২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল লালদিঘী ঘিরে হবে বৈশাখী মেলা, ২৫ এপ্রিল জেলা পরিষদ চত্বরে বলি খেলা
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে দেশের যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে বদরপাতির আবদুল জব্বার সওদাগর চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘী মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা যা পরবর্তীকালে খেলা ও মেলায় পরিণত হয়। বাংলা পঞ্জিকার বৈশাখের ১২ তারিখে বলি খেলাটি আবদুল জব্বারের বলি খেলা হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর মেলা বন্ধ থাকার পর এবার বসবে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলি খেলার আসর। আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল তিন দিন বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ১২ বৈশাখ অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বলি খেলা চলবে। জেলা পরিষদের চত্বরের ২০ ফুট বাই ২০ ফুটের স্টেজ করে বলি খেলা চলবে বলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী জানান। গত রোববার দুপুরে লালদিঘীর মাঠে বলি খেলা ও মেলার স্থান পরির্দশন করতে গিয়ে তিনি এই অভিমত জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেলা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতাউল্লা চৌধুরী, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সদস্য সচিব শওকত আনোয়ার বাদল, সাবেক কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, বলি খেলার রেফারি ও সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মালেক, মো. চঞ্চল, মো. ইউছুপ, জিয়াউল হক সোহেল ও কোতয়ালি থানার ওসি জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
মেয়র আরও বলেন, জব্বারের
বলি খেলা শুধু একটি খেলা নয় এটি আমাদের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমাদের সবার সহযোগিতা করতে হবে। সময় স্বল্পতার কারণে স্পন্সরের বদলে সম্পূর্ণ আয়োজনের ব্যয়ভার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন গ্রহণ করবে।
এ মেলার সঙ্গে আমাদের প্রান্তিক গ্রামের অর্থনৈতিক নিবিড় সর্ম্পক রয়েছে। বৈশাখ মাসকে ঘিরে মেলায় নানাবিদ শৈল্পিক ও গৃহস্থালী পণ্য বিক্রি করার জন্য গ্রামের হস্তশিল্পের কারিগররা ব্যস্ত থাকে, অন্যদিকে নানা খাবারের পসরা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাতো। করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার কারণে তাদের উৎসাহ ও জীবন জীবিকার স্বার্থ বিবেচনায় এই মেলার আয়োজন। মেলার আগের যে জৌলুস ছিল, এখনো সবকিছুই থাকবে। তিনি মনে করেন মেলা বন্ধের সিদ্ধান্তে চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে যে হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল, তা পুরোপুরি নিরসন হবে। তিনি এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজনে রাজনৈতিক, প্রসাশনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন। পরে তিনি লালদীঘি পাড়ের চকিস লাইব্রেরির দ্বিতীয় তলায় মেলা কমিটির কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন।
মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২ , ০৬ বৈশাখ ১৪২৮ ১৭ রমাদ্বান ১৪৪৩
২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল লালদিঘী ঘিরে হবে বৈশাখী মেলা, ২৫ এপ্রিল জেলা পরিষদ চত্বরে বলি খেলা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে দেশের যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে বদরপাতির আবদুল জব্বার সওদাগর চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘী মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা যা পরবর্তীকালে খেলা ও মেলায় পরিণত হয়। বাংলা পঞ্জিকার বৈশাখের ১২ তারিখে বলি খেলাটি আবদুল জব্বারের বলি খেলা হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর মেলা বন্ধ থাকার পর এবার বসবে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলি খেলার আসর। আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল তিন দিন বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ১২ বৈশাখ অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বলি খেলা চলবে। জেলা পরিষদের চত্বরের ২০ ফুট বাই ২০ ফুটের স্টেজ করে বলি খেলা চলবে বলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী জানান। গত রোববার দুপুরে লালদিঘীর মাঠে বলি খেলা ও মেলার স্থান পরির্দশন করতে গিয়ে তিনি এই অভিমত জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেলা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতাউল্লা চৌধুরী, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সদস্য সচিব শওকত আনোয়ার বাদল, সাবেক কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, বলি খেলার রেফারি ও সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মালেক, মো. চঞ্চল, মো. ইউছুপ, জিয়াউল হক সোহেল ও কোতয়ালি থানার ওসি জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
মেয়র আরও বলেন, জব্বারের
বলি খেলা শুধু একটি খেলা নয় এটি আমাদের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমাদের সবার সহযোগিতা করতে হবে। সময় স্বল্পতার কারণে স্পন্সরের বদলে সম্পূর্ণ আয়োজনের ব্যয়ভার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন গ্রহণ করবে।
এ মেলার সঙ্গে আমাদের প্রান্তিক গ্রামের অর্থনৈতিক নিবিড় সর্ম্পক রয়েছে। বৈশাখ মাসকে ঘিরে মেলায় নানাবিদ শৈল্পিক ও গৃহস্থালী পণ্য বিক্রি করার জন্য গ্রামের হস্তশিল্পের কারিগররা ব্যস্ত থাকে, অন্যদিকে নানা খাবারের পসরা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাতো। করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার কারণে তাদের উৎসাহ ও জীবন জীবিকার স্বার্থ বিবেচনায় এই মেলার আয়োজন। মেলার আগের যে জৌলুস ছিল, এখনো সবকিছুই থাকবে। তিনি মনে করেন মেলা বন্ধের সিদ্ধান্তে চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে যে হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল, তা পুরোপুরি নিরসন হবে। তিনি এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজনে রাজনৈতিক, প্রসাশনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন। পরে তিনি লালদীঘি পাড়ের চকিস লাইব্রেরির দ্বিতীয় তলায় মেলা কমিটির কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন।