আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ সুদহার ১১ শতাংশ

ব্যাংকের পাশাপাশি এবার ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও আমানত ও ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হার বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে পারবে। আর আমানতের বিপরীতে সুদ দেয়া যাবে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ। এই সিদ্ধান্ত আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

নির্দেশনা কার্যকর হওয়ার আগের আমানতের ক্ষেত্রে সুদের হার ওই আমানতের বর্তমান মেয়াদপূর্তির পর নতুন নির্দশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।

২০২০ সালের এপ্রিলে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ব্যাংক ঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ আর আমানতে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদহার ঠিক করে দেয়া হয়। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার বেঁধে দেয়া হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানে আমানত ও ঋণের সুদহার তুলনামূলক বেশি থাকে সব সময়ই। এই বিবেচনায় আমানতের ক্ষেত্রে এক শতাংশ, আর ঋণের ক্ষেত্রে দুই শতাংশ বাড়তি সুদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।

ব্যাংকগুলো চলতিসহ সব ধরনের আমানত নিতে পারে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছয় মাসের কম মেয়াদি কোন আমানত নিতে পারে না। আবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনেকে আমানত রাখতে চান না। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে অনেকে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা বের করে নেয়ার তথ্যও ফাঁস হয়েছে।

কোন-কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আগের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। এতে সাধারণ আমানতকারীদের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও এখন এসব প্রতিষ্ঠানে আগের মতো টাকা রাখতে চাইছে না। আমানত টানতে অনেক প্রতিষ্ঠান ৮ থেকে ১২ শতাংশ সুদ দিতে চাইছে। আর ঋণ দিচ্ছে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সুদে। এ অবস্থায় গত ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ঋণ ও আমানতে সুদ হারের সর্বোচ্চ সীমা বেধে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২ , ০৬ বৈশাখ ১৪২৮ ১৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ সুদহার ১১ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ব্যাংকের পাশাপাশি এবার ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও আমানত ও ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হার বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে পারবে। আর আমানতের বিপরীতে সুদ দেয়া যাবে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ। এই সিদ্ধান্ত আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

নির্দেশনা কার্যকর হওয়ার আগের আমানতের ক্ষেত্রে সুদের হার ওই আমানতের বর্তমান মেয়াদপূর্তির পর নতুন নির্দশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।

২০২০ সালের এপ্রিলে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ব্যাংক ঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ আর আমানতে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদহার ঠিক করে দেয়া হয়। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার বেঁধে দেয়া হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানে আমানত ও ঋণের সুদহার তুলনামূলক বেশি থাকে সব সময়ই। এই বিবেচনায় আমানতের ক্ষেত্রে এক শতাংশ, আর ঋণের ক্ষেত্রে দুই শতাংশ বাড়তি সুদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।

ব্যাংকগুলো চলতিসহ সব ধরনের আমানত নিতে পারে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছয় মাসের কম মেয়াদি কোন আমানত নিতে পারে না। আবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনেকে আমানত রাখতে চান না। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে অনেকে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা বের করে নেয়ার তথ্যও ফাঁস হয়েছে।

কোন-কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আগের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। এতে সাধারণ আমানতকারীদের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও এখন এসব প্রতিষ্ঠানে আগের মতো টাকা রাখতে চাইছে না। আমানত টানতে অনেক প্রতিষ্ঠান ৮ থেকে ১২ শতাংশ সুদ দিতে চাইছে। আর ঋণ দিচ্ছে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সুদে। এ অবস্থায় গত ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ঋণ ও আমানতে সুদ হারের সর্বোচ্চ সীমা বেধে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।