ধর্ষককে আটক করেন গ্রামবাসী, ছিনিয়ে নিল ছাত্রলীগ নেতারা

চরফ্যাসনে ঘরে ঢুকে গৃহধূকে ধর্ষণকালে নুরুল হক মাঝি নামের এক ধর্ষককে আটক করে গ্রামবাসী। পরে মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আজাদ ও সম্পাদক রাসেলসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধর্ষককে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে একজনকে আসামি করে চরফ্যাসন থানায় মামলা দায়ের করেন। গত মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাজ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের গৃহবধূর বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবক নুরুল হক মাঝি ওই ইউনিয়নের চর নাজিম উদ্দিন গ্রামের মৃত সুরা রাঢ়ির ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্বামী খুলনায় কর্মস্থলে থাকায় এক সন্তান নিয়ে গৃহবধূ একাই বাড়িতে থাকেন। প্রতিবেশী যুবক নরুল হক মাঝি প্রায় সময় তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তার প্রস্তাবে সাড়া না দিলে মঙ্গলবার ঘটনার রাত ৮টায় তারাবির নামাজ শেষে বসত ঘরের দরজা খোলা রেখে তিনি ঘরে শুয়ে ছিলেন। এ সময় অভিযুক্ত যুবক নরুল হক মাঝি তার ঘরে প্রবেশ করে। তাকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গৃহবধূর ঘরে ঢুকে ধর্ষণকালে তার চিৎকারে ছুটে এসে অভিযুক্ত যুবককে গ্রামবাসী হাতেনাতে আটক করে। গণধোলাই শেষে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ আসার আগেই গ্রামবাসীর কাছ থেকে মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল তাকে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। রাতেই চরফ্যাসন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও অভিযুক্ত যুবককে আটক করতে পারেনি।

মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আজাদ জানান, খবর শুনে আমার ঘটনাস্থলে যাই, কিন্তু ধর্ষককে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাটি সঠিক নয়। চরফ্যাসন থানার উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, রাতে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসীর হাতে আটককৃত যুবককে পাওয়া যায়নি। চরফ্যাসন থানার ওসি মো. মনির হোসেন মিয়া জানান, এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে অভিযুক্ত নুরুল হক মাঝিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভোলা পাঠানো হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২ , ০৮ বৈশাখ ১৪২৮ ১৯ রমাদ্বান ১৪৪৩

ধর্ষককে আটক করেন গ্রামবাসী, ছিনিয়ে নিল ছাত্রলীগ নেতারা

প্রতিনিধি, চরফ্যাসন (ভোলা)

চরফ্যাসনে ঘরে ঢুকে গৃহধূকে ধর্ষণকালে নুরুল হক মাঝি নামের এক ধর্ষককে আটক করে গ্রামবাসী। পরে মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আজাদ ও সম্পাদক রাসেলসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধর্ষককে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে একজনকে আসামি করে চরফ্যাসন থানায় মামলা দায়ের করেন। গত মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাজ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের গৃহবধূর বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবক নুরুল হক মাঝি ওই ইউনিয়নের চর নাজিম উদ্দিন গ্রামের মৃত সুরা রাঢ়ির ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্বামী খুলনায় কর্মস্থলে থাকায় এক সন্তান নিয়ে গৃহবধূ একাই বাড়িতে থাকেন। প্রতিবেশী যুবক নরুল হক মাঝি প্রায় সময় তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তার প্রস্তাবে সাড়া না দিলে মঙ্গলবার ঘটনার রাত ৮টায় তারাবির নামাজ শেষে বসত ঘরের দরজা খোলা রেখে তিনি ঘরে শুয়ে ছিলেন। এ সময় অভিযুক্ত যুবক নরুল হক মাঝি তার ঘরে প্রবেশ করে। তাকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গৃহবধূর ঘরে ঢুকে ধর্ষণকালে তার চিৎকারে ছুটে এসে অভিযুক্ত যুবককে গ্রামবাসী হাতেনাতে আটক করে। গণধোলাই শেষে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ আসার আগেই গ্রামবাসীর কাছ থেকে মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল তাকে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। রাতেই চরফ্যাসন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও অভিযুক্ত যুবককে আটক করতে পারেনি।

মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আজাদ জানান, খবর শুনে আমার ঘটনাস্থলে যাই, কিন্তু ধর্ষককে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাটি সঠিক নয়। চরফ্যাসন থানার উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, রাতে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসীর হাতে আটককৃত যুবককে পাওয়া যায়নি। চরফ্যাসন থানার ওসি মো. মনির হোসেন মিয়া জানান, এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে অভিযুক্ত নুরুল হক মাঝিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভোলা পাঠানো হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।