চিকিৎসক নন কিন্তু টেলি-মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন

একাধিক বিশিষ্ট চিকিৎসকের নামে ফেইসবুকে প্রতারণা

চিকিৎসক না হয়েও গত ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে টেলি-মেডিসিন চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন রাজশাহীর একটি বেসরকারি মেডিকেল ও নার্সিং কলেজের দুই শিক্ষার্থী। তাদের পরামর্শে ওষুধ সেবন করে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক রোগী। দীর্ঘদিন ধরে খ্যাতনামা বিভিন্ন চিকিৎসকদের নাম পরিচয় ব্যবহার করে ওই দুই শিক্ষার্থী চিকিৎসা দেয়ার কারণে অসুস্থ রোগীদের কাছে প্রকৃত চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি সংকটে পড়তে শুরু করে। পরে ঘটনার অনুসন্ধানে নামলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। ঘটনায় মামলা হলে তদন্তে নেমে প্রতারক চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জুনায়েদ আলম সরকারের তত্ত্বাবধানে ভুয়া চিকিৎসক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করার পর বেরিয়ে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবার প্রতিষ্ঠান ইডব্লিউ ভিলা মেডিকা। এ প্রতিষ্ঠানের চিফ লিগ্যাল অফিসার মো. আবু সাইদ জানতে পারেন ইডব্লিউ ভিলা মেডিকা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে টেলি-মেডিসিন সেবার মাধ্যমে প্রতারণা করছেন। ঘটনায় তিনি একটি মামলা করেন। মামলার সূত্র ধরে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ তদন্তে নামে। তারা ১৩ ফেইসবুক পেজ পায় বিভিন্ন চিকিৎসকদের নামে। পরে যাচাই করে দেখা যায় যেসব চিকিৎসকদের নামে ওই ফেইসবুক পেজগুলো সচল রয়েছে সেগুলো সংশ্লিষ্ট চিকিৎসরা খোলেননি।

ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জুনায়েদ আলম সরকারের তত্ত্বাবধানে এডিসি মনিরুল ইসলাম তদন্ত করে জানতে পারেন মূলত একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিজেদের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের নামে পরিচয় ব্যবহার করে এ প্রতারণা করছে। প্রতারক চক্র টেলিমিসিডিসে রোগী দেখার নামে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা নিয়ে নিচ্ছে। চক্রটি ২ বছরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তদন্ত করে রাজশাহীর মহানগরের শাহ মখদুম এলাকা থেকে মো. রাশেদ হোসেন প্রান্ত এবং মোসা. মৌসুমী খাতুনকে গ্রেপ্তার করে।

ডিবি জানিয়েছে, মো. রাশেদ হোসেন প্রান্ত ও মোসা. মৌসুমী খাতুন সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তারা। একজন নার্সিং বিভাগে আরেকজন চিকিৎসা বিষয়ে পড়াশুনা করছেন। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী হওয়ার সুবাধে খ্যাতনামা চিকিৎসকদের নামে ফেইসবুক পেজ খুলে নিজেরাই টেলি-মেডিসিনে চিকিৎসাসেবা দিতে শুরু করে। পুরোপুরি চিকিৎসক না হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নাম পদবি ব্যবহার করে নির্বিগ্নে চিকিসাসেবা দিয়ে ২ বছরে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

ডিবির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জুনায়েদ আলম সরকার জানান, ইডব্লিউ ভিলা মেডিকা নামক প্রতিষ্ঠানের একজন চিকিৎসকের নাম পরিচয় ব্যবহার করে প্রান্ত ও মৌসুমী দম্পতি চিকিৎসার নামে প্রতারতণার বিষয়টি তদন্ত শুরু করেন তারা। তদন্ত করে তারা জানতে পারেন শুধু ইডব্লিউ ভিলার ওই চিকিৎসকই নয় অন্যান্য যেসব হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক আছেন এমন চকিৎসকদের নাম পদবি ও পরিচয় ববহার করে প্রান্ত-মৌসুমী দম্পতি প্রতারণা করতেন। এরা চর্ম ও যৌন রোগের চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে সেসব রোগী বেশি দেখতেন। প্রতারণার মাধ্যমে তারা প্রতিদিন প্রতিটি রোগীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে ফি নিতেন। প্রতিদিন তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে শতাধিক রোগীকে প্রেসক্রিপশন দিতেন। এভাবে তারা গত ২ বছরে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

