পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের মামলা

দুদকের পৃথক ২টি মামলার পর এবার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মামলা করেছেন বাগেরহাটের বহু-বিতর্কিত পৌরসভা মেয়র খান হাবীবুর রহমানের বিরুদ্ধে। জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত ৫টি খেয়াঘাট পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ইজারা প্রদান করার অভিযোগ এনে গত রবিবার বাগেরহাট সদর সহকারী জজ আদালতে এ মামলাটি করেন। ওই আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ড. আতিকুর সামাদ মামলাটি আমলে নিয়ে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার বিবাদী পৌর সভা মেয়র কে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিস দিয়েছে। আদালত সূত্রে বিলম্বে প্রাপ্ত তথ্য মতে প্রকাশ বাগেরহাট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা বাদী হয়ে মামলার আরজীতে বলেন, সদর উপজেলার দড়াটানা, মুন্সীগঞ্জ, ভদ্রপাড়া, সুপারিপট্টি ও দড়াটানা ব্রিজের নিচের খেয়াঘাট জেলা পরিষদের মালিকানায় তালিকাভুক্ত সস্পত্তি। কিন্তু কোন নিয়ম নীতি না মেনে বিগত বছরগুলির প্রতিবছর বাগেরহাট পৌরসভা এ ঘাটগুলো ইজারা দিয়ে আসছে। ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদ থেকে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়রকে এক পত্রে এসব ঘাট পৌরসভা থেকে ইজারা প্রদানে বিরত থাকার কথা বলা হলেও কোন কাজ হয়নি। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ঘাটের ইজারা প্রদান ও টোল আদায় অব্যাহত রাখে। এরইমধ্যে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদ ওই খেয়াঘাটগুলো ইজারা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করে এবং সর্বোচ্চ দরদাতার অনুকূলে ইজারা প্রদান করে। ৩০ মার্চ ইজারাদারকে জেলা পরিষদ সবকিছু বুঝিয়ে দেয়। অথচ গত ৫ এপ্রিল বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবীবুর রহমান দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকায় বেআইনীভাবে ওই খেয়াঘাটগুলো ইজারা দিতে একটি দরপত্র বিজ্ঞাপন প্রকাশ করায়। যা আইনের পরিপন্থী। এতে সরকার তথা জেলা পরিষদ রাজস্ব হারাবে। বিবাদী ক্ষমতাসীন হওয়ায় বাদী উপায়ন্তর না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা বলেন, জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ঘাটগুলো ইজারা দেয়ার পর বেআইনীভাবে বাগেরাহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বান করে। এখন ইজারাদার ও পৌরসভার মধ্যে কোন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে সে জন্য মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পৌরসভার বিরুদ্ধে অর্ন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। জেলা পরিষদের আইনজীবী ফকির নওরেশুজ্জামান লালন বলেন, আদালত আমাদের মামলা আমলে নিয়েছেন। ঘাটগুলো ইজারা দেয়া কেন অবৈধ হবে না তা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পৌরসভাকে জানানোর জন্য শোকজ নোটিস করেছেন। উল্লেখ্য, বাগেরহাট পৌরসভা মেয়র জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খান হাবীবুর রহমান দুদকের পৃথক ২টি মামলায় সম্প্রতি ডাক্তারি সনদে চিকিৎসার জন্য জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে।

শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২ , ০৯ বৈশাখ ১৪২৮ ২০ রমাদ্বান ১৪৪৩

পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের মামলা

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

দুদকের পৃথক ২টি মামলার পর এবার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মামলা করেছেন বাগেরহাটের বহু-বিতর্কিত পৌরসভা মেয়র খান হাবীবুর রহমানের বিরুদ্ধে। জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত ৫টি খেয়াঘাট পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ইজারা প্রদান করার অভিযোগ এনে গত রবিবার বাগেরহাট সদর সহকারী জজ আদালতে এ মামলাটি করেন। ওই আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ড. আতিকুর সামাদ মামলাটি আমলে নিয়ে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার বিবাদী পৌর সভা মেয়র কে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিস দিয়েছে। আদালত সূত্রে বিলম্বে প্রাপ্ত তথ্য মতে প্রকাশ বাগেরহাট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা বাদী হয়ে মামলার আরজীতে বলেন, সদর উপজেলার দড়াটানা, মুন্সীগঞ্জ, ভদ্রপাড়া, সুপারিপট্টি ও দড়াটানা ব্রিজের নিচের খেয়াঘাট জেলা পরিষদের মালিকানায় তালিকাভুক্ত সস্পত্তি। কিন্তু কোন নিয়ম নীতি না মেনে বিগত বছরগুলির প্রতিবছর বাগেরহাট পৌরসভা এ ঘাটগুলো ইজারা দিয়ে আসছে। ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদ থেকে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়রকে এক পত্রে এসব ঘাট পৌরসভা থেকে ইজারা প্রদানে বিরত থাকার কথা বলা হলেও কোন কাজ হয়নি। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ঘাটের ইজারা প্রদান ও টোল আদায় অব্যাহত রাখে। এরইমধ্যে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদ ওই খেয়াঘাটগুলো ইজারা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করে এবং সর্বোচ্চ দরদাতার অনুকূলে ইজারা প্রদান করে। ৩০ মার্চ ইজারাদারকে জেলা পরিষদ সবকিছু বুঝিয়ে দেয়। অথচ গত ৫ এপ্রিল বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবীবুর রহমান দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকায় বেআইনীভাবে ওই খেয়াঘাটগুলো ইজারা দিতে একটি দরপত্র বিজ্ঞাপন প্রকাশ করায়। যা আইনের পরিপন্থী। এতে সরকার তথা জেলা পরিষদ রাজস্ব হারাবে। বিবাদী ক্ষমতাসীন হওয়ায় বাদী উপায়ন্তর না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা বলেন, জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ঘাটগুলো ইজারা দেয়ার পর বেআইনীভাবে বাগেরাহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বান করে। এখন ইজারাদার ও পৌরসভার মধ্যে কোন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে সে জন্য মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পৌরসভার বিরুদ্ধে অর্ন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। জেলা পরিষদের আইনজীবী ফকির নওরেশুজ্জামান লালন বলেন, আদালত আমাদের মামলা আমলে নিয়েছেন। ঘাটগুলো ইজারা দেয়া কেন অবৈধ হবে না তা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পৌরসভাকে জানানোর জন্য শোকজ নোটিস করেছেন। উল্লেখ্য, বাগেরহাট পৌরসভা মেয়র জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খান হাবীবুর রহমান দুদকের পৃথক ২টি মামলায় সম্প্রতি ডাক্তারি সনদে চিকিৎসার জন্য জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে।