অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো ‘পছন্দ করবে না সরকার’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কোন রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করুক এমনটা চায় না সরকার। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার পুরো দায়িত্ব দেশের সরকারের।

সেইসঙ্গে তিনি মার্কিন মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিষয়ে অনেক মৌলিক তথ্যে ‘ভুল’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিবেদনের বিভিন্ন বিষয়ে ওয়াশিংটনের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ সরকার।’

গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন তিনি। নিজের হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এই রিপোর্টে অনেক কিছু আছে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।’

প্রতিবেদনের কিছু তথ্য বাংলাদেশের বাস্তবতা থেকে ‘যোজন যোজন দূর’ দাবি করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেগুলো আমরা আউটরাইট রিজেক্ট করছি, এগুলো বাংলাদেশ কখনোই এন্টারটেইন করতে পারবে না। বিশেষ করে সমকামীদের অধিকারের বিষয়ে যা বলা হয়েছে।’

র?্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোন ভালো প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে দেয়ার চেষ্টা সরকার ভালো চোখে দেখবে না।’ বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটন করেছে কিন্তু এখানেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ কারণে র?্যাবের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিন্দা না করার অনুরোধ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে জানতে চাইবো এই রিপোর্টে যেসব অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য এবং অন্যান্য তথ্য দেয়া হয়েছে সেগুলো কেন দেয়া হলো এবং যেখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে সেখানে আমরা

তাদের সঙ্গে যুক্ত হবো।’

আইন ও সালিশকেন্দ্রকে উর্দ্ধৃত করে ৬০৬টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের কথা বলা হলেও এ সংখ্যা তাদের প্রতিবেদনের সঙ্গে মেলে না বলে দাবি করেন শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘এই রিপোর্টে যে কোয়ালিটি অব রিসার্চ বা ডেটা ব্যবহার করা হয়েছে। এটার মধ্যে একটা বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে।’

‘আরও দুয়েকটা দেশও রিঅ্যাকশন দিয়েছে, সেখানেও কিছু ফান্ডামেন্টাল ভুল বা ফ্লজ আছে। এই রিপোর্টের কোয়ালিটিটাকে অ্যাপ্রেশিয়েট করা যাচ্ছে না। এ কারণে, আনফরচুনেটলি।’

২০২১ সালে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গত মঙ্গলবার ৭৪ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২ , ০৫ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমাদ্বান ১৪৪৩

মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট

অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো ‘পছন্দ করবে না সরকার’

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কোন রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করুক এমনটা চায় না সরকার। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার পুরো দায়িত্ব দেশের সরকারের।

সেইসঙ্গে তিনি মার্কিন মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিষয়ে অনেক মৌলিক তথ্যে ‘ভুল’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিবেদনের বিভিন্ন বিষয়ে ওয়াশিংটনের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ সরকার।’

গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন তিনি। নিজের হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এই রিপোর্টে অনেক কিছু আছে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।’

প্রতিবেদনের কিছু তথ্য বাংলাদেশের বাস্তবতা থেকে ‘যোজন যোজন দূর’ দাবি করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেগুলো আমরা আউটরাইট রিজেক্ট করছি, এগুলো বাংলাদেশ কখনোই এন্টারটেইন করতে পারবে না। বিশেষ করে সমকামীদের অধিকারের বিষয়ে যা বলা হয়েছে।’

র?্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোন ভালো প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে দেয়ার চেষ্টা সরকার ভালো চোখে দেখবে না।’ বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটন করেছে কিন্তু এখানেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ কারণে র?্যাবের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিন্দা না করার অনুরোধ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে জানতে চাইবো এই রিপোর্টে যেসব অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য এবং অন্যান্য তথ্য দেয়া হয়েছে সেগুলো কেন দেয়া হলো এবং যেখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে সেখানে আমরা

তাদের সঙ্গে যুক্ত হবো।’

আইন ও সালিশকেন্দ্রকে উর্দ্ধৃত করে ৬০৬টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের কথা বলা হলেও এ সংখ্যা তাদের প্রতিবেদনের সঙ্গে মেলে না বলে দাবি করেন শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘এই রিপোর্টে যে কোয়ালিটি অব রিসার্চ বা ডেটা ব্যবহার করা হয়েছে। এটার মধ্যে একটা বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে।’

‘আরও দুয়েকটা দেশও রিঅ্যাকশন দিয়েছে, সেখানেও কিছু ফান্ডামেন্টাল ভুল বা ফ্লজ আছে। এই রিপোর্টের কোয়ালিটিটাকে অ্যাপ্রেশিয়েট করা যাচ্ছে না। এ কারণে, আনফরচুনেটলি।’

২০২১ সালে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গত মঙ্গলবার ৭৪ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।