আহত ইউক্রেনীয়দের চিকিৎসা ট্রেনে

রুশ বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত ইউক্রেনীয়দের বিশেষ ট্রেনে চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি তাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের (এমএসএফ) বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে। দোনবাস অঞ্চলে রুশ হামলা বাড়তে থাকায় সেখানকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদেরও এই ট্রেনে করে সরিয়ে নিচ্ছেন এমএসএফের কর্মীরা।

আহতদের জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিতে বিশেষ ব্যবস্থা থাকা এই ট্রেনে জায়গা পেতে কয়েকটি স্টেশনে অপেক্ষমাণদের ভিড় দেখা গেছে। দোনবাস অঞ্চলের কয়েকটি রেলস্টেশনে স্ট্রেচারে করে জড়ো করা হয়েছে শতাধিক আহত মানুষকে। কমপক্ষে ২০ ঘণ্টা ট্রেনযাত্রা করে তারা পৌঁছবে লেভিভ শহরে। ১২ বছর বয়সী কাটিয়া নামের আহত শিশুকে সেখানকার ক্রামাটোরস্কো স্টেশনে আনা হয়েছে। কাটিয়ার মা গত সপ্তাহে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে কাটিয়াও। সেই রাতের ভয়াবহ হামলা কন্যাশিশুটির জন্য এক দুঃস্বপ্নের মতো। তার বাবা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশটির পূর্ব সীমান্তে যুদ্ধ করছেন। কাটিয়ার মতো আরও একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিবারের সদস্য হচ্ছে তানয়া। এই নারী জানান, দুই দিন আগে তার বড় মেয়ে রুশ রকেট হামলায় নিহত হয়েছে। দোনবাস অঞ্চল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গাড়িতে রকেট আঘাত হানে। তানয়া বলেন, ‘সন্তানদের নিয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় রাশিয়ার রকেট হামলায় আমাদের পরিবার আজ বিপন্ন। আমার বড় মেয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। ছোট মেয়ের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে।

তার খুলির একাংশে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে।’

মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২ , ০৬ বৈশাখ ১৪২৮ ১৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

আহত ইউক্রেনীয়দের চিকিৎসা ট্রেনে

রুশ বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত ইউক্রেনীয়দের বিশেষ ট্রেনে চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি তাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের (এমএসএফ) বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে। দোনবাস অঞ্চলে রুশ হামলা বাড়তে থাকায় সেখানকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদেরও এই ট্রেনে করে সরিয়ে নিচ্ছেন এমএসএফের কর্মীরা।

আহতদের জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিতে বিশেষ ব্যবস্থা থাকা এই ট্রেনে জায়গা পেতে কয়েকটি স্টেশনে অপেক্ষমাণদের ভিড় দেখা গেছে। দোনবাস অঞ্চলের কয়েকটি রেলস্টেশনে স্ট্রেচারে করে জড়ো করা হয়েছে শতাধিক আহত মানুষকে। কমপক্ষে ২০ ঘণ্টা ট্রেনযাত্রা করে তারা পৌঁছবে লেভিভ শহরে। ১২ বছর বয়সী কাটিয়া নামের আহত শিশুকে সেখানকার ক্রামাটোরস্কো স্টেশনে আনা হয়েছে। কাটিয়ার মা গত সপ্তাহে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে কাটিয়াও। সেই রাতের ভয়াবহ হামলা কন্যাশিশুটির জন্য এক দুঃস্বপ্নের মতো। তার বাবা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশটির পূর্ব সীমান্তে যুদ্ধ করছেন। কাটিয়ার মতো আরও একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিবারের সদস্য হচ্ছে তানয়া। এই নারী জানান, দুই দিন আগে তার বড় মেয়ে রুশ রকেট হামলায় নিহত হয়েছে। দোনবাস অঞ্চল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গাড়িতে রকেট আঘাত হানে। তানয়া বলেন, ‘সন্তানদের নিয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় রাশিয়ার রকেট হামলায় আমাদের পরিবার আজ বিপন্ন। আমার বড় মেয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। ছোট মেয়ের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে।

তার খুলির একাংশে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে।’