রক্তাক্ত ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস

একজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষার উপকরণসহ দৈনন্দিন জীবনের চলার পথে অন্যান্য অনেক জিনিসপত্র কলেজের বাহির থেকে কিনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়। তেমনি করে ঢাকা কলেজের তিন বন্ধু মিলে রাজধানীর নিউমার্কেটে যায় কাপড় কিনতে। দোকানি কাপড়ের অতিরিক্ত মূল্য বললে তাদের মধ্যে এক শিক্ষার্থী অর্ধেক মূল্যে কাপড় বিক্রি করবে কিনাÑ এ কথা বললে তিন শিক্ষার্থীকে তারা বেদম প্রহার করে।

ক্যাম্পাসে এসে ঘটনাটি বললে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে যায় বিষয়টির সুরাহা করতে। কোনো কিছু না বুঝে তাদের উপরও হামলা করে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা। সঙ্গে যোগ দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ওপর। এমনকি ক্যাম্পাসের ভেতরে এসেও ছাত্রদের উপর হামলা চালানো হয়। মধ্যরাতে পুলিশ এবং ব্যবসায়ীদের যৌথ হামলায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আজ আক্রান্ত।

এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। হামলায় পঞ্চাশের অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বারবার এ ধরনের হামলা সারা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের ওপর কলঙ্কের লেপন তৈরি করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. শামসুজোহার মতো শিক্ষকের বড়ই অভাব। যিনি নিজ শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের বুলেটে বিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

মধ্যরাতে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর অমানবিক এ হামলার অতিদ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। সরকারের পক্ষ থেকে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা পাশাপাশি অবৈধ এবং কুচক্রী ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ এবং ভবিষ্যতে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা আর যেন না ঘটে সেদিকে সংশ্লিষ্টদের বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে আজকের শিক্ষার্থীই আগামীর দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের সম্পদ। তারাই নিকট ভবিষ্যতে নিজ মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে বর্হিবিশ্বে দেশের সুনাম বয়ে আনবে।

ফজলে রাব্বি

বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২ , ০৭ বৈশাখ ১৪২৮ ১৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

রক্তাক্ত ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস

একজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষার উপকরণসহ দৈনন্দিন জীবনের চলার পথে অন্যান্য অনেক জিনিসপত্র কলেজের বাহির থেকে কিনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়। তেমনি করে ঢাকা কলেজের তিন বন্ধু মিলে রাজধানীর নিউমার্কেটে যায় কাপড় কিনতে। দোকানি কাপড়ের অতিরিক্ত মূল্য বললে তাদের মধ্যে এক শিক্ষার্থী অর্ধেক মূল্যে কাপড় বিক্রি করবে কিনাÑ এ কথা বললে তিন শিক্ষার্থীকে তারা বেদম প্রহার করে।

ক্যাম্পাসে এসে ঘটনাটি বললে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে যায় বিষয়টির সুরাহা করতে। কোনো কিছু না বুঝে তাদের উপরও হামলা করে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা। সঙ্গে যোগ দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ওপর। এমনকি ক্যাম্পাসের ভেতরে এসেও ছাত্রদের উপর হামলা চালানো হয়। মধ্যরাতে পুলিশ এবং ব্যবসায়ীদের যৌথ হামলায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আজ আক্রান্ত।

এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। হামলায় পঞ্চাশের অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বারবার এ ধরনের হামলা সারা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের ওপর কলঙ্কের লেপন তৈরি করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. শামসুজোহার মতো শিক্ষকের বড়ই অভাব। যিনি নিজ শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের বুলেটে বিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

মধ্যরাতে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর অমানবিক এ হামলার অতিদ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। সরকারের পক্ষ থেকে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা পাশাপাশি অবৈধ এবং কুচক্রী ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ এবং ভবিষ্যতে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা আর যেন না ঘটে সেদিকে সংশ্লিষ্টদের বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে আজকের শিক্ষার্থীই আগামীর দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের সম্পদ। তারাই নিকট ভবিষ্যতে নিজ মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে বর্হিবিশ্বে দেশের সুনাম বয়ে আনবে।

ফজলে রাব্বি