বাবার কোলে শিশু হত্যা : প্রধান আসামি রিমনসহ গ্রেপ্তার ৫

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বাবার কোলে তিন বছরের শিশু তাসফিয়াকে হত্যা করা হয়। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান আসামি রিমনসহ ৫ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১১ টিম নোয়াখালীর চর জব্বরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। তারা শিশুটিকে হত্যার কথা র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলোÑ মো. রিমন, সোহেল উদ্দিন ওরফে মহিন উদ্দিন, মো. সুজন, নাইমুল ইসলাম ও আকবর হোসেন। তাদের কাছ থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়নপুর গ্রামের বাদশা ও ফিরোজ নামে দুই প্রতিবেশীর জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। জমিতে মাটি কাটা নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার বিরোধ সৃষ্টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও প্রতি হামলার ঘটনা ঘটে।

শিশুটির পিতা মাওলানা মো. আবু জাহের সামাজিকভাবে মধ্যস্থতাকালীন (সালিশ) উদ্যোগ গ্রেপ্তারকৃতদের বিপক্ষে গেলে তারা আবু জাফরের ওপর ক্ষিপ হয়। এরই জের হিসেবে অভিযুক্ত আসামি ফিরোজ ও মাওলানা আবু জাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

ঘটনার ৪ থেকে ৫ দিন আগে গ্রেপ্তারকৃত রিমন, মহিন ও বাদশাসহ ৬ থেকে ৭ জন গ্রেপ্তারকৃত মহিনের বাসার সামনে বসে হত্যার পরিকল্পনা করে। রিমন হত্যাকা- ঘটানোর জন্য ২১ হাজার টাকায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র কেনে। অস্ত্র কেনার টাকা মাহিন সংগ্রহ করে।

গত ১৩ এপ্রিল বুধবার বিকেলে মাওলানা আবু জাহের তার তিন বছরের শিশুকন্যা তাসফিয়াকে চকলেট ও চিপস্ কিনে দেয়ার জন্য গ্রামের একটি দোকানে গেলে সেখানে সন্ত্রাসী রিমন তার বাহিনী নিয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় আগের ক্ষোভের জেরে রিমনসহ গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসীরা প্রথমে মাওলানা আবু জাহেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে।

এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইট নিক্ষেপ করলে আবু জাহেরের তিন বছরের শিশুকন্যা তাসফিয়া আক্তার জান্নাতের মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পায়। তখন শিশুটির পিতা তার শিশু কন্যাকে না মারার জন্য কান্নাজড়িত কণ্ঠে নানাভাবে মিনতি করতে থাকেন। তিনি আহত শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন সন্ত্রাসী রিমন তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পিতা ও শিশুকে গুলি করে।

এতে শিশু ও তার পিতা দুইজনই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস তাসফিয়ার মাথায়, পিঠে ও ঘাড়ে গুরুতর জখম হয়। আর পিতা জাহেরের মাথায় ও চোখে গুরুতর জখম হয়। পিতা ও কন্যাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশে ঢাকায় আনার পথে কুমিল্লায় শিশু তাসফিয়া মারা যায়।

গ্রেপ্তারকৃতরা শিশু তাসফিয়া হত্যাকা-ের পর তাৎক্ষণিকভাবে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় আতœগোপন করে। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ালে তারা আবার নোয়াখালীর একটি চরে গিয়ে (চর জব্বার) আত্মগোপন করে।

মাওলানা মো. আবু জাহের গত ৮ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে প্রবাসী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার কন্যা সন্তান জন্মের পর দুই মাস

আগে প্রথম ছুটিতে তিনি দেশে আসেন। তার চোখে ও মাথায় গুলি লাগে। একমাত্র শিশুকন্যাকে হারিয়ে তাদের পরিবারে এখন শোকের মাতম।

র‌্যাবের কর্মকর্তারা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা এলাকার একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র। রিমন ওই দলের প্রধান। ২০১৬ সালে সে অপরাধ জগতে প্রথম প্রবেশ করে। গ্রেপ্তারকৃত রিমনের নেতৃত্বে তারা এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীমূলক কর্মকা-ে লিপ্ত। তারা বেগমগঞ্জ এলাকায় ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, মারামারি ও আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করত।

