তীব্র গরমের পর কালবৈশাখী, ২ জনের প্রাণহানি

তীব্র গরমের পর কালবৈশাখী। গতকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা এ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। চলতি বছরে এপ্রিলে ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে ১৫৬ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু এ পর্যন্ত ঢাকায় গতকালই সর্বোচ্চ ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রবৃষ্টিপাত হয়েছে। কুমিল্লায় গাছ চাপাপড়ে এক সিএনজি অটোরিকশাযাত্রী এবং মানিকগঞ্জে বজ্রপাতে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকু-ে ৭২ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলায় ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্বস্তির বৃষ্টি হলেও গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সড়কে তীব্র যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। রাজধানীর টিকাটুলি, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, কদমতলী ও ডেমরাসহ নি¤œাঞ্চলে অলি-গলিপথে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টিতে ডুবে গেছে সাভারের আশুলিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। উত্তর-পশ্চিমের মানুষের রাজধানীতে প্রবেশ ও বাইরের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পথ টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড-ইপিজেড সড়ক। আর সড়ক এখন নদীতে পরিণত হয়ে বাঁধে দীর্ঘ যানজট। গতকাল ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হওয়া বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে রয়েছে সড়কটির বিভিন্ন অংশ।

স্থানীয়রা জানান, সড়কের একপাশে বিশাল আকারের ড্রেন উপচে গেছে। সড়কের জামগড়া থেকে শিমুলতলা ও ইউনিক এলাকায় হাঁটুর ওপরে পানি জমে আছে। এতে

পরিবহনগুলো ধীরগতিতে যাচ্ছে। আবার কোন সময় দীর্ঘ যানজটেরও সৃষ্টি হয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এই সড়কটিতে হেঁটে যাওয়ার কোন উপায় নেই। আরও দেখা গেছে, একদল সড়ক ও জনপথে কর্মী ড্রেনগুলোর মুখে জমে থাকা আবর্জনার স্তূপ সড়িয়ে দিচ্ছে। সড়কের দুই পাশে থাকা দোকান ও বসতবাড়িতেও পানি উঠেছে।

সড়কটির পাশে ফার্নিচারের দোকানের মালিক ফরিদ আহমেদ বলেন, আমরা এই পানি প্রায় তিন-চার বছর যাবত দেখছি। একটু বৃষ্টি হলেই পানি সড়কে জমে যায়। বৃষ্টিতে আমার দোকানে পানি উঠেছিল। আসলে আমার দোকানের সামনে দিয়েই ড্রেন গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেন উপচে পানি উঠে যায়।

ঢাকা জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, বছরখানেক আগে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কটি ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পের কাছে হস্তান্তর করেছে সওজ। এখন সড়কটির সম্পূর্ণ দেখভাল করছে প্রকল্পের কর্মকর্তারা।

এছাড়া গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে রাজধানীর পান্থপথ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বাংলামোটর, বিজয় সরণী, জাহাঙ্গীর গেট, মহাখালী, বনানী, বাড্ডা, রামপুরা, উত্তরা এলাকায় যানবাহনের চাপের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।

রাজধানীর রেডিসন মোড় থেকে বনানী ফ্লাইওভার হয়ে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কাকলী পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজট ছিল। এদিকে বনানী থেকে কামাল আতাতুর্ক হয়ে গুলশান-১ ও ২ এবং বাড্ডা গুলশান লিংক রোডের রয়েছে প্রচ- যানজট। এদিকে বারিধারা, নতুনবাজার, রামপুরা, উত্তরা বিমানবন্দর, আবদুল্লাহপুর এলাকায় ছিল যানজট।

ফার্মগেট এলাকায় আজাদ আহমেদ বলেন, ‘অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় রওনা হয়েছি। আজ হয়তো রাস্তায় ইফতার করতে হবে।’ মোটরসাইকেল চালক মানিক সরকার বলেন, ‘অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি যানজট। আবার দিনের বেশিরভাগ সময় বৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে সড়কে তীব্র যানজট।’

কুমিল্লা জেলা বার্তা পরিবেশক জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে কুমিল্লায় গাছচাপায় শিশু মিয়া নামে সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী নিহত হয়েছে। গতকাল সকাল ৭টার দিকে জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানার রামচন্দ্রপুর-শ্রীকাইল সড়কের সলফা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু মিয়া (৬০) মুরাদনগর উপজেলার পূবধইর পূর্ব ইউনিয়নের খোশঘর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে। এ দুর্ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছে।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, গতকাল সকালে সিএনজি অটোরিকশাটি আমিননগর থেকে রামচন্দ্রপুর-শ্রীকাইল সড়ক দিয়ে মেটংঘর এলাকায় যাচ্ছিল। সলফা গ্রামে পৌঁছার পর কালবৈশাখী ঝড়ে সড়কের পাশে থাকা একটি গাছ ভেঙে অটোরিকশার উপর পড়ে। এতে গাছের নিচে চাপাপড়ে অটোরিকশাসহ সব যাত্রী। এতে সিএনজিতে থাকা শিশু মিয়ার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এবং চালকসহ ৫ যাত্রী আহত হয়।

আহতরা হলেন, উপজেলার সরের পাড় গ্রামের সিএনজি চালক আবুল সবুজ মিয়া (২৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নীলখী গ্রামের ফাতেমা বেগম (১৮), নিহত শিশু মিয়ার দুই মেয়ে নার্গিস বেগম (৩২), জুলেখা বেগম (৩৮) এবং নাতি হোসাইন (৩)। আহতদের মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসক শিশু হোসাইনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও গরম হাওয়ায় বোরো ধান ও বিভিন্ন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় দৌলতপুর উপজেলার খলসী ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের আবু শেখের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী ফিরোজা বেগম (৬৫) বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।

জানা গেছে, গতকাল ভোরে মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, সিংগাইর, সাটুরিয়া, হরিরামপুর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পাশাপাশি গরম হাওয়া বইতে থাকে। এতে শতাধিক জমির বোরো ধান এবং বিভিন্ন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এছাড়া ৭টি উপজেলার কাঁচা ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২ , ০৮ বৈশাখ ১৪২৮ ১৯ রমাদ্বান ১৪৪৩

তীব্র গরমের পর কালবৈশাখী, ২ জনের প্রাণহানি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

রমনা পার্কে কালবৈশাখীর দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাছ -সংবাদ

তীব্র গরমের পর কালবৈশাখী। গতকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা এ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। চলতি বছরে এপ্রিলে ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে ১৫৬ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু এ পর্যন্ত ঢাকায় গতকালই সর্বোচ্চ ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রবৃষ্টিপাত হয়েছে। কুমিল্লায় গাছ চাপাপড়ে এক সিএনজি অটোরিকশাযাত্রী এবং মানিকগঞ্জে বজ্রপাতে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকু-ে ৭২ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলায় ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্বস্তির বৃষ্টি হলেও গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সড়কে তীব্র যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। রাজধানীর টিকাটুলি, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, কদমতলী ও ডেমরাসহ নি¤œাঞ্চলে অলি-গলিপথে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টিতে ডুবে গেছে সাভারের আশুলিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। উত্তর-পশ্চিমের মানুষের রাজধানীতে প্রবেশ ও বাইরের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পথ টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড-ইপিজেড সড়ক। আর সড়ক এখন নদীতে পরিণত হয়ে বাঁধে দীর্ঘ যানজট। গতকাল ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হওয়া বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে রয়েছে সড়কটির বিভিন্ন অংশ।

স্থানীয়রা জানান, সড়কের একপাশে বিশাল আকারের ড্রেন উপচে গেছে। সড়কের জামগড়া থেকে শিমুলতলা ও ইউনিক এলাকায় হাঁটুর ওপরে পানি জমে আছে। এতে

পরিবহনগুলো ধীরগতিতে যাচ্ছে। আবার কোন সময় দীর্ঘ যানজটেরও সৃষ্টি হয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এই সড়কটিতে হেঁটে যাওয়ার কোন উপায় নেই। আরও দেখা গেছে, একদল সড়ক ও জনপথে কর্মী ড্রেনগুলোর মুখে জমে থাকা আবর্জনার স্তূপ সড়িয়ে দিচ্ছে। সড়কের দুই পাশে থাকা দোকান ও বসতবাড়িতেও পানি উঠেছে।

