রূপগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে প্যানেল চেয়ারম্যানের ভাতিজার নেতৃত্বে জোর করে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ শনিবার রাতে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ধর্ষিতার পরিবার জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসনকেন্দ্রের ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী (১৪) বাড়ির সামনে দোকানে সদাই কিনতে গেলে সেখান থেকে জোর করে তাকে তুলে নিয়ে যায় একই এলাকার হাসানের ছেলে জহির হোসেন পন্টু, সিরাজুল ইসলামের ছেলে মুন্না, আবুল হোসেনের ছেলে ওসমান, শাহীনের ছেলে সাকিব ও আবুলের ছেলে অনিক। পরে তারা ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় সিটি গ্রুপের বালুরচরে ৫ জন মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পরিবার থেকে তাকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে জানতে পারে বখাটে সন্ত্রাসীরা ওই শিক্ষার্থীকে বালুচরে নিয়ে গেছে। পরে পরিবারের লোকজন গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বালুচরের দিকে যায়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে শিক্ষার্থীকে গুরুতর অবস্থায় তারা সেখানে ফেলে রেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করান। এ ঘটনায় গত শুক্রবার শিক্ষার্থীর বড় ভাই বাদী হয়ে ওই ৫ জনকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। গত শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২ , ০৫ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমাদ্বান ১৪৪৩

রূপগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪

প্রতিনিধি, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে প্যানেল চেয়ারম্যানের ভাতিজার নেতৃত্বে জোর করে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ শনিবার রাতে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ধর্ষিতার পরিবার জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসনকেন্দ্রের ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী (১৪) বাড়ির সামনে দোকানে সদাই কিনতে গেলে সেখান থেকে জোর করে তাকে তুলে নিয়ে যায় একই এলাকার হাসানের ছেলে জহির হোসেন পন্টু, সিরাজুল ইসলামের ছেলে মুন্না, আবুল হোসেনের ছেলে ওসমান, শাহীনের ছেলে সাকিব ও আবুলের ছেলে অনিক। পরে তারা ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় সিটি গ্রুপের বালুরচরে ৫ জন মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পরিবার থেকে তাকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে জানতে পারে বখাটে সন্ত্রাসীরা ওই শিক্ষার্থীকে বালুচরে নিয়ে গেছে। পরে পরিবারের লোকজন গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বালুচরের দিকে যায়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে শিক্ষার্থীকে গুরুতর অবস্থায় তারা সেখানে ফেলে রেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করান। এ ঘটনায় গত শুক্রবার শিক্ষার্থীর বড় ভাই বাদী হয়ে ওই ৫ জনকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। গত শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।