চট্টগ্রামে অপহৃত শিশু হবিগঞ্জে উদ্ধার গ্রেপ্তার ৩

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন রৌফাবাদ এলাকা থেকে ১৮ মাসের অপহৃত শিশুকে হবিগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। গত শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে পুলিশ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে।

এরা হলেন- মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার চিনখা দত্তে গাও মরা ছরির পাড় এলাকার বাসিন্দা সোহেল (২৯) ও তার স্ত্রীর কুলসুম ওরফে কুসুম ওরফে সুমি (২৭) এবং সোহেলের মা খোরশেদা বেগম (৫৫)। গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার খবরা নামক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে বায়েজিদ থানা পুলিশের একটি টিম।

বায়েজিদ থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, রৌফাবাদের রাজা মিয়ার কলোনিতে দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন গার্মেন্টস কর্মী মুক্তা বেগম ও স্বামী মাংস বিক্রেতা আব্দুল খালেক। তাদের ঘরে নাজমা আকতার নামে ১২ বছরের এক কন্যা ও ১৮ মাস বয়সি আরজু নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল আরজুকে নাজমার কাছে রেখে মুক্তা বেগম গার্মেন্টেসে চলে যান। আব্দুল খালেকও মাংস বিক্রির জন্য বাসা থেকে বের হয়ে যান। এক পর্যায়ে ছোট ভাইকে বাসায় রেখে নাজমা কলোনীর বাসা থেকে বাইরে গেলে পাশের বাসার কুলসুম কৌশলে আরজুকে চুরি করে নিয়ে যায়। পরে কুলসুম তার স্বামীর সহায়তায় শিশু আরজুকে নিয়ে হবিগঞ্জ চলে যায়। এদিকে সন্ধ্যায় বাসায় এসে শিশু পুত্র আরজুকে না পেয়ে থানায় যান মুক্তা বেগম। এরপর বায়েজিদ থানার একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে শিশু অপহরণকারী চক্রকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরও বলেন, শিশু আরজুকে অপহরণ করে আত্মগোপনে থাকে কুলসুম। সে বায়েজিদ এলাকায় বসবাস করে আসলেও তার আসল পরিচয় কেউ জানত না। তাই তার পরিচয় শনাক্ত করতে বেগ পেতে হয়েছে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে হবিগঞ্জ থেকে অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসময় অপহৃত শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, অপহরণকারী কুলসুমের কথিত স্বামী সোহেলের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়। সে আগে চট্টগ্রামে বসবাস করত। তখন নানান অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিল সোহেল। সোহেলের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার হলেও সে অপহৃত শিশু আরজুকে নিয়ে হবিগঞ্জ এলাকায় আত্মগোপন করে।

সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২ , ০৫ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমাদ্বান ১৪৪৩

চট্টগ্রামে অপহৃত শিশু হবিগঞ্জে উদ্ধার গ্রেপ্তার ৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন রৌফাবাদ এলাকা থেকে ১৮ মাসের অপহৃত শিশুকে হবিগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। গত শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে পুলিশ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে।

এরা হলেন- মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার চিনখা দত্তে গাও মরা ছরির পাড় এলাকার বাসিন্দা সোহেল (২৯) ও তার স্ত্রীর কুলসুম ওরফে কুসুম ওরফে সুমি (২৭) এবং সোহেলের মা খোরশেদা বেগম (৫৫)। গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার খবরা নামক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে বায়েজিদ থানা পুলিশের একটি টিম।

বায়েজিদ থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, রৌফাবাদের রাজা মিয়ার কলোনিতে দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন গার্মেন্টস কর্মী মুক্তা বেগম ও স্বামী মাংস বিক্রেতা আব্দুল খালেক। তাদের ঘরে নাজমা আকতার নামে ১২ বছরের এক কন্যা ও ১৮ মাস বয়সি আরজু নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল আরজুকে নাজমার কাছে রেখে মুক্তা বেগম গার্মেন্টেসে চলে যান। আব্দুল খালেকও মাংস বিক্রির জন্য বাসা থেকে বের হয়ে যান। এক পর্যায়ে ছোট ভাইকে বাসায় রেখে নাজমা কলোনীর বাসা থেকে বাইরে গেলে পাশের বাসার কুলসুম কৌশলে আরজুকে চুরি করে নিয়ে যায়। পরে কুলসুম তার স্বামীর সহায়তায় শিশু আরজুকে নিয়ে হবিগঞ্জ চলে যায়। এদিকে সন্ধ্যায় বাসায় এসে শিশু পুত্র আরজুকে না পেয়ে থানায় যান মুক্তা বেগম। এরপর বায়েজিদ থানার একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে শিশু অপহরণকারী চক্রকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরও বলেন, শিশু আরজুকে অপহরণ করে আত্মগোপনে থাকে কুলসুম। সে বায়েজিদ এলাকায় বসবাস করে আসলেও তার আসল পরিচয় কেউ জানত না। তাই তার পরিচয় শনাক্ত করতে বেগ পেতে হয়েছে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে হবিগঞ্জ থেকে অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসময় অপহৃত শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, অপহরণকারী কুলসুমের কথিত স্বামী সোহেলের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়। সে আগে চট্টগ্রামে বসবাস করত। তখন নানান অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিল সোহেল। সোহেলের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার হলেও সে অপহৃত শিশু আরজুকে নিয়ে হবিগঞ্জ এলাকায় আত্মগোপন করে।