ময়মনসিংহের নান্দাইলে আঁতশবাজি (বারুদ) বিস্ফোরণে নাছিমা আক্তার (৩০) ও আফিলা খাতুন (৫০) নামে দুই মহিলা ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। গত বুধবার (২০শে এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশহাটি গ্রামের মৃত চান মিয়ার পুত্র বোরহান উদ্দিনের অবৈধ আঁতশবাজি কারখানায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নিহত নাছিমা আক্তার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বারুইগ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী এবং আফিলা খাতুন দক্ষিণ বাঁশহাটি গ্রামের আব্দুল গণির স্ত্রী।
স্থানীয় ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ বোরহান উদ্দিন লাইসেন্স বিহীন আঁতশবাজির সরঞ্জাম সংরক্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের আঁতশবাজি তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে আসছে। উক্ত কারখানায় জন প্রতি ৫০০ টাকা হাজিরায় ১৪/১৫জন মহিলা নিয়মিত আঁতশবাজির কাজ করে আসছে বলে এলাকাবাসী জানায়। ঠিক প্রতিদিনের মতোই কাজ করতে যায় নাছিমা ও আফিলা খাতুন। একপর্যায়ে ভোর ৬টার দিকে হঠাৎ এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণে দুজনের দেহ চিহ্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং একটি পাকঘরসহ ৪ কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে যায় ও ঘরের দেওয়াল ভেঙে চারপাশে ছিটকে পড়ে। এছাড়া উক্ত ঘরের মাঝখানে পাকা ফ্লোর ডেবে গিয়ে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী আরও জানায়, জনবহুল পল্লিতে এ ধরনের অবৈধ আঁতশবাজির কারখানায় আমরা সবসময় আতঙ্কের মধ্য ছিলাম, আর এখন বাস্তবেই একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেই গেল। এ দিকে কারখানার মালিক বোরহান উদ্দিন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান, গৌরীপুর সার্কেল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান আকন্দসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নব-নির্বাচিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন ভুঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খুবই দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাইসেন্স বিহীন অবৈধভাবে আঁতশবাজি তৈরি করতে গিয়ে এ বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা ঘটনাটির তদন্ত করছি, তদন্ত শেষে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২ , ০৯ বৈশাখ ১৪২৮ ২০ রমাদ্বান ১৪৪৩
প্রতিনিধি, নান্দাইল (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের নান্দাইলে আঁতশবাজি (বারুদ) বিস্ফোরণে নাছিমা আক্তার (৩০) ও আফিলা খাতুন (৫০) নামে দুই মহিলা ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। গত বুধবার (২০শে এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশহাটি গ্রামের মৃত চান মিয়ার পুত্র বোরহান উদ্দিনের অবৈধ আঁতশবাজি কারখানায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নিহত নাছিমা আক্তার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বারুইগ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী এবং আফিলা খাতুন দক্ষিণ বাঁশহাটি গ্রামের আব্দুল গণির স্ত্রী।
স্থানীয় ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ বোরহান উদ্দিন লাইসেন্স বিহীন আঁতশবাজির সরঞ্জাম সংরক্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের আঁতশবাজি তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে আসছে। উক্ত কারখানায় জন প্রতি ৫০০ টাকা হাজিরায় ১৪/১৫জন মহিলা নিয়মিত আঁতশবাজির কাজ করে আসছে বলে এলাকাবাসী জানায়। ঠিক প্রতিদিনের মতোই কাজ করতে যায় নাছিমা ও আফিলা খাতুন। একপর্যায়ে ভোর ৬টার দিকে হঠাৎ এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণে দুজনের দেহ চিহ্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং একটি পাকঘরসহ ৪ কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে যায় ও ঘরের দেওয়াল ভেঙে চারপাশে ছিটকে পড়ে। এছাড়া উক্ত ঘরের মাঝখানে পাকা ফ্লোর ডেবে গিয়ে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী আরও জানায়, জনবহুল পল্লিতে এ ধরনের অবৈধ আঁতশবাজির কারখানায় আমরা সবসময় আতঙ্কের মধ্য ছিলাম, আর এখন বাস্তবেই একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেই গেল। এ দিকে কারখানার মালিক বোরহান উদ্দিন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান, গৌরীপুর সার্কেল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান আকন্দসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নব-নির্বাচিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন ভুঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খুবই দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাইসেন্স বিহীন অবৈধভাবে আঁতশবাজি তৈরি করতে গিয়ে এ বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা ঘটনাটির তদন্ত করছি, তদন্ত শেষে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।