নওগাঁয় জেএমবির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ইসাবা গ্রুপের (সামরিক শাখা) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. সানোয়ার হোসেন ওরফে আ. রউফকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

গত রোববার দুপুরে নওগাঁর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম এ তথ্য জানান। এর আগে গত শনিবার রাতে নওগাঁর পতœীতলা থানা উপজেলার নজিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সানোয়ার হোসনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে আখিউল ইসলাম জানান, সানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানায় ২০১২ সালে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সানোয়ার হোসেন নওগাঁ জেলার পতœীতলা উপজেলার ছোট চাঁদপুর এলাকায় আবদুল্লাহ নামে আত্মগোপন করে পলাতক ছিল। সেখানে তিনি রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করেন। পাশাপাশি ভেড়া লালন-পালন করেন।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত মো. সানোয়ার হোসেন ২০০০ সালের পরে শায়খ আবদুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্যভূক্ত হয়। তখন তিনি হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হিসেবে নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০০৭ সালে ২৯ মার্চ শায়খ আবদুর রহমানের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হলে বেশ কিছুদিন পর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমির হয়।

পরবর্তীতে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। তাদের

আন্তঃকোন্দলের কারণে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল জেএমবি’র স্বঘোষিত আমির সালমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানাধীন খুলশী বোরিয়া আমবাগান এলাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে এবং তার মাথা ও দেহ দুই জায়গায় ফেলে দেয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার আ. শাকুর যে শাকুর ও জাহাঙ্গীরের দেয়া তথ্য মতে মহানন্দা নদীর তীর থেকে পুঁতে রাখা সালমানের মাথাটি উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার সানোয়ার হোসেন ১০ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে পুরাতন জেএমবিকে সক্রিয় করার কাজ করে যাচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত) দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়না মূলতবি আছে। তাছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানায় ২০১৪ সালের একটি মামলা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সালমান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সানোয়ারসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দেন।

মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২ , ০৬ বৈশাখ ১৪২৮ ১৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

নওগাঁয় জেএমবির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, নওগাঁ

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ইসাবা গ্রুপের (সামরিক শাখা) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. সানোয়ার হোসেন ওরফে আ. রউফকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

গত রোববার দুপুরে নওগাঁর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম এ তথ্য জানান। এর আগে গত শনিবার রাতে নওগাঁর পতœীতলা থানা উপজেলার নজিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সানোয়ার হোসনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে আখিউল ইসলাম জানান, সানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানায় ২০১২ সালে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সানোয়ার হোসেন নওগাঁ জেলার পতœীতলা উপজেলার ছোট চাঁদপুর এলাকায় আবদুল্লাহ নামে আত্মগোপন করে পলাতক ছিল। সেখানে তিনি রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করেন। পাশাপাশি ভেড়া লালন-পালন করেন।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত মো. সানোয়ার হোসেন ২০০০ সালের পরে শায়খ আবদুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্যভূক্ত হয়। তখন তিনি হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হিসেবে নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০০৭ সালে ২৯ মার্চ শায়খ আবদুর রহমানের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হলে বেশ কিছুদিন পর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমির হয়।

পরবর্তীতে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। তাদের

আন্তঃকোন্দলের কারণে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল জেএমবি’র স্বঘোষিত আমির সালমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানাধীন খুলশী বোরিয়া আমবাগান এলাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে এবং তার মাথা ও দেহ দুই জায়গায় ফেলে দেয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার আ. শাকুর যে শাকুর ও জাহাঙ্গীরের দেয়া তথ্য মতে মহানন্দা নদীর তীর থেকে পুঁতে রাখা সালমানের মাথাটি উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার সানোয়ার হোসেন ১০ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে পুরাতন জেএমবিকে সক্রিয় করার কাজ করে যাচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত) দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়না মূলতবি আছে। তাছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানায় ২০১৪ সালের একটি মামলা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সালমান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সানোয়ারসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দেন।