে তার পূর্ব পরিচিত দুর্বৃত্তরা শ^াসরোধে হত্যার পর তার ঘরের মালামাল লুট করে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার সকাল ১০টার দিকে ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারাশিয়া গ্রাম থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ফরিদা বেগম ওরফে জাহানারা ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারাশিয়া গ্রামের মৃত সরদার রবিউল ইসলামের স্ত্রী।
বাগেরহাটের ফকিরহাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ছয়রুদ্দীন আহমেদ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, কয়েকবছর আগে ফরিদা বেগম ওরফে জাহানারার স্বামী মারা যান। এরপর থেকে তিনি একা এই বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রতিবেশীদের গরু-ছাগল লালন পালন করে যে টাকা রোজগার করতেন তা দিয়েই চলছিল তার সংসার। তার কাছে ছাগল লালন-পালন করতে দেয়া এক মালিক শওকাত গত দুইদিন ধরে ফরিদাকে না পেয়ে তার বাড়িতে খুঁজতে যান। বাড়িতে এসে ঘর তালাবন্ধ দেখতে পেয়ে বিষয়টি প্রতিবেশিদের জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সেখানে গিয়ে ঘরের তালা খুলে খাটের উপর থেকে মুখ বাঁধা অবস্থায় ফরিদার মরদেহটি উদ্ধার করে। ফরিদার ঘরের আলমারি ভাঙা দেখছি এবং ঘরের অন্যান্য মালামাল তছনছ করা। পূর্ব পরিচিত দুর্বৃত্তরা তাকে শ^াসরোধে হত্যা করে ঘরের তালাবন্ধ করে পালিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি। ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। অন্তত দুইদিন আগে এই নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ক্রাইমসিন টিমকে আসতে বলা হয়েছে। এই পরিচিতরা কারা, তারা কেন কি উদ্দেশ্যে এই নারীকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত ছাড়া এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছেনা।