তারা খুব আন্দোলনের জন্য ব্যস্ত : প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে ‘উৎখাতের জন্য ব্যস্ত হয়ে’ পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে বিএনপি-জামায়াত জোট আছে এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আমাদের মান্না সাহেব এবং ড. কামাল হোসেনসহ তাদের একটি গ্রুপ। আবার তাদের সঙ্গে যুক্ত কমিউনিস্ট পার্টি এবং আমাদের বাম দল, বাসদ-টাসদ আরও কারা কারা। তারা সবাই এক হয়ে আন্দোলন করে, আওয়ামী লীগ সরকার হটাবে।’

‘তারা খুব আন্দোলনের জন্য ব্যস্ত। কী?... এই সরকারকে হটাতে হবে। কোন সরকার? আওয়ামী লীগ সরকার।’

শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কী দোষ করেছে যে তারা সরকারকে উচ্ছেদ করতে চায়। কী কারণে তারা সরকারকে উচ্ছেদ করতে চায়। আসলে তারা জনগণকে এই সরকার যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে তা থেকে বঞ্চিত করতে চায়। এটাই কি তাদের আসল উদ্দেশ?’

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের কোন সংকটপূর্ণ মুহূর্তে তারা কখনোই জনগণের পাশে থাকেন না। জনগণের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে তারা অনেক বেশি ব্যস্ত থাকেন সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তুলতে।’

‘সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল, তখন আমাদের কিছু কিছু মানুষ বিদেশের কাছে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে ব্যস্ত, সরকার উৎখাতে ব্যস্ত। খুব ভালো কথা! তাদের কর্মসূচি জনগণের কাছে তুলে ধরুক, তারা দেশের মানুষের জন্য কী করবে।’

২০০৮ এর জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারে রূপকল্প-২১ ঘোষণার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য আমরা স্থির করেছিলাম ২০২১ সাল পর্যন্ত। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যে তারা বারবার আমাদের ভোট দিয়েছে, ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা সরকারে এসেছি। আমরা নির্বাচনি ইশতেহার হিসেবে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি আমরা। সেই সময়ে আমরা কী অর্জন করেছি? বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছি। আমার প্রশ্ন, এটা কি তাদের ভালো লাগেনি? সে জন্য কি তারা বাংলাদেশকে, মানে এই সরকারকে হটাতে চায়?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আজকে সারা বাংলাদেশে আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছাতে পেরেছি। ভূমিহীনদের মাঝে যে কর্মসূচি জাতির পিতা শুরু করেছিলেন, আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সেই ভূমিহীনদের ঘর দিচ্ছি, জমি দিচ্ছি এবং তা বিনামূল্যে।’

তিনি বলেন, ‘এই যে একটা মানুষ একটা ঘর পাওয়ার পর তার জীবন-জীবিকার পথ সে খুঁজে পাচ্ছে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে, এটা কি আওয়ামী লীগের অপরাধ? এ জন্যই কি এই সরকারকে হটাতে হবে? ১০ টাকায় কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আজকের বাংলাদেশে এই ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেক মানুষ নিজের ঘরে বসে বিদেশে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। আর্থিক সচ্ছলতা পাচ্ছে। সারের দাম আমরা কমিয়েছি ৪ দফা। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। যেটা নিয়ে একটা বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের ছিল। আমাদের এই একটা সিদ্ধান্তই সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করে দিয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে যখন মিথ্যা অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করেছিল, আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম কারও টাকা লাগবে না, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু বানাবো। আল্লাহর রহমতে সেটা তৈরি করে ফেলেছি।’

পায়রায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে টাকার সাশ্রয় হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন করে এত বড় বড় প্রকল্পের প্রয়োজন কী? শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে গেলে তো আমাদের উৎপাদন করতেই হবে। আমরা সেখানে যে প্রায় ৯শ’ কোটি টাকার মতো বাঁচাতে পারলাম এই কথাটা তো কেউ বলেন না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের কৃষক-শ্রমিক, সাধারণ মানুষ, প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্য যাতে পরিবর্তন হয়, তার ব্যবস্থা আমরা করেছি। আজকে দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে। করোনার সময়েও আমাদের দেশে দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার একটাই প্রশ্ন তাদের কাছে, কী অপরাধটা করেছি এখানে? তারা লুটপাট করে খেয়েছে, মানুষ খুন করেছে। তাদের হাতে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে জীবন্ত মানুষগুলোকে হত্যা করেছে। সেই ২০১৩ সালের কথা সবার মনে আছে। ২০১৫ সালে কীভাবে মানুষ হত্যা করেছে।’

কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন নতুন দাবি করা লাগবে না। এই দেশের কৃষকের জন্য কোনটা মঙ্গলের সেটা আওয়ামী লীগ সরকার ভালোভাবেই জানে। কৃষি ও কৃষকদের ব্যাপারে বর্তমান সরকার অনেক বেশি আন্তরিক। কৃষকরা যেন ন্যায্য মূল্যে তাদের তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পেতে পারেন, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সরকার কৃষি ইস্যুতে গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে- যাতে করে দেশ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ইস্যুর পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদনে অধিকতর ইতিবাচক ফলাফল পেতে পারে।’ এ সময় এবারও ধান কাটার সময় কৃষক লীগকে কৃষকের পাশে থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ড. এম এ জলিল, মোতাহার হোসেন মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানু ও হারুন অর রশীদ অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কৃষক লীগের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২ , ০৮ বৈশাখ ১৪২৮ ১৯ রমাদ্বান ১৪৪৩