শিশু হত্যার ঘটনায় রিমন পরিকল্পনা, অস্ত্র ব্যবহার, হত্যার উদ্দেশে গুলি করে সক্রিয়ভাবে হত্যাকা-ে অংশগ্রহণ করে। রিমনের বিরুদ্ধে নোয়াখালী বেগমগঞ্জ থানায় হত্যার চেষ্টাও মারপিট মিলে ৮টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ৫টি মামলায় সে এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি।

গ্রেপ্তারকৃত মো. সোহেল উদ্দিন ওরফে মহিন উদ্দিন রিমন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। মাওলানা জাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা ছক তৈরি, অংশগ্রহণ ও অস্ত্র কেনার টাকা যোগান দেয়। তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় ৬টি মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত সুজন, নাঈম ও আকবর রিমনের সহযোগী হিসেবে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা- করত। তাদের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য নোয়াখালীতে পিতার কোলে শিশু হত্যা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়। সন্ত্রাসীরা একের পর এক আধিপত্য নিয়ে এলাকায় তা-ব চালিয়েছে। তারা একাধিক মামলার আসামি হয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াত। থানা পুলিশ তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে না পারলে র‌্যাবের গোয়েন্দা সংস্থা তাদের চিহ্নিত করে অবশেষে আইনের আওতায় নিয়ে আসে।

সন্ত্রাসী রিমনের মতো আরও একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ এলাকায় রয়েছে। তারা ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এলাকায় তা-ব চালাত। তাদের কাছে সাধারণ মানুষ ছিল জিম্মি। গ্রামগঞ্জের সালিশে তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে দমন-পিড়ন চালানো হয়। কেউ প্রতিবাদ কলে আঘাত করে। সর্বশেষ তাদের হাতে প্রবাসীর শিশু কন্যার মৃত্যু হলো।

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২ , ০৮ বৈশাখ ১৪২৮ ১৯ রমাদ্বান ১৪৪৩

বাবার কোলে শিশু হত্যা : প্রধান আসামি রিমনসহ গ্রেপ্তার ৫

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বাবার কোলে তিন বছরের শিশু তাসফিয়াকে হত্যা করা হয়। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান আসামি রিমনসহ ৫ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১১ টিম নোয়াখালীর চর জব্বরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। তারা শিশুটিকে হত্যার কথা র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলোÑ মো. রিমন, সোহেল উদ্দিন ওরফে মহিন উদ্দিন, মো. সুজন, নাইমুল ইসলাম ও আকবর হোসেন। তাদের কাছ থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়নপুর গ্রামের বাদশা ও ফিরোজ নামে দুই প্রতিবেশীর জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। জমিতে মাটি কাটা নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার বিরোধ সৃষ্টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও প্রতি হামলার ঘটনা ঘটে।

শিশুটির পিতা মাওলানা মো. আবু জাহের সামাজিকভাবে মধ্যস্থতাকালীন (সালিশ) উদ্যোগ গ্রেপ্তারকৃতদের বিপক্ষে গেলে তারা আবু জাফরের ওপর ক্ষিপ হয়। এরই জের হিসেবে অভিযুক্ত আসামি ফিরোজ ও মাওলানা আবু জাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

ঘটনার ৪ থেকে ৫ দিন আগে গ্রেপ্তারকৃত রিমন, মহিন ও বাদশাসহ ৬ থেকে ৭ জন গ্রেপ্তারকৃত মহিনের বাসার সামনে বসে হত্যার পরিকল্পনা করে। রিমন হত্যাকা- ঘটানোর জন্য ২১ হাজার টাকায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র কেনে। অস্ত্র কেনার টাকা মাহিন সংগ্রহ করে।

