আড়াই বছর বেতন বন্ধ দপ্তরির : মানবেতর জীবনযাপন

দুইবছর ধরে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেও রহস্যজনক কারণে বেতন না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্থকষ্টে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন আল-আমিন নামের এক যুবক। ঘটনাটি উপজেলার শাহজিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী পদে নিয়োগ পেয়ে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন আল-আমিন হাওলাদার। গত রবিবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের জমিদাতা সালেক হাওলাদারের ছেলে আল-আমিন হাওলাদার বলেন, ২০১৩ সালে স্কুলে দপ্তরি কাম প্রহরী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় আমি প্রথমস্থান অধিকার করি। পরবর্তীতে রহস্যজনকভাবে আমাকে নিয়োগ না দিয়ে ২০১৭ সালে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হলে আমি হাইকোর্টে রীট পিটিশন দাখিল করি।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারক এফ.আর.এম নাজমুল আহসান ও কে.এম কামরুল কাদের আমাকে (রীটকারী) নিয়োগ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন। হাইকোর্টের নির্দেশনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়োগ প্রদান করেন। সেই থেকে অদ্যবধি আমি দায়িত্ব পালন করে আসলেও রহস্যজনকভাবে কোনো বেতন পাইনি। বর্তমানে অর্থকষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমি মানবেতর জীবন যাপন করছি।

সূত্রমতে, বেতনের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করা হলে আল-আমিনকে ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য বলা হয়। পরবর্তীতে ব্যাংক হিসাব খুলে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদান করা সত্ত্বেও বেতন মিলছে না।

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২ , ০৮ বৈশাখ ১৪২৮ ১৯ রমাদ্বান ১৪৪৩

আড়াই বছর বেতন বন্ধ দপ্তরির : মানবেতর জীবনযাপন

প্রতিনিধি, গৌরনদী (বরিশাল)

দুইবছর ধরে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেও রহস্যজনক কারণে বেতন না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্থকষ্টে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন আল-আমিন নামের এক যুবক। ঘটনাটি উপজেলার শাহজিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী পদে নিয়োগ পেয়ে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন আল-আমিন হাওলাদার। গত রবিবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের জমিদাতা সালেক হাওলাদারের ছেলে আল-আমিন হাওলাদার বলেন, ২০১৩ সালে স্কুলে দপ্তরি কাম প্রহরী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় আমি প্রথমস্থান অধিকার করি। পরবর্তীতে রহস্যজনকভাবে আমাকে নিয়োগ না দিয়ে ২০১৭ সালে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হলে আমি হাইকোর্টে রীট পিটিশন দাখিল করি।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারক এফ.আর.এম নাজমুল আহসান ও কে.এম কামরুল কাদের আমাকে (রীটকারী) নিয়োগ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন। হাইকোর্টের নির্দেশনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়োগ প্রদান করেন। সেই থেকে অদ্যবধি আমি দায়িত্ব পালন করে আসলেও রহস্যজনকভাবে কোনো বেতন পাইনি। বর্তমানে অর্থকষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমি মানবেতর জীবন যাপন করছি।

সূত্রমতে, বেতনের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করা হলে আল-আমিনকে ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য বলা হয়। পরবর্তীতে ব্যাংক হিসাব খুলে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদান করা সত্ত্বেও বেতন মিলছে না।