নিউমার্কেটে সংঘর্ষে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ফখরুলের

একটি ফ্যাসিস্ট সরকার তাকে টিকেই থাকতে হয় ভয় দেখিয়ে। তার ক্ষমতায় থাকার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে গোটা সমাজে, গোটা রাষ্ট্রে সে ভীতি-ত্রাসের সঞ্চার করে। সবাই ভয় পাবে এ রকম একটা অবস্থা তৈরি করা হয়। এই ব্যর্থ, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ত্রাসের সঞ্চার করে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে আছে। নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ বন্ধে পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়’ ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।

গতকাল সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদ, গুম ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের মধ্যে তারেক রহমানের ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বহুবার বলেছি, গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা কথা বলেছে আন্দোলন করেছে। অনেকে সুদূর জেনেভায় পর্যন্ত গেছে হিউম্যান রাইটস কমিশনে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা ঠিক সেভাবে কার্যকারী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি। আজকে এটা প্রমাণিত সত্য বাংলাদেশ গণতন্ত্র নেই। একটা একনায়কতন্ত্র চলছে এবং একটি অবৈধ সরকার জবর দখল করে ক্ষমতায় বসে আছে। গুম-খুন করে, নির্যাতন করে, মানুষকে কারাগারে পাঠিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে।

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বন্ধে পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়’ ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, নিউমার্কেট এলাকায় ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের যে সংঘর্ষ হয়েছে এতে একজনের প্রাণ গেছে এবং কয়েকজন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। আমার প্রশ্ন, পুলিশের যে কর্মকর্তারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেছেন, স্ট্যাটেজিক কারণে আমরা (পুলিশ) নিষ্ক্রিয় ছিলাম।

ফখরুলের প্রশ্ন, সেই স্ট্র্যাটেজিক কারণটা কি দেশে মানুষ নিহত হবে; একটা সমস্যা তৈরি হবে সেটা নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করবে?

তিনি বলেন, কোন স্ট্র্যাটেজিক কারণ থাকে যখন বিএনপির ছোটখাট কর্মসূচিকেও প্রতিরোধ করার জন্য শত শত, হাজার হাজার পুলিশ মুহূর্তের মধ্যে উপস্থিত হয়। গুলি করে বিএনপির মিছিলগুলো স্তব্ধ করে। হত্যা করে বিরোধী দলের বৈধ আন্দোলনকে বন্ধ করতে চায়, এ কথা বলার কোন অপেক্ষা রাখে না এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

মির্জা আলমগীর বলেন, ১৫ বছর আগে দুদকের একটা মামলা (তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে) রিভাইব করা হয়েছে। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের একটি মামলা একইভাবে রিভাইব করা হয়েছে। এখন পুরোপুরি ডাইভারশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে যখন তাদের দুর্নীতির বিষয়গুলো প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে ছদ্মবেশী একদলীয় ব্যবস্থা চলছে। এখন তাদের লক্ষ্য আগামী নির্বাচনকে কি করে আগের মতো তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে, আবার তারা ক্ষমতায় আসবে সেটাই তারা করছে।

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২ , ০৮ বৈশাখ ১৪২৮ ১৯ রমাদ্বান ১৪৪৩

নিউমার্কেটে সংঘর্ষে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ফখরুলের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

একটি ফ্যাসিস্ট সরকার তাকে টিকেই থাকতে হয় ভয় দেখিয়ে। তার ক্ষমতায় থাকার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে গোটা সমাজে, গোটা রাষ্ট্রে সে ভীতি-ত্রাসের সঞ্চার করে। সবাই ভয় পাবে এ রকম একটা অবস্থা তৈরি করা হয়। এই ব্যর্থ, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ত্রাসের সঞ্চার করে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে আছে। নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ বন্ধে পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়’ ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।

গতকাল সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদ, গুম ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের মধ্যে তারেক রহমানের ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বহুবার বলেছি, গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা কথা বলেছে আন্দোলন করেছে। অনেকে সুদূর জেনেভায় পর্যন্ত গেছে হিউম্যান রাইটস কমিশনে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা ঠিক সেভাবে কার্যকারী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি। আজকে এটা প্রমাণিত সত্য বাংলাদেশ গণতন্ত্র নেই। একটা একনায়কতন্ত্র চলছে এবং একটি অবৈধ সরকার জবর দখল করে ক্ষমতায় বসে আছে। গুম-খুন করে, নির্যাতন করে, মানুষকে কারাগারে পাঠিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে।

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বন্ধে পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়’ ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, নিউমার্কেট এলাকায় ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের যে সংঘর্ষ হয়েছে এতে একজনের প্রাণ গেছে এবং কয়েকজন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। আমার প্রশ্ন, পুলিশের যে কর্মকর্তারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেছেন, স্ট্যাটেজিক কারণে আমরা (পুলিশ) নিষ্ক্রিয় ছিলাম।

ফখরুলের প্রশ্ন, সেই স্ট্র্যাটেজিক কারণটা কি দেশে মানুষ নিহত হবে; একটা সমস্যা তৈরি হবে সেটা নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করবে?

তিনি বলেন, কোন স্ট্র্যাটেজিক কারণ থাকে যখন বিএনপির ছোটখাট কর্মসূচিকেও প্রতিরোধ করার জন্য শত শত, হাজার হাজার পুলিশ মুহূর্তের মধ্যে উপস্থিত হয়। গুলি করে বিএনপির মিছিলগুলো স্তব্ধ করে। হত্যা করে বিরোধী দলের বৈধ আন্দোলনকে বন্ধ করতে চায়, এ কথা বলার কোন অপেক্ষা রাখে না এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

মির্জা আলমগীর বলেন, ১৫ বছর আগে দুদকের একটা মামলা (তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে) রিভাইব করা হয়েছে। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের একটি মামলা একইভাবে রিভাইব করা হয়েছে। এখন পুরোপুরি ডাইভারশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে যখন তাদের দুর্নীতির বিষয়গুলো প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে ছদ্মবেশী একদলীয় ব্যবস্থা চলছে। এখন তাদের লক্ষ্য আগামী নির্বাচনকে কি করে আগের মতো তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে, আবার তারা ক্ষমতায় আসবে সেটাই তারা করছে।