বাগেরহাটে রায় উপেক্ষা করে বাংলালিংকের টাওয়ার

বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্ভুজ ইউনিয়নের সদুল্যাপুর এলাকায় বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাংলা লিংক মোবাইল কোম্পানী টাওয়ার নির্মাণের কাজ চলমান রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জোর দখলকারীরা আইন- আদালতকে উপেক্ষা করে র্নিমাণ কাজ করার বিষয়ে প্রকৃত জমি মালিক দাবিদার সদুল্যাপুর গ্রামের শেখ মোস্তাফিজুর রহমান বাগেরহাট সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। দখলকারিরা প্রভাবশালি হওয়ায় থানা পুলিশ কোন ভূমিকা না নেওয়ায় শেখ মোস্তাফিজুর রহমান গত শনিবার দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপার বরাবরে একটি আবেদন করেছেন। একই দিনে তিনি বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবরেও আবেদন করেছেন। একাধিক দপ্তরে দেওয়া ওই অভিযোগে বলা হয় সদুল্যাপুর গ্রামের মৃত শেখ আক্কাছ আলীর ছেলে শেখ হাসিবুর রহমান এলাকার কতিথ প্রভাবশালী হওয়ায় তার জমির সীমানার পাশে থাকা শেখ মোস্তাফিজুর রহমানসহ তার ভাইদের রাস্তার পাশের ১০ শতক জমি নিজের দাবি করে বাংলালিংক কোম্পানির সাথে টাওয়ার নির্মাণের জন্য চুক্তি করে। জমি নির্ধারণের সময় বিষয়টি জানতে পেরে শেখ মোস্তাফিজুর রহমানসহ তার ভাইয়েরা বাধা দেয় এবং বাংলালিংক কোম্পানির লোকজনকে বিষয়টি বলেন। কিন্তু কেহই প্রকৃত জমি মালিকদের কথা না শুনে জোর পুর্বক ওই জমিতে টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু করে।

এ ব্যাপারে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে কোন প্রতিকার না পেয়ে শেখ মোস্তাফিজুর রহমান গত ১১ এপ্রিল বাগেরহাট সদর সহকারি জজ আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ১৮৭/২২ নং দেওয়ানী মামলা করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বাদির নালিশি আবেদন আমলে নিয়ে ওই দিনই বিবাদিদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। অথচ,বিবাদি প্রভাবশালী হওয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই জমিতে বাংলালিংক কোম্পানি তাদের টাওয়ার নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখে। বাদি উপায়ন্তর না পেয়ে ১৪ এপ্রিল বাগেরহাট সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ায় বাদি আরও হতাশ হয়ে এক পর্যায়ে শনিবার বাগেরহাট পুলিশ সুপার ও সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবরে পৃথকভাবে আবেদন করেন। অভিযোগকারী শেখ মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রতিবেদক বলেন আমার ও আমার ভাইদের পৈত্রিক জমিতে জোর করে বাংলালিংক টাওয়ার নির্মাণ করছে। বাধা দিলেও কোন কাজ হচ্ছে না। উপায়ন্তর না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়ে নিষেধাজ্ঞার আদেশ পেলেও প্রতিপক্ষরা প্রভাব খাটিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করছে। এখন আমরা যাব কোথায়?

এ বিষয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মুহাম্মাদ মোছাব্বেরুল ইসলাম বলেন আমি একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি।

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২ , ০৮ বৈশাখ ১৪২৮ ১৯ রমাদ্বান ১৪৪৩

বাগেরহাটে রায় উপেক্ষা করে বাংলালিংকের টাওয়ার

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্ভুজ ইউনিয়নের সদুল্যাপুর এলাকায় বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাংলা লিংক মোবাইল কোম্পানী টাওয়ার নির্মাণের কাজ চলমান রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জোর দখলকারীরা আইন- আদালতকে উপেক্ষা করে র্নিমাণ কাজ করার বিষয়ে প্রকৃত জমি মালিক দাবিদার সদুল্যাপুর গ্রামের শেখ মোস্তাফিজুর রহমান বাগেরহাট সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। দখলকারিরা প্রভাবশালি হওয়ায় থানা পুলিশ কোন ভূমিকা না নেওয়ায় শেখ মোস্তাফিজুর রহমান গত শনিবার দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপার বরাবরে একটি আবেদন করেছেন। একই দিনে তিনি বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবরেও আবেদন করেছেন। একাধিক দপ্তরে দেওয়া ওই অভিযোগে বলা হয় সদুল্যাপুর গ্রামের মৃত শেখ আক্কাছ আলীর ছেলে শেখ হাসিবুর রহমান এলাকার কতিথ প্রভাবশালী হওয়ায় তার জমির সীমানার পাশে থাকা শেখ মোস্তাফিজুর রহমানসহ তার ভাইদের রাস্তার পাশের ১০ শতক জমি নিজের দাবি করে বাংলালিংক কোম্পানির সাথে টাওয়ার নির্মাণের জন্য চুক্তি করে। জমি নির্ধারণের সময় বিষয়টি জানতে পেরে শেখ মোস্তাফিজুর রহমানসহ তার ভাইয়েরা বাধা দেয় এবং বাংলালিংক কোম্পানির লোকজনকে বিষয়টি বলেন। কিন্তু কেহই প্রকৃত জমি মালিকদের কথা না শুনে জোর পুর্বক ওই জমিতে টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু করে।

এ ব্যাপারে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে কোন প্রতিকার না পেয়ে শেখ মোস্তাফিজুর রহমান গত ১১ এপ্রিল বাগেরহাট সদর সহকারি জজ আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ১৮৭/২২ নং দেওয়ানী মামলা করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বাদির নালিশি আবেদন আমলে নিয়ে ওই দিনই বিবাদিদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। অথচ,বিবাদি প্রভাবশালী হওয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই জমিতে বাংলালিংক কোম্পানি তাদের টাওয়ার নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখে। বাদি উপায়ন্তর না পেয়ে ১৪ এপ্রিল বাগেরহাট সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ায় বাদি আরও হতাশ হয়ে এক পর্যায়ে শনিবার বাগেরহাট পুলিশ সুপার ও সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবরে পৃথকভাবে আবেদন করেন। অভিযোগকারী শেখ মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রতিবেদক বলেন আমার ও আমার ভাইদের পৈত্রিক জমিতে জোর করে বাংলালিংক টাওয়ার নির্মাণ করছে। বাধা দিলেও কোন কাজ হচ্ছে না। উপায়ন্তর না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়ে নিষেধাজ্ঞার আদেশ পেলেও প্রতিপক্ষরা প্রভাব খাটিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করছে। এখন আমরা যাব কোথায়?

এ বিষয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মুহাম্মাদ মোছাব্বেরুল ইসলাম বলেন আমি একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি।