চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে দুরুল হোদা। চলতি বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি দুরুল হোদার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাদী হয়ে ঢাকার শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাচোল থানার ওসি মিন্টু রহমান।
জানা গেছে, ২০১২ সালে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে নাচোল থানায় দুরুল হোদার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। এরপর ২০১৪ সালে এলাকা ছেড়ে তিনি রাজধানীতে পাড়ি জমান। এ সময় কতিপয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি সখ্যতা গড়ে তোলেন। অথচ দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়া স্বত্বেও একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে মন্ত্রণালয় এবং সচিবালয় থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আদায় করতে থাকেন নানান সুযোগ-সুবিধা। একইসঙ্গে তিনি প্রতারণার মাধ্যমে অর্থবিত্তে ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকেন। সর্বশেষ তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম বাবু। চলতি বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি প্রতারণার অভিযোগ এনে দুরুল হোদার বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন রেজাউল করিম। অভিযোগ রয়েছে, দুরুল হোদার নির্দিষ্ট কোন চাকরি বা কর্মসংস্থান না থাকলেও নিজ গ্রামে গড়ে তুলেছেন একাধিক অট্টালিকা। ঘুরে বেড়ান দামী প্রাইভেট মাইক্রোবাসে করে। নাইম এন্টারপ্রাইজ নামে তার ঢাকায় সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক শাখায় প্রতারণার মাধ্যমে উপার্জিত প্রায় ১০ কোটি টাকার দুটি অ্যাকাউন্টের রয়েছে বলেও জানা গেছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময় সরকারবিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নাচোলের আওয়ামী লীগ নেতা ও মির্জাপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, দুরুল হোদা ছাত্রজীবনে শিবির থেকে উঠে আসা এক বিএনপি নেতা। তিনি বিভিন্ন প্রকল্প দেয়ার নামে অনেকের কাছে থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এভাবেই অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে গ্রামে দুটি বাড়িও নির্মাণ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে উপজেলা বিএনপির সাবেক নির্বাহী সদস্য নোমান আলি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে দুরুলকে বিএনপির কোন সভা-সমাবেশে না দেখলেও সে নাকি হঠাৎ বিএনপির উপজেলা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক। সেটিও একটা বিতর্কিত কমিটি।
এ বিষয়ে জানতে দুরুল হোদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। এসব অভিযোগকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তিনি।
সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২ , ০৫ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমাদ্বান ১৪৪৩
প্রতিনিধি, শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে দুরুল হোদা। চলতি বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি দুরুল হোদার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাদী হয়ে ঢাকার শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাচোল থানার ওসি মিন্টু রহমান।
জানা গেছে, ২০১২ সালে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে নাচোল থানায় দুরুল হোদার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। এরপর ২০১৪ সালে এলাকা ছেড়ে তিনি রাজধানীতে পাড়ি জমান। এ সময় কতিপয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি সখ্যতা গড়ে তোলেন। অথচ দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়া স্বত্বেও একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে মন্ত্রণালয় এবং সচিবালয় থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আদায় করতে থাকেন নানান সুযোগ-সুবিধা। একইসঙ্গে তিনি প্রতারণার মাধ্যমে অর্থবিত্তে ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকেন। সর্বশেষ তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম বাবু। চলতি বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি প্রতারণার অভিযোগ এনে দুরুল হোদার বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন রেজাউল করিম। অভিযোগ রয়েছে, দুরুল হোদার নির্দিষ্ট কোন চাকরি বা কর্মসংস্থান না থাকলেও নিজ গ্রামে গড়ে তুলেছেন একাধিক অট্টালিকা। ঘুরে বেড়ান দামী প্রাইভেট মাইক্রোবাসে করে। নাইম এন্টারপ্রাইজ নামে তার ঢাকায় সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক শাখায় প্রতারণার মাধ্যমে উপার্জিত প্রায় ১০ কোটি টাকার দুটি অ্যাকাউন্টের রয়েছে বলেও জানা গেছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময় সরকারবিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নাচোলের আওয়ামী লীগ নেতা ও মির্জাপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, দুরুল হোদা ছাত্রজীবনে শিবির থেকে উঠে আসা এক বিএনপি নেতা। তিনি বিভিন্ন প্রকল্প দেয়ার নামে অনেকের কাছে থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এভাবেই অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে গ্রামে দুটি বাড়িও নির্মাণ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে উপজেলা বিএনপির সাবেক নির্বাহী সদস্য নোমান আলি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে দুরুলকে বিএনপির কোন সভা-সমাবেশে না দেখলেও সে নাকি হঠাৎ বিএনপির উপজেলা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক। সেটিও একটা বিতর্কিত কমিটি।
এ বিষয়ে জানতে দুরুল হোদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। এসব অভিযোগকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তিনি।