গত ১৩ এপ্রিল বুধবার বিকেলে মাওলানা আবু জাহের তার তিন বছরের শিশুকন্যা তাসফিয়াকে চকলেট ও চিপস্ কিনে দেয়ার জন্য গ্রামের একটি দোকানে গেলে সেখানে সন্ত্রাসী রিমন তার বাহিনী নিয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় আগের ক্ষোভের জেরে রিমনসহ গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসীরা প্রথমে মাওলানা আবু জাহেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে।

এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইট নিক্ষেপ করলে আবু জাহেরের তিন বছরের শিশুকন্যা তাসফিয়া আক্তার জান্নাতের মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পায়। তখন শিশুটির পিতা তার শিশু কন্যাকে না মারার জন্য কান্নাজড়িত কণ্ঠে নানাভাবে মিনতি করতে থাকেন। তিনি আহত শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন সন্ত্রাসী রিমন তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পিতা ও শিশুকে গুলি করে।

এতে শিশু ও তার পিতা দুইজনই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস তাসফিয়ার মাথায়, পিঠে ও ঘাড়ে গুরুতর জখম হয়। আর পিতা জাহেরের মাথায় ও চোখে গুরুতর জখম হয়। পিতা ও কন্যাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশে ঢাকায় আনার পথে কুমিল্লায় শিশু তাসফিয়া মারা যায়।

গ্রেপ্তারকৃতরা শিশু তাসফিয়া হত্যাকা-ের পর তাৎক্ষণিকভাবে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় আতœগোপন করে। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ালে তারা আবার নোয়াখালীর একটি চরে গিয়ে (চর জব্বার) আত্মগোপন করে।

মাওলানা মো. আবু জাহের গত ৮ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে প্রবাসী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার কন্যা সন্তান জন্মের পর দুই মাস

আগে প্রথম ছুটিতে তিনি দেশে আসেন। তার চোখে ও মাথায় গুলি লাগে। একমাত্র শিশুকন্যাকে হারিয়ে তাদের পরিবারে এখন শোকের মাতম।

র‌্যাবের কর্মকর্তারা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা এলাকার একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র। রিমন ওই দলের প্রধান। ২০১৬ সালে সে অপরাধ জগতে প্রথম প্রবেশ করে। গ্রেপ্তারকৃত রিমনের নেতৃত্বে তারা এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীমূলক কর্মকা-ে লিপ্ত। তারা বেগমগঞ্জ এলাকায় ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, মারামারি ও আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করত।

শিশু হত্যার ঘটনায় রিমন পরিকল্পনা, অস্ত্র ব্যবহার, হত্যার উদ্দেশে গুলি করে সক্রিয়ভাবে হত্যাকা-ে অংশগ্রহণ করে। রিমনের বিরুদ্ধে নোয়াখালী বেগমগঞ্জ থানায় হত্যার চেষ্টাও মারপিট মিলে ৮টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ৫টি মামলায় সে এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি।

গ্রেপ্তারকৃত মো. সোহেল উদ্দিন ওরফে মহিন উদ্দিন রিমন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। মাওলানা জাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা ছক তৈরি, অংশগ্রহণ ও অস্ত্র কেনার টাকা যোগান দেয়। তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় ৬টি মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত সুজন, নাঈম ও আকবর রিমনের সহযোগী হিসেবে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা- করত। তাদের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য নোয়াখালীতে পিতার কোলে শিশু হত্যা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়। সন্ত্রাসীরা একের পর এক আধিপত্য নিয়ে এলাকায় তা-ব চালিয়েছে। তারা একাধিক মামলার আসামি হয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াত। থানা পুলিশ তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে না পারলে র‌্যাবের গোয়েন্দা সংস্থা তাদের চিহ্নিত করে অবশেষে আইনের আওতায় নিয়ে আসে।

সন্ত্রাসী রিমনের মতো আরও একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ এলাকায় রয়েছে। তারা ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এলাকায় তা-ব চালাত। তাদের কাছে সাধারণ মানুষ ছিল জিম্মি। গ্রামগঞ্জের সালিশে তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে দমন-পিড়ন চালানো হয়। কেউ প্রতিবাদ কলে আঘাত করে। সর্বশেষ তাদের হাতে প্রবাসীর শিশু কন্যার মৃত্যু হলো।