তদন্ত করে জানতে পেরেছেন, প্রান্ত মৌসুমী দম্পতি ডা. তাসনিম খানের নামে ৪টি ফেইসবুক আইডি, ডা. হুমাইরা হিমির নামে ২টি ফেইসবুক আইডি, ডা. মার্জিনা সুষমার নামে ৩টি ফেইসবুক আইডি, ডা. আরশিয়া, ডা. সানজিদা ইসলাম, ডা. নাসিফা তাসনিম এবং ডা. আলভি রহমানের নামে ফেইসবুক আইডি খুলে নিজেরাই সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদের নাম পদবি পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিতেন। এরা চর্ম ও যৌন রোগীদের বেশি টার্গেট করতেন। চর্ম ও যৌন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিতেন। প্রান্ত ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ম বর্ষের ছাত্র। আর তার স্ত্রী মৌসুমী খানম ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্রী।

ইডব্লিউ ভিলা মেডিকেয়ারের কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আলম জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের চর্ম ও যৌন রোগের চিকিৎসক ডা. নাসিমা তাসনিম খানের একটি নামে একপি প্রেসক্রিপশন নিয়ে একজন রোগী আসেন। তিনি টেলিমেডিশিনে ১ হাজার টাকা ফি দিয়ে পরামর্শ নেন। পরবর্তীতে চিকিৎসার প্রয়োজনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে না পেয়ে ধানমন্ডির শোবহানবাগে সরাসরি আসেন। কিন্তু আমরা প্রেসক্রিপশন দেখে বুঝতে পারি এটি নকল। পরে সেখানে থাকা মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে আমরা ফেইসবুক পেজ পাই। যেখানে আসমা তাসনিম খানের নামে ফেইসবুক আইডি ছিল। পরে আমরা এ বিষয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করি। তিনি বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ছাড়াও অন্যান্য বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসাসেবা দেয়া অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নাম পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারক চক্র চিকিৎসাসেবা দিত। বিষয়টি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর বা বড় ধরনের অসুবিধা হবে এবং চিকিৎসক ও প্রতিষ্ঠানের বদনাম হবে ভেবে আমরা মামলা করি।

শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২ , ০৯ বৈশাখ ১৪২৮ ২০ রমাদ্বান ১৪৪৩

চিকিৎসক নন কিন্তু টেলি-মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন

একাধিক বিশিষ্ট চিকিৎসকের নামে ফেইসবুকে প্রতারণা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

চিকিৎসক না হয়েও গত ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে টেলি-মেডিসিন চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন রাজশাহীর একটি বেসরকারি মেডিকেল ও নার্সিং কলেজের দুই শিক্ষার্থী। তাদের পরামর্শে ওষুধ সেবন করে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক রোগী। দীর্ঘদিন ধরে খ্যাতনামা বিভিন্ন চিকিৎসকদের নাম পরিচয় ব্যবহার করে ওই দুই শিক্ষার্থী চিকিৎসা দেয়ার কারণে অসুস্থ রোগীদের কাছে প্রকৃত চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি সংকটে পড়তে শুরু করে। পরে ঘটনার অনুসন্ধানে নামলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। ঘটনায় মামলা হলে তদন্তে নেমে প্রতারক চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জুনায়েদ আলম সরকারের তত্ত্বাবধানে ভুয়া চিকিৎসক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করার পর বেরিয়ে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবার প্রতিষ্ঠান ইডব্লিউ ভিলা মেডিকা। এ প্রতিষ্ঠানের চিফ লিগ্যাল অফিসার মো. আবু সাইদ জানতে পারেন ইডব্লিউ ভিলা মেডিকা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে টেলি-মেডিসিন সেবার মাধ্যমে প্রতারণা করছেন। ঘটনায় তিনি একটি মামলা করেন। মামলার সূত্র ধরে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ তদন্তে নামে। তারা ১৩ ফেইসবুক পেজ পায় বিভিন্ন চিকিৎসকদের নামে। পরে যাচাই করে দেখা যায় যেসব চিকিৎসকদের নামে ওই ফেইসবুক পেজগুলো সচল রয়েছে সেগুলো সংশ্লিষ্ট চিকিৎসরা খোলেননি।

ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জুনায়েদ আলম সরকারের তত্ত্বাবধানে এডিসি মনিরুল ইসলাম তদন্ত করে জানতে পারেন মূলত একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিজেদের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের নামে পরিচয় ব্যবহার করে এ প্রতারণা করছে। প্রতারক চক্র টেলিমিসিডিসে রোগী দেখার নামে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা নিয়ে নিচ্ছে। চক্রটি ২ বছরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তদন্ত করে রাজশাহীর মহানগরের শাহ মখদুম এলাকা থেকে মো. রাশেদ হোসেন প্রান্ত এবং মোসা. মৌসুমী খাতুনকে গ্রেপ্তার করে।

ডিবি জানিয়েছে, মো. রাশেদ হোসেন প্রান্ত ও মোসা. মৌসুমী খাতুন সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তারা। একজন নার্সিং বিভাগে আরেকজন চিকিৎসা বিষয়ে পড়াশুনা করছেন। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী হওয়ার সুবাধে খ্যাতনামা চিকিৎসকদের নামে ফেইসবুক পেজ খুলে নিজেরাই টেলি-মেডিসিনে চিকিৎসাসেবা দিতে শুরু করে। পুরোপুরি চিকিৎসক না হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নাম পদবি ব্যবহার করে নির্বিগ্নে চিকিসাসেবা দিয়ে ২ বছরে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

ডিবির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জুনায়েদ আলম সরকার জানান, ইডব্লিউ ভিলা মেডিকা নামক প্রতিষ্ঠানের একজন চিকিৎসকের নাম পরিচয় ব্যবহার করে প্রান্ত ও মৌসুমী দম্পতি চিকিৎসার নামে প্রতারতণার বিষয়টি তদন্ত শুরু করেন তারা। তদন্ত করে তারা জানতে পারেন শুধু ইডব্লিউ ভিলার ওই চিকিৎসকই নয় অন্যান্য যেসব হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক আছেন এমন চকিৎসকদের নাম পদবি ও পরিচয় ববহার করে প্রান্ত-মৌসুমী দম্পতি প্রতারণা করতেন। এরা চর্ম ও যৌন রোগের চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে সেসব রোগী বেশি দেখতেন। প্রতারণার মাধ্যমে তারা প্রতিদিন প্রতিটি রোগীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে ফি নিতেন। প্রতিদিন তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে শতাধিক রোগীকে প্রেসক্রিপশন দিতেন। এভাবে তারা গত ২ বছরে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

তদন্ত করে জানতে পেরেছেন, প্রান্ত মৌসুমী দম্পতি ডা. তাসনিম খানের নামে ৪টি ফেইসবুক আইডি, ডা. হুমাইরা হিমির নামে ২টি ফেইসবুক আইডি, ডা. মার্জিনা সুষমার নামে ৩টি ফেইসবুক আইডি, ডা. আরশিয়া, ডা. সানজিদা ইসলাম, ডা. নাসিফা তাসনিম এবং ডা. আলভি রহমানের নামে ফেইসবুক আইডি খুলে নিজেরাই সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদের নাম পদবি পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিতেন। এরা চর্ম ও যৌন রোগীদের বেশি টার্গেট করতেন। চর্ম ও যৌন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিতেন। প্রান্ত ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ম বর্ষের ছাত্র। আর তার স্ত্রী মৌসুমী খানম ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্রী।

ইডব্লিউ ভিলা মেডিকেয়ারের কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আলম জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের চর্ম ও যৌন রোগের চিকিৎসক ডা. নাসিমা তাসনিম খানের একটি নামে একপি প্রেসক্রিপশন নিয়ে একজন রোগী আসেন। তিনি টেলিমেডিশিনে ১ হাজার টাকা ফি দিয়ে পরামর্শ নেন। পরবর্তীতে চিকিৎসার প্রয়োজনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে না পেয়ে ধানমন্ডির শোবহানবাগে সরাসরি আসেন। কিন্তু আমরা প্রেসক্রিপশন দেখে বুঝতে পারি এটি নকল। পরে সেখানে থাকা মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে আমরা ফেইসবুক পেজ পাই। যেখানে আসমা তাসনিম খানের নামে ফেইসবুক আইডি ছিল। পরে আমরা এ বিষয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করি। তিনি বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ছাড়াও অন্যান্য বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসাসেবা দেয়া অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নাম পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারক চক্র চিকিৎসাসেবা দিত। বিষয়টি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর বা বড় ধরনের অসুবিধা হবে এবং চিকিৎসক ও প্রতিষ্ঠানের বদনাম হবে ভেবে আমরা মামলা করি।