বৈঠক নিয়ে বিএনপির বক্তব্যে অসন্তোষ জার্মান রাষ্ট্রদূতের

সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৈঠক নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেছেন, দলটি কেন নির্বাচনে অংশ নেয়নি বা নিতে চায় না সেটি বলেছে, এর বেশি কিছু নয়।

গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃতি করে বিএনপির দেয়া বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আখিম।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না জার্মানি। বাংলাদেশের কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আগ্রহ নেই জার্মানির। বিএনপির সঙ্গে আমার যে বৈঠক হয়েছে, সেখানে বিএনপি নেতারা কেন নির্বাচনে অংশ নেয়নি বা নিতে চায় না সেই বিষয়টি আমাকে ব্যাখ্যা করেছে, এর বেশি কিছু না।’

আখিম বলেন, ‘আমাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে, আমি বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। এটা সত্য নয়। এটা যদি আমার কথা হয়ে থাকে, আমি নিজেই আমার কথা বলতে পারি।’

গত ১৭ মার্চ জার্মানির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও ছিলেন। দেড় ঘণ্টার বেশি ওই বৈঠক নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু।

বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনের বিষয় বাদ দিয়ে তো কোন আলোচনা হতে পারে না। কারণ আগামী নির্বাচন প্রশ্নে সবার চোখ বাংলাদেশের দিকে। স্বাভাবিকভাবে তারা জানতে চেয়েছেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে, আগামী নির্বাচনে কী হতে যাচ্ছে? এ ব্যাপারে তাদেরও পর্যবেক্ষণ আছে।

নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত কিছু জানতে চেয়েছেন কি-না এ প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেছিলেন, এ ব্যাপারে কোন আলোচনা হয়নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ তো আমাদের দলের নিজস্ব ব্যাপার।

বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সম্বন্ধে বিশ্বব্যাপী সবাই অবগত আছে। এখানে নতুন করে বলার কিছু নেই। এসব ব্যাপারে তারা উদ্বিগ্ন।

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দীন বক্তব্য দেন।

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২ , ০৮ বৈশাখ ১৪২৮ ১৯ রমাদ্বান ১৪৪৩

বৈঠক নিয়ে বিএনপির বক্তব্যে অসন্তোষ জার্মান রাষ্ট্রদূতের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৈঠক নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেছেন, দলটি কেন নির্বাচনে অংশ নেয়নি বা নিতে চায় না সেটি বলেছে, এর বেশি কিছু নয়।

গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃতি করে বিএনপির দেয়া বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আখিম।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না জার্মানি। বাংলাদেশের কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আগ্রহ নেই জার্মানির। বিএনপির সঙ্গে আমার যে বৈঠক হয়েছে, সেখানে বিএনপি নেতারা কেন নির্বাচনে অংশ নেয়নি বা নিতে চায় না সেই বিষয়টি আমাকে ব্যাখ্যা করেছে, এর বেশি কিছু না।’

আখিম বলেন, ‘আমাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে, আমি বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। এটা সত্য নয়। এটা যদি আমার কথা হয়ে থাকে, আমি নিজেই আমার কথা বলতে পারি।’

গত ১৭ মার্চ জার্মানির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও ছিলেন। দেড় ঘণ্টার বেশি ওই বৈঠক নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু।

বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনের বিষয় বাদ দিয়ে তো কোন আলোচনা হতে পারে না। কারণ আগামী নির্বাচন প্রশ্নে সবার চোখ বাংলাদেশের দিকে। স্বাভাবিকভাবে তারা জানতে চেয়েছেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে, আগামী নির্বাচনে কী হতে যাচ্ছে? এ ব্যাপারে তাদেরও পর্যবেক্ষণ আছে।

নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত কিছু জানতে চেয়েছেন কি-না এ প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেছিলেন, এ ব্যাপারে কোন আলোচনা হয়নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ তো আমাদের দলের নিজস্ব ব্যাপার।

বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সম্বন্ধে বিশ্বব্যাপী সবাই অবগত আছে। এখানে নতুন করে বলার কিছু নেই। এসব ব্যাপারে তারা উদ্বিগ্ন।

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দীন বক্তব্য দেন।