অবৈধ সম্পদ অর্জন : রাজউকের ছফিরের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজউকের সাবেক সিবিএ নেতা মো. ছফির উদ্দিনের স্ত্রী নাছিমা আক্তার সীমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপনের অপরাধে রাজউকের সাবেক সিবিএ নেতা মো. ছফির উদ্দিন আকন্দের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৯ জুলাই মামলা করে দুদক। এরপর তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ছফির উদ্দিন মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

অন্যদিকে ওই সময় তার স্ত্রী আসামি নাছিমা আক্তার সীমার নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সম্পদ বিবরণী নোটিশ দেয়া হয়েছিল। তিনি ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, নাছিমা আক্তার তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ নামে ৩০ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টাকার স্থাবর ও ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার অস্থাবরসহ মোট ৪৮ লাখ ১ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে ১ কোটি ১৪ হাজার ৪৪ হাজার ১৩৬ টাকা সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। যা তার ঘোষণা করা সম্পদের তুলনায় ৬৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৩৬ টাকা বেশি। অর্থাৎ তিনি সম্পদ বিবরণীতে গোপন বা মিথ্যা বিবরণ দিয়েছেন। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এছাড়া নাছিমা আক্তার সীমার ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যায় দুদকের অনুসন্ধানে। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২ , ০৯ বৈশাখ ১৪২৮ ২০ রমাদ্বান ১৪৪৩

অবৈধ সম্পদ অর্জন : রাজউকের ছফিরের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজউকের সাবেক সিবিএ নেতা মো. ছফির উদ্দিনের স্ত্রী নাছিমা আক্তার সীমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপনের অপরাধে রাজউকের সাবেক সিবিএ নেতা মো. ছফির উদ্দিন আকন্দের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