খিলক্ষেতে হত্যার পর মাটি চাপা দেয়া সেই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল

গ্রেপ্তারের পর ঘাতকের স্বীকারোক্তি

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে রাজধানী খিলক্ষেত এলাকা থেকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হওয়া তরুণীকে। ৪ দিনের পরিচয়ে ওই তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে হত্যকারী সুমন কুমার নামের এক রিকশাচালক। আর বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর ভয়ে শেষ পর্যন্ত তরুণীকে হত্যার পর লাশ মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতক। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১ নানা তথ্যের ভিত্তিতে ঘাতক সুমন সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পর তরুণীকে হত্যার কথা স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন।

র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক এএসপি নোমান আহমদ জানিয়েছেন গত ১৬ এপ্রিল সকালে ঢাকার খিলক্ষেত থানার তিনশ’ ফিট রাস্তার পাশে খিলক্ষেত পুলিশ মাটি চাপা দেয়া গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় এক অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে। হত্যাকা-ের ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে ওই তরুণীর নাম পরিচয় খুঁজে পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও হত্যাকা-ের ক্লু উদ্ঘাটনে ছায়াতদন্ত শুরু করে।

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমের র‌্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন কুড়াতলী কাজী বাড়ি মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে সুমন কুমারকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার সুমান সরকার নওগাঁর সুবোধ মালির ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত সুমনের কাছ থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে পেশায় একজন রিকশাচালক। ভিকটিম খিলক্ষেত এলাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করত। সে বেশ কিছুদিন যাবত ভিকটিমকে গার্মেন্টস

এবং বাসায় আসা-যাওয়ার পথে অনুসরণ করত। বিগত ১০ থেকে ১২ দিন আগে ভিকটিমের সঙ্গে তার প্রথম পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সুবাধে ৩ থেকে ৪ দিন যাবত ভিকটিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে। গত ১৩ এপ্রিল ভিকটিমকে তার রিকশায় নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে সুমন সরকার। সেই সুবাদে গত ১৫ এপ্রিল ঘোরাঘুরির কথা বলে ভিকটিমকে তার বাসা থেকে খিলক্ষেত থানার তিনশ’ ফিট রাস্তা এলাকায় ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে ভিকটিমকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা থানায় গিয়ে মামলা করার কথা বলে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমকে গলার ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে রাস্তার পাশে মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে। আসামি সুমন সরকারকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২ , ০৬ বৈশাখ ১৪২৮ ১৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

খিলক্ষেতে হত্যার পর মাটি চাপা দেয়া সেই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল

গ্রেপ্তারের পর ঘাতকের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে রাজধানী খিলক্ষেত এলাকা থেকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হওয়া তরুণীকে। ৪ দিনের পরিচয়ে ওই তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে হত্যকারী সুমন কুমার নামের এক রিকশাচালক। আর বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর ভয়ে শেষ পর্যন্ত তরুণীকে হত্যার পর লাশ মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতক। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১ নানা তথ্যের ভিত্তিতে ঘাতক সুমন সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পর তরুণীকে হত্যার কথা স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন।

র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক এএসপি নোমান আহমদ জানিয়েছেন গত ১৬ এপ্রিল সকালে ঢাকার খিলক্ষেত থানার তিনশ’ ফিট রাস্তার পাশে খিলক্ষেত পুলিশ মাটি চাপা দেয়া গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় এক অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে। হত্যাকা-ের ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে ওই তরুণীর নাম পরিচয় খুঁজে পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও হত্যাকা-ের ক্লু উদ্ঘাটনে ছায়াতদন্ত শুরু করে।

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমের র‌্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন কুড়াতলী কাজী বাড়ি মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে সুমন কুমারকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার সুমান সরকার নওগাঁর সুবোধ মালির ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত সুমনের কাছ থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে পেশায় একজন রিকশাচালক। ভিকটিম খিলক্ষেত এলাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করত। সে বেশ কিছুদিন যাবত ভিকটিমকে গার্মেন্টস

এবং বাসায় আসা-যাওয়ার পথে অনুসরণ করত। বিগত ১০ থেকে ১২ দিন আগে ভিকটিমের সঙ্গে তার প্রথম পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সুবাধে ৩ থেকে ৪ দিন যাবত ভিকটিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে। গত ১৩ এপ্রিল ভিকটিমকে তার রিকশায় নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে সুমন সরকার। সেই সুবাদে গত ১৫ এপ্রিল ঘোরাঘুরির কথা বলে ভিকটিমকে তার বাসা থেকে খিলক্ষেত থানার তিনশ’ ফিট রাস্তা এলাকায় ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে ভিকটিমকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা থানায় গিয়ে মামলা করার কথা বলে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমকে গলার ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে রাস্তার পাশে মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে। আসামি সুমন সরকারকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।