জেএমবির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারজেএমবির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ইসাবা গ্রুপের (সামরিক শাখা) মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। তার নাম মো. সানোয়ার হোসেন ওরফে আবদুর রউফ। গত শনিবার নওগাঁর পতœীতলা থানার নজিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এটিইউ’র এসপি (মিডিয়া) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় ২০১২ সালের এপ্রিলে করা একটি মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সানোয়ার। তিনি নওগাঁর পতœীতলা থানার ছোট চাঁদপুর এলাকায় আবদুল্লাহ নাম ধারণ আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন এবং ভেড়া লালন-পালন করতেন।

সানোয়ার ২০০০ সালের পরে শায়খ আবদুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্য হন। তখন সে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হিসেবে নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল। ২০০৭ সালে ২৯ মার্চ শায়খ আবদুর রহমানের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হলে বেশ কিছুদিন পর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমীর হয়।

পরবর্তীতে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে এবং তাদের আন্তঃকোন্দলের কারণে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল জেএমবি’র স্বঘোষিত আমীর সালমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার খুলশী বোরিয়া আমবাগান এলাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে এবং তার মাথা ও দেহ দুই জায়গায় ফেলে দেয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার আবদুর শাকুর ওরফে শাকুর ও জাহাঙ্গীরের দেয়া তথ্য মতে মহানন্দা নদীর তীর থেকে পুঁতে রাখা সালমানের মাথাটি উদ্ধার করা হয়। সানোয়ার ১০ বৎসর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর

বিভিন্ন এলাকায় আতœগোপনে থেকে পুরাতন জেএমবিকে সক্রিয় করার কাজ করছিলেন। তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানা ও গোমস্তাপুর থানায় মামলা রয়েছে। এসব মামলায় সে অভিযুক্ত। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালত সালমান হত্যা মামলায় সানোয়ারসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২ , ০৫ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমাদ্বান ১৪৪৩

জেএমবির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারজেএমবির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ইসাবা গ্রুপের (সামরিক শাখা) মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। তার নাম মো. সানোয়ার হোসেন ওরফে আবদুর রউফ। গত শনিবার নওগাঁর পতœীতলা থানার নজিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এটিইউ’র এসপি (মিডিয়া) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় ২০১২ সালের এপ্রিলে করা একটি মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সানোয়ার। তিনি নওগাঁর পতœীতলা থানার ছোট চাঁদপুর এলাকায় আবদুল্লাহ নাম ধারণ আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন এবং ভেড়া লালন-পালন করতেন।

সানোয়ার ২০০০ সালের পরে শায়খ আবদুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্য হন। তখন সে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হিসেবে নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল। ২০০৭ সালে ২৯ মার্চ শায়খ আবদুর রহমানের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হলে বেশ কিছুদিন পর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমীর হয়।

পরবর্তীতে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে এবং তাদের আন্তঃকোন্দলের কারণে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল জেএমবি’র স্বঘোষিত আমীর সালমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার খুলশী বোরিয়া আমবাগান এলাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে এবং তার মাথা ও দেহ দুই জায়গায় ফেলে দেয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার আবদুর শাকুর ওরফে শাকুর ও জাহাঙ্গীরের দেয়া তথ্য মতে মহানন্দা নদীর তীর থেকে পুঁতে রাখা সালমানের মাথাটি উদ্ধার করা হয়। সানোয়ার ১০ বৎসর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর

বিভিন্ন এলাকায় আতœগোপনে থেকে পুরাতন জেএমবিকে সক্রিয় করার কাজ করছিলেন। তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানা ও গোমস্তাপুর থানায় মামলা রয়েছে। এসব মামলায় সে অভিযুক্ত। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালত সালমান হত্যা মামলায় সানোয়ারসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।