তারা খুব আন্দোলনের জন্য ব্যস্ত : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে ‘উৎখাতের জন্য ব্যস্ত হয়ে’ পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে বিএনপি-জামায়াত জোট আছে এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আমাদের মান্না সাহেব এবং ড. কামাল হোসেনসহ তাদের একটি গ্রুপ। আবার তাদের সঙ্গে যুক্ত কমিউনিস্ট পার্টি এবং আমাদের বাম দল, বাসদ-টাসদ আরও কারা কারা। তারা সবাই এক হয়ে আন্দোলন করে, আওয়ামী লীগ সরকার হটাবে।’

‘তারা খুব আন্দোলনের জন্য ব্যস্ত। কী?... এই সরকারকে হটাতে হবে। কোন সরকার? আওয়ামী লীগ সরকার।’

শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কী দোষ করেছে যে তারা সরকারকে উচ্ছেদ করতে চায়। কী কারণে তারা সরকারকে উচ্ছেদ করতে চায়। আসলে তারা জনগণকে এই সরকার যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে তা থেকে বঞ্চিত করতে চায়। এটাই কি তাদের আসল উদ্দেশ?’

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের কোন সংকটপূর্ণ মুহূর্তে তারা কখনোই জনগণের পাশে থাকেন না। জনগণের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে তারা অনেক বেশি ব্যস্ত থাকেন সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তুলতে।’

‘সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল, তখন আমাদের কিছু কিছু মানুষ বিদেশের কাছে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে ব্যস্ত, সরকার উৎখাতে ব্যস্ত। খুব ভালো কথা! তাদের কর্মসূচি জনগণের কাছে তুলে ধরুক, তারা দেশের মানুষের জন্য কী করবে।’

২০০৮ এর জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারে রূপকল্প-২১ ঘোষণার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য আমরা স্থির করেছিলাম ২০২১ সাল পর্যন্ত। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যে তারা বারবার আমাদের ভোট দিয়েছে, ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা সরকারে এসেছি। আমরা নির্বাচনি ইশতেহার হিসেবে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি আমরা। সেই সময়ে আমরা কী অর্জন করেছি? বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছি। আমার প্রশ্ন, এটা কি তাদের ভালো লাগেনি? সে জন্য কি তারা বাংলাদেশকে, মানে এই সরকারকে হটাতে চায়?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আজকে সারা বাংলাদেশে আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছাতে পেরেছি। ভূমিহীনদের মাঝে যে কর্মসূচি জাতির পিতা শুরু করেছিলেন, আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সেই ভূমিহীনদের ঘর দিচ্ছি, জমি দিচ্ছি এবং তা বিনামূল্যে।’

তিনি বলেন, ‘এই যে একটা মানুষ একটা ঘর পাওয়ার পর তার জীবন-জীবিকার পথ সে খুঁজে পাচ্ছে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে, এটা কি আওয়ামী লীগের অপরাধ? এ জন্যই কি এই সরকারকে হটাতে হবে? ১০ টাকায় কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আজকের বাংলাদেশে এই ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেক মানুষ নিজের ঘরে বসে বিদেশে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। আর্থিক সচ্ছলতা পাচ্ছে। সারের দাম আমরা কমিয়েছি ৪ দফা। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। যেটা নিয়ে একটা বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের ছিল। আমাদের এই একটা সিদ্ধান্তই সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করে দিয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে যখন মিথ্যা অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করেছিল, আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম কারও টাকা লাগবে না, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু বানাবো। আল্লাহর রহমতে সেটা তৈরি করে ফেলেছি।’

পায়রায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে টাকার সাশ্রয় হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন করে এত বড় বড় প্রকল্পের প্রয়োজন কী? শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে গেলে তো আমাদের উৎপাদন করতেই হবে। আমরা সেখানে যে প্রায় ৯শ’ কোটি টাকার মতো বাঁচাতে পারলাম এই কথাটা তো কেউ বলেন না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের কৃষক-শ্রমিক, সাধারণ মানুষ, প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্য যাতে পরিবর্তন হয়, তার ব্যবস্থা আমরা করেছি। আজকে দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে। করোনার সময়েও আমাদের দেশে দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার একটাই প্রশ্ন তাদের কাছে, কী অপরাধটা করেছি এখানে? তারা লুটপাট করে খেয়েছে, মানুষ খুন করেছে। তাদের হাতে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে জীবন্ত মানুষগুলোকে হত্যা করেছে। সেই ২০১৩ সালের কথা সবার মনে আছে। ২০১৫ সালে কীভাবে মানুষ হত্যা করেছে।’

কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন নতুন দাবি করা লাগবে না। এই দেশের কৃষকের জন্য কোনটা মঙ্গলের সেটা আওয়ামী লীগ সরকার ভালোভাবেই জানে। কৃষি ও কৃষকদের ব্যাপারে বর্তমান সরকার অনেক বেশি আন্তরিক। কৃষকরা যেন ন্যায্য মূল্যে তাদের তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পেতে পারেন, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সরকার কৃষি ইস্যুতে গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে- যাতে করে দেশ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ইস্যুর পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদনে অধিকতর ইতিবাচক ফলাফল পেতে পারে।’ এ সময় এবারও ধান কাটার সময় কৃষক লীগকে কৃষকের পাশে থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ড. এম এ জলিল, মোতাহার হোসেন মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানু ও হারুন অর রশীদ অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কৃষক লীগের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।