ইউক্রেনজুড়ে মুহুর্মুহু রুশ হামলা

রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন শহরে মুহুর্মুহু রকেট ও বিমান হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। হামলা সম্পর্কে সতর্ক করতে প্রায় সারাক্ষণই সেখানে বাজছে যুদ্ধের সাইরেন। ইউক্রেনের পশ্চিমের ডনবাস থেকে মারাত্মক জখম হওয়া নাগরিক একটি ট্রেনে করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার খবর দিচ্ছেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘হামলা চালিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা চলছে। সাধারণ নাগরিকদের ওপর মর্টার আর রকেট হামলা চলছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।’ ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেছেন, রাশিয়া মারিউপোলকে একেবারে মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দিতে চায়। শহরের কিছুই যেন আর অবশিষ্ট নেই। রাশিয়া শহরটিতে প্রবেশ বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা করছে বলে শহরের কর্মকর্তারা বলছেন। তবে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার কথা অস্বীকার করে রাশিয়া বলছে, ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে দেশটিকে নিরস্ত্রীকরণের উদ্দেশে এবং দেশটির বিপজ্জনক জাতীয়তাবাদীদের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে মারিউপোলে আত্মসমর্পণের জন্য রুশ আল্টিমেটামে সাড়া দেয়নি ইউক্রেন। যদি মারিউপোলের পতন ঘটে, এটি হবে গত দুই মাসের যুদ্ধে রাশিয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিজয়। মারিউপোল হচ্ছে আজভ সাগর অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বন্দর। এটি লৌহ এবং ইস্পাত শিল্পের বড় কেন্দ্র। ইউক্রেনের বেশিরভাগ ইস্পাত, কয়লা এবং শস্য এ বন্দর দিয়েই রফতানি করা হয়। এটি হারালে ইউক্রেনের অর্থনীতির জন্য সেটি হবে আরেকটি বড় আঘাত। রাশিয়া যদি এই শহর দখল করতে পারে, তাহলে ক্রিমিয়া থেকে রাশিয়া পর্যন্ত তারা একটি সরাসরি স্থল সংযোগ স্থাপন করতে পারবে। এটি হবে রাশিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত এবং সামরিক বিজয়।

মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২ , ০৬ বৈশাখ ১৪২৮ ১৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

ইউক্রেনজুড়ে মুহুর্মুহু রুশ হামলা

রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন শহরে মুহুর্মুহু রকেট ও বিমান হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। হামলা সম্পর্কে সতর্ক করতে প্রায় সারাক্ষণই সেখানে বাজছে যুদ্ধের সাইরেন। ইউক্রেনের পশ্চিমের ডনবাস থেকে মারাত্মক জখম হওয়া নাগরিক একটি ট্রেনে করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার খবর দিচ্ছেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘হামলা চালিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা চলছে। সাধারণ নাগরিকদের ওপর মর্টার আর রকেট হামলা চলছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।’ ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেছেন, রাশিয়া মারিউপোলকে একেবারে মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দিতে চায়। শহরের কিছুই যেন আর অবশিষ্ট নেই। রাশিয়া শহরটিতে প্রবেশ বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা করছে বলে শহরের কর্মকর্তারা বলছেন। তবে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার কথা অস্বীকার করে রাশিয়া বলছে, ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে দেশটিকে নিরস্ত্রীকরণের উদ্দেশে এবং দেশটির বিপজ্জনক জাতীয়তাবাদীদের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে মারিউপোলে আত্মসমর্পণের জন্য রুশ আল্টিমেটামে সাড়া দেয়নি ইউক্রেন। যদি মারিউপোলের পতন ঘটে, এটি হবে গত দুই মাসের যুদ্ধে রাশিয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিজয়। মারিউপোল হচ্ছে আজভ সাগর অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বন্দর। এটি লৌহ এবং ইস্পাত শিল্পের বড় কেন্দ্র। ইউক্রেনের বেশিরভাগ ইস্পাত, কয়লা এবং শস্য এ বন্দর দিয়েই রফতানি করা হয়। এটি হারালে ইউক্রেনের অর্থনীতির জন্য সেটি হবে আরেকটি বড় আঘাত। রাশিয়া যদি এই শহর দখল করতে পারে, তাহলে ক্রিমিয়া থেকে রাশিয়া পর্যন্ত তারা একটি সরাসরি স্থল সংযোগ স্থাপন করতে পারবে। এটি হবে রাশিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত এবং সামরিক বিজয়।