সড়কটির পাশে ফার্নিচারের দোকানের মালিক ফরিদ আহমেদ বলেন, আমরা এই পানি প্রায় তিন-চার বছর যাবত দেখছি। একটু বৃষ্টি হলেই পানি সড়কে জমে যায়। বৃষ্টিতে আমার দোকানে পানি উঠেছিল। আসলে আমার দোকানের সামনে দিয়েই ড্রেন গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেন উপচে পানি উঠে যায়।

ঢাকা জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, বছরখানেক আগে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কটি ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পের কাছে হস্তান্তর করেছে সওজ। এখন সড়কটির সম্পূর্ণ দেখভাল করছে প্রকল্পের কর্মকর্তারা।

এছাড়া গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে রাজধানীর পান্থপথ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বাংলামোটর, বিজয় সরণী, জাহাঙ্গীর গেট, মহাখালী, বনানী, বাড্ডা, রামপুরা, উত্তরা এলাকায় যানবাহনের চাপের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।

রাজধানীর রেডিসন মোড় থেকে বনানী ফ্লাইওভার হয়ে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কাকলী পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজট ছিল। এদিকে বনানী থেকে কামাল আতাতুর্ক হয়ে গুলশান-১ ও ২ এবং বাড্ডা গুলশান লিংক রোডের রয়েছে প্রচ- যানজট। এদিকে বারিধারা, নতুনবাজার, রামপুরা, উত্তরা বিমানবন্দর, আবদুল্লাহপুর এলাকায় ছিল যানজট।

ফার্মগেট এলাকায় আজাদ আহমেদ বলেন, ‘অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় রওনা হয়েছি। আজ হয়তো রাস্তায় ইফতার করতে হবে।’ মোটরসাইকেল চালক মানিক সরকার বলেন, ‘অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি যানজট। আবার দিনের বেশিরভাগ সময় বৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে সড়কে তীব্র যানজট।’

কুমিল্লা জেলা বার্তা পরিবেশক জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে কুমিল্লায় গাছচাপায় শিশু মিয়া নামে সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী নিহত হয়েছে। গতকাল সকাল ৭টার দিকে জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানার রামচন্দ্রপুর-শ্রীকাইল সড়কের সলফা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু মিয়া (৬০) মুরাদনগর উপজেলার পূবধইর পূর্ব ইউনিয়নের খোশঘর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে। এ দুর্ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছে।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, গতকাল সকালে সিএনজি অটোরিকশাটি আমিননগর থেকে রামচন্দ্রপুর-শ্রীকাইল সড়ক দিয়ে মেটংঘর এলাকায় যাচ্ছিল। সলফা গ্রামে পৌঁছার পর কালবৈশাখী ঝড়ে সড়কের পাশে থাকা একটি গাছ ভেঙে অটোরিকশার উপর পড়ে। এতে গাছের নিচে চাপাপড়ে অটোরিকশাসহ সব যাত্রী। এতে সিএনজিতে থাকা শিশু মিয়ার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এবং চালকসহ ৫ যাত্রী আহত হয়।

আহতরা হলেন, উপজেলার সরের পাড় গ্রামের সিএনজি চালক আবুল সবুজ মিয়া (২৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নীলখী গ্রামের ফাতেমা বেগম (১৮), নিহত শিশু মিয়ার দুই মেয়ে নার্গিস বেগম (৩২), জুলেখা বেগম (৩৮) এবং নাতি হোসাইন (৩)। আহতদের মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসক শিশু হোসাইনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও গরম হাওয়ায় বোরো ধান ও বিভিন্ন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় দৌলতপুর উপজেলার খলসী ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের আবু শেখের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী ফিরোজা বেগম (৬৫) বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।

জানা গেছে, গতকাল ভোরে মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, সিংগাইর, সাটুরিয়া, হরিরামপুর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পাশাপাশি গরম হাওয়া বইতে থাকে। এতে শতাধিক জমির বোরো ধান এবং বিভিন্ন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এছাড়া ৭টি উপজেলার কাঁচা ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়।