এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া প্রায় সাত হাজার শিক্ষকের এমপিওভুক্তি এবং তাদের বয়স সংক্রান্ত জটিলতার অবসান ঘটেছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
‘তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে’ নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিসহ কয়েকটি সমস্যা নিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই সভায় ৩৫ বছরের অধিক বয়সীদের (শিক্ষক) নীতিমালা অনুযায়ী যোগদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে যেসব পদে কেউ যোগদান করেনি সেসব পদে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের বলেন, এমপিও নীতিমালায় সব বিভাগে সমন্বয় করা হবে। যেকোন বিভাগে নিবন্ধনধারী হলে তিনি অন্য বিভাগে গেলে নতুন করে এমপিও করতে হবে না।
গত জানুয়ারিতে ‘তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি’র মাধ্যমে ৩৪ হাজার শিক্ষককে সুপারিশপত্র করে এনটিআরসিএ। এসব শিক্ষক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন।
কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি করেছে ২০২১ সালের সংশোধিত এমপিও নীতিমালা। কারণ ওই নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩৫ বছর।
এতে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন বাতিল করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়গুলো। এর ফলে সাত হাজার শিক্ষকের এমপিও আটকে যায়। চার মাস ধরে তারা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এমপিও নীতিমালায় বয়সের যে কাঠামো দেয়া আছে, সেটার সঙ্গে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যারা চাকরি পেয়েছেন, তা মিলছে না। তবে যেহেতু আদালতের নির্দেশনা আছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেই নির্দেশনার মধ্যে তাদের নিয়ে আসবে। অনেকের আবার কাগজপত্রেও সমস্যা থাকে। কাজেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে তো দেয়া সম্ভব নয়।
সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২ , ০৫ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমাদ্বান ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া প্রায় সাত হাজার শিক্ষকের এমপিওভুক্তি এবং তাদের বয়স সংক্রান্ত জটিলতার অবসান ঘটেছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
‘তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে’ নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিসহ কয়েকটি সমস্যা নিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই সভায় ৩৫ বছরের অধিক বয়সীদের (শিক্ষক) নীতিমালা অনুযায়ী যোগদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে যেসব পদে কেউ যোগদান করেনি সেসব পদে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের বলেন, এমপিও নীতিমালায় সব বিভাগে সমন্বয় করা হবে। যেকোন বিভাগে নিবন্ধনধারী হলে তিনি অন্য বিভাগে গেলে নতুন করে এমপিও করতে হবে না।
গত জানুয়ারিতে ‘তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি’র মাধ্যমে ৩৪ হাজার শিক্ষককে সুপারিশপত্র করে এনটিআরসিএ। এসব শিক্ষক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন।
কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি করেছে ২০২১ সালের সংশোধিত এমপিও নীতিমালা। কারণ ওই নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩৫ বছর।
এতে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন বাতিল করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়গুলো। এর ফলে সাত হাজার শিক্ষকের এমপিও আটকে যায়। চার মাস ধরে তারা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এমপিও নীতিমালায় বয়সের যে কাঠামো দেয়া আছে, সেটার সঙ্গে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যারা চাকরি পেয়েছেন, তা মিলছে না। তবে যেহেতু আদালতের নির্দেশনা আছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেই নির্দেশনার মধ্যে তাদের নিয়ে আসবে। অনেকের আবার কাগজপত্রেও সমস্যা থাকে। কাজেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে তো দেয়া সম্ভব নয়।