প্লাস্টিক দূষণ

প্লাস্টিক এমন এক রাসায়নিক পদার্থ যা পরিবেশে পচতে অথবা কারখানায় পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ করতে প্রচুর সময় লাগে। তাই একে অপচ্য পদার্থ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। তাই প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। সাধারণত উদ্ভিদকূল, জলজ প্রাণী, দ্বীপ অঞ্চলের প্রাণীরা প্লাস্টিক বর্জ্যরে জন্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য ওইসব প্রাণীর বাসস্থান, খাদ্য সংগ্রহের স্থান ও উদ্ভিদের খাদ্য গ্রহণের পথে বাধার সৃষ্টি করে।

শুধু উদ্ভিদ বা জলজ প্রাণী নয়, মানুষ প্লাস্টিক দূষণের কারণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। থাইরয়েড হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণের জন্য প্লাস্টিক দূষণ পরোক্ষভাবে দায়ী। শুধু আমেরিকাতে প্রতি বছর ৫ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশেও পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

প্লাস্টিকে পাওয়া কিছু কেমিক্যাল, যেমন বিপিএ নিম্নমাত্রার ডোজে উপস্থিত থাকলেও তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্ষতি করতে পারে। তবুও এরকম জটিল মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সত্ত্বেও প্লাস্টিক দূষণ ও এর কারণে হওয়া ক্ষতি কমানোর জন্য বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করা হয়ে থাকে। সরকারিভাবে বিভিন্ন নীতি প্রয়োগ করা হচ্ছে যাতে নির্দিষ্ট কিছু প্লাস্টিকসামগ্রীতে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যকে ব্যবহার করা না হয়। বিভিন্ন দেশে বাচ্চাদের বোতল এবং কাপে বিপিএ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর কারণ স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা এবং শিশুদের ওপর বিপিএ এর অধিক ক্ষতিকর প্রভাব।

আরাফাত রহমান

বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২ , ০৭ বৈশাখ ১৪২৮ ১৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

প্লাস্টিক দূষণ

image

প্লাস্টিক এমন এক রাসায়নিক পদার্থ যা পরিবেশে পচতে অথবা কারখানায় পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ করতে প্রচুর সময় লাগে। তাই একে অপচ্য পদার্থ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। তাই প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। সাধারণত উদ্ভিদকূল, জলজ প্রাণী, দ্বীপ অঞ্চলের প্রাণীরা প্লাস্টিক বর্জ্যরে জন্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য ওইসব প্রাণীর বাসস্থান, খাদ্য সংগ্রহের স্থান ও উদ্ভিদের খাদ্য গ্রহণের পথে বাধার সৃষ্টি করে।

শুধু উদ্ভিদ বা জলজ প্রাণী নয়, মানুষ প্লাস্টিক দূষণের কারণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। থাইরয়েড হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণের জন্য প্লাস্টিক দূষণ পরোক্ষভাবে দায়ী। শুধু আমেরিকাতে প্রতি বছর ৫ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশেও পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

প্লাস্টিকে পাওয়া কিছু কেমিক্যাল, যেমন বিপিএ নিম্নমাত্রার ডোজে উপস্থিত থাকলেও তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্ষতি করতে পারে। তবুও এরকম জটিল মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সত্ত্বেও প্লাস্টিক দূষণ ও এর কারণে হওয়া ক্ষতি কমানোর জন্য বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করা হয়ে থাকে। সরকারিভাবে বিভিন্ন নীতি প্রয়োগ করা হচ্ছে যাতে নির্দিষ্ট কিছু প্লাস্টিকসামগ্রীতে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যকে ব্যবহার করা না হয়। বিভিন্ন দেশে বাচ্চাদের বোতল এবং কাপে বিপিএ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর কারণ স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা এবং শিশুদের ওপর বিপিএ এর অধিক ক্ষতিকর প্রভাব।

আরাফাত রহমান