দাবদাহ : বৃষ্টির জন্য কাঁদছে বরেন্দ্র অঞ্চল

বাতাসে যেন আগুনের হলকা, বিবর্ণ সবুজ প্রকৃতি

দাবদাহে বরেন্দ্র অঞ্চলের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বিবর্ণ হয়ে উঠেছে রাজশাহীর সবুজ প্রকৃতি! গাছের পাতাও যেন নড়ছে না। খরায় মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। কমে গেছে খাল-বিলের পানি। অনেক পুকুরও শুকিয়ে গেছে। আগুনমুখো আবহাওয়ায় প্রায় অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। লু হাওয়ায় হাঁপিয়ে উঠেছে পশু-পাখিরাও। একটু বৃষ্টি ও শীতল হাওয়ার পরশ পেতে সাধারণ মানুষ যেন ব্যাকুল হয়ে উঠেছে। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও গরমের দাপট কমেনি। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত এই তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার কোন সম্ভাবনা আপাতত নেই। এদিকে তীব্র গরমের ফলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, রাজশাহীর ওপর দিয়ে এখন মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আট বছর পর গত শুক্রবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গতকাল দুপুর ২টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমকি ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তবে রোদের তেজ ও গরম কোনটাই কমেনি। রমজানের মধ্য ভাগে আগুনমুখো আবহাওয়ায় প্রায় অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। দুপুর গড়াতে সড়কে যানবাহন চলাচল কমে আসে। কমে যায় পথাচারীদের স্বাভাবিক চলাচলও। সড়কে সবাই গাছের সুশীতল ছায়া খুঁজছেন। যেখানেই ছায়া পাচ্ছেন কিছুটা সময় সেখানেই দাঁড়িয়ে স্বস্তির শ্বাস নিচ্ছেন।

মাথার উপরের নীল আকাশটা যেনো তাতানো কড়াই হয়ে গছে। ঘরের টিনও যেন গরম লৌহকু- হয়ে উঠেছে। পিচঢালা সড়কের উপর যেন ধোঁয়া উড়ছে। এতে দূরপাল্লার যানবাহনের চালকরা পড়ছেন বিপাকে। যানবাহনের গতিও কমেছে।

সূর্যের কিরণে শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। গরম বাতাস শরীরে বিধছে আগুনের হলকার মতো। দক্ষিণের মরা পদ্মা থেকে বাতাসে ভেসে আসা ধূলিকণাগুলোও যেন এখন শরীরে গরম ছ্যাঁকা দিচ্ছে। প্রচ- তাপপ্রবাহের কারণে খালি মাথায় কোনভাবেই বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। লু হাওয়ায় হাপিয়ে উঠেছে পশু-পাখিরাও। প্রখর রোদে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। একটু শীতল প্রশান্তির জন্য শিশু-কিশোররা পুকুরের পানিতে নেমে দাপাদাপি করছে। পথের ধারে ড্রেন বা ডোবা-নালা পেলে তাতে নেমে পড়ছে প্রাণীকুল।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিনের তীব্র গরমে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি, হৃদরোগ ও স্ট্রোকসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসছে। এসব রোগে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তর সংখ্যাও বাড়ছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, রাজশাহীতে হঠাৎ করে আবারও তাপমাত্রা বাড়ায় ঘরে ঘরে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এসব রোগে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের দুর্ভোগ বেড়েছে এ তীব্র গরমে।

বৃদ্ধ ও শিশুদের রোদে বের না হয়ে ঠা-া পরিবেশের মধ্যে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি, ডাব ও দেশি ফলমূল বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মো. গাওসুজ্জামান জানান, গতকাল দুপুর ২টায় এবং ৩টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ এবং বেলা ৩টায় ৫২ শতাংশ। গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে রাজশাহীর ওপর দিয়ে এখনও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাই গরমের তীব্রতা কমছে না।

তিনি বলেন, তাপমাত্রা সাধারণত ৩৬ থকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকলে তাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। এছাড়া তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলেই তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পার করলে তাকে বলা হয় অতি তীব্রতাপপ্রবাহ। আট বছর পর শুক্রবার রাজশাহীতে তাপমাত্রার পারদ ৪১ ডিগ্রি ছাড়ায়। এর আগে ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য মতে, এর আগে ২০০০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর তাপমাত্রা বাড়লেও এখন পর্যন্ত রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আর ৪২ ডিগ্রি অতিক্রম করেনি। ১৯৪৯ সাল থেকে দেশে তাপমাত্রার রেকর্ড শুরু হয়। এর মধ্যে ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও পরিসংখ্যানে উল্লে­খ করা হয়েছে।

সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২ , ০৫ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমাদ্বান ১৪৪৩

দাবদাহ : বৃষ্টির জন্য কাঁদছে বরেন্দ্র অঞ্চল

বাতাসে যেন আগুনের হলকা, বিবর্ণ সবুজ প্রকৃতি

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

image

রাজশাহী : দাবদাহ ও অনাবৃষ্টিতে ফসলের মাঠ ফেটে চৌঁচির -সংবাদ

দাবদাহে বরেন্দ্র অঞ্চলের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বিবর্ণ হয়ে উঠেছে রাজশাহীর সবুজ প্রকৃতি! গাছের পাতাও যেন নড়ছে না। খরায় মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। কমে গেছে খাল-বিলের পানি। অনেক পুকুরও শুকিয়ে গেছে। আগুনমুখো আবহাওয়ায় প্রায় অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। লু হাওয়ায় হাঁপিয়ে উঠেছে পশু-পাখিরাও। একটু বৃষ্টি ও শীতল হাওয়ার পরশ পেতে সাধারণ মানুষ যেন ব্যাকুল হয়ে উঠেছে। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও গরমের দাপট কমেনি। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত এই তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার কোন সম্ভাবনা আপাতত নেই। এদিকে তীব্র গরমের ফলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, রাজশাহীর ওপর দিয়ে এখন মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আট বছর পর গত শুক্রবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গতকাল দুপুর ২টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমকি ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তবে রোদের তেজ ও গরম কোনটাই কমেনি। রমজানের মধ্য ভাগে আগুনমুখো আবহাওয়ায় প্রায় অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। দুপুর গড়াতে সড়কে যানবাহন চলাচল কমে আসে। কমে যায় পথাচারীদের স্বাভাবিক চলাচলও। সড়কে সবাই গাছের সুশীতল ছায়া খুঁজছেন। যেখানেই ছায়া পাচ্ছেন কিছুটা সময় সেখানেই দাঁড়িয়ে স্বস্তির শ্বাস নিচ্ছেন।

মাথার উপরের নীল আকাশটা যেনো তাতানো কড়াই হয়ে গছে। ঘরের টিনও যেন গরম লৌহকু- হয়ে উঠেছে। পিচঢালা সড়কের উপর যেন ধোঁয়া উড়ছে। এতে দূরপাল্লার যানবাহনের চালকরা পড়ছেন বিপাকে। যানবাহনের গতিও কমেছে।

সূর্যের কিরণে শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। গরম বাতাস শরীরে বিধছে আগুনের হলকার মতো। দক্ষিণের মরা পদ্মা থেকে বাতাসে ভেসে আসা ধূলিকণাগুলোও যেন এখন শরীরে গরম ছ্যাঁকা দিচ্ছে। প্রচ- তাপপ্রবাহের কারণে খালি মাথায় কোনভাবেই বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। লু হাওয়ায় হাপিয়ে উঠেছে পশু-পাখিরাও। প্রখর রোদে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। একটু শীতল প্রশান্তির জন্য শিশু-কিশোররা পুকুরের পানিতে নেমে দাপাদাপি করছে। পথের ধারে ড্রেন বা ডোবা-নালা পেলে তাতে নেমে পড়ছে প্রাণীকুল।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিনের তীব্র গরমে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি, হৃদরোগ ও স্ট্রোকসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসছে। এসব রোগে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তর সংখ্যাও বাড়ছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, রাজশাহীতে হঠাৎ করে আবারও তাপমাত্রা বাড়ায় ঘরে ঘরে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এসব রোগে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের দুর্ভোগ বেড়েছে এ তীব্র গরমে।

বৃদ্ধ ও শিশুদের রোদে বের না হয়ে ঠা-া পরিবেশের মধ্যে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি, ডাব ও দেশি ফলমূল বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মো. গাওসুজ্জামান জানান, গতকাল দুপুর ২টায় এবং ৩টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ এবং বেলা ৩টায় ৫২ শতাংশ। গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে রাজশাহীর ওপর দিয়ে এখনও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাই গরমের তীব্রতা কমছে না।

তিনি বলেন, তাপমাত্রা সাধারণত ৩৬ থকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকলে তাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। এছাড়া তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলেই তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পার করলে তাকে বলা হয় অতি তীব্রতাপপ্রবাহ। আট বছর পর শুক্রবার রাজশাহীতে তাপমাত্রার পারদ ৪১ ডিগ্রি ছাড়ায়। এর আগে ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য মতে, এর আগে ২০০০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর তাপমাত্রা বাড়লেও এখন পর্যন্ত রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আর ৪২ ডিগ্রি অতিক্রম করেনি। ১৯৪৯ সাল থেকে দেশে তাপমাত্রার রেকর্ড শুরু হয়। এর মধ্যে ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও পরিসংখ্যানে উল্লে­খ করা হয়েছে।