ঈদ সামনে রেখে রাজধানীতে বেড়েছে ছিনতাই, অজ্ঞান ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য

চিরুনি অভিযান, গ্রেপ্তার ৮২

ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীতে ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি ও মলমপার্টিসহ অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের একাধিক টিম গত সোমবার রাতে পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রায় ৮২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০টি সুইচ গিয়ার চাকু, সাতটি চাকু, ১২টি ক্ষুর, একটি এন্টিকাটার, ১৭টি বিষাক্ত মলমের কৌটা, ৫টি কাঁচি ও নগদ ৩৮,১০৯ টাকা।

র‌্যাব-৩ জানায়, গত দুই বছর ধরে দেশে করোনা মহামারীর কারণে ব্যবসা ছিল অত্যন্ত মন্দা। বর্তমানে ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসা বাণিজ্য জমে উঠেছে। ঈদমুখী নগরবাসী শপিংমল থেকে কেনাকাটা শেষে বাসায় ফেরার পথে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র সুযোগ বুঝে তাদের অস্ত্র ঠেকিয়ে সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

অভিযানের সময় মুগদা এলাকার মলম পার্টি চক্রের মূল হোতা মো, লাল মিয়াসহ তার ৫ সহযোগী, ডেমরা এলাকার অজ্ঞান পার্টি চক্রের মূল হোতা সোহেলসহ তার ৪ সহযোগী, ডেমরায় কিশোর গ্যাং চক্রের মূল হোতা হিমন হকসহ তার ২ সহযোগী, হাতিরঝিল এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা খালিদ হাসানসহ ৩ সহযোগী, তেজগাঁও শিল্প এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা ইউনুস ও তার তার ৬ সহযোগী, ওয়ারী এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা সাগর তার ৯ সহযোগী, খিলগাঁও এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা খোকনসহ তার তিন সহযোগী, সবুজবাগ এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা দ্বীন ইসলামসহ তার ২ সহযোগী, পল্টন এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের প্রধান রাসেলসহ ৯ সহযোগী, মতিঝিল এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের প্রধান অমৃত চন্দ্র বর্মনসহ তার ৫ সহযোগী, শাহবাগ এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের প্রধান দেলোয়ার হোসেনসহ তার ২ সহযোগী, শাহজাহানপুর এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা মো. রাব্বিসহ তার ৬ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা রাজধানীর বিভিন্ন গলি পথে ওঁৎ পেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা অটোরিকশা ও অটোরিকশা যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়।

ইফতারের সময় ও সেহেরির পর তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাই কাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে দ্বিধা করে না। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যা হতে ভোর রাত পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেশি দেখা যায়।

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, র‌্যাবের এই বিশেষ অভিযানে ৮২ অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়ায় মানুষ কেনাকাটা করে নির্বিঘেœ ও স্বস্তিতে বাসা বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন। এ লক্ষ্যে টার্মিনালসহ অলিগলিতে র‌্যাবের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

অভিযোগ রয়েছে, ঈদের আগে বাস ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালকেন্দ্রিক অপরাধ বেড়ে যাং। আবার শপিংমল থেকে কেনাকাটা শেষে রিকশায় বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে বলে অভিযোগ রয়েছে।

আরও খবর
যানজট নিরসনে শ্রমিকদের ভাগ করে ছুটি দেয়ার নির্দেশনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত
বাঙালি কূটনীতিকরা পাকিস্তানকে পরিত্যাগ করে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেন
একনেকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
প্রস্তাবিত গণমাধ্যম আইন স্বাধীন সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত করবে সম্পাদক পরিষদ
মাদারীপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সিন্ডিকেটের দখলে, ভোগান্তিতে নাগরিকরা
বিএনপি বরাবরই ধ্বংসস্তূপ থেকে জেগে উঠে : ফখরুল
জবিতে ছয় পদে অবৈধ নিয়োগ, বেতন স্থগিত
পরীমণিকে মারধর, যৌন হয়রানি : নাসির অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
বিয়ের চাপ দেয়ায় হোটেলে নিয়ে প্রেমিকাকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা
বিজেপিবিরোধী জোট গড়ার ডাক মমতার

বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২ , ০৭ বৈশাখ ১৪২৮ ১৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

ঈদ সামনে রেখে রাজধানীতে বেড়েছে ছিনতাই, অজ্ঞান ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য

চিরুনি অভিযান, গ্রেপ্তার ৮২

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীতে ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি ও মলমপার্টিসহ অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের একাধিক টিম গত সোমবার রাতে পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রায় ৮২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০টি সুইচ গিয়ার চাকু, সাতটি চাকু, ১২টি ক্ষুর, একটি এন্টিকাটার, ১৭টি বিষাক্ত মলমের কৌটা, ৫টি কাঁচি ও নগদ ৩৮,১০৯ টাকা।

র‌্যাব-৩ জানায়, গত দুই বছর ধরে দেশে করোনা মহামারীর কারণে ব্যবসা ছিল অত্যন্ত মন্দা। বর্তমানে ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসা বাণিজ্য জমে উঠেছে। ঈদমুখী নগরবাসী শপিংমল থেকে কেনাকাটা শেষে বাসায় ফেরার পথে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র সুযোগ বুঝে তাদের অস্ত্র ঠেকিয়ে সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

অভিযানের সময় মুগদা এলাকার মলম পার্টি চক্রের মূল হোতা মো, লাল মিয়াসহ তার ৫ সহযোগী, ডেমরা এলাকার অজ্ঞান পার্টি চক্রের মূল হোতা সোহেলসহ তার ৪ সহযোগী, ডেমরায় কিশোর গ্যাং চক্রের মূল হোতা হিমন হকসহ তার ২ সহযোগী, হাতিরঝিল এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা খালিদ হাসানসহ ৩ সহযোগী, তেজগাঁও শিল্প এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা ইউনুস ও তার তার ৬ সহযোগী, ওয়ারী এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা সাগর তার ৯ সহযোগী, খিলগাঁও এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা খোকনসহ তার তিন সহযোগী, সবুজবাগ এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা দ্বীন ইসলামসহ তার ২ সহযোগী, পল্টন এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের প্রধান রাসেলসহ ৯ সহযোগী, মতিঝিল এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের প্রধান অমৃত চন্দ্র বর্মনসহ তার ৫ সহযোগী, শাহবাগ এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের প্রধান দেলোয়ার হোসেনসহ তার ২ সহযোগী, শাহজাহানপুর এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা মো. রাব্বিসহ তার ৬ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা রাজধানীর বিভিন্ন গলি পথে ওঁৎ পেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা অটোরিকশা ও অটোরিকশা যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়।

ইফতারের সময় ও সেহেরির পর তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাই কাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে দ্বিধা করে না। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যা হতে ভোর রাত পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেশি দেখা যায়।

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, র‌্যাবের এই বিশেষ অভিযানে ৮২ অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়ায় মানুষ কেনাকাটা করে নির্বিঘেœ ও স্বস্তিতে বাসা বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন। এ লক্ষ্যে টার্মিনালসহ অলিগলিতে র‌্যাবের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

অভিযোগ রয়েছে, ঈদের আগে বাস ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালকেন্দ্রিক অপরাধ বেড়ে যাং। আবার শপিংমল থেকে কেনাকাটা শেষে রিকশায় বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে বলে অভিযোগ রয়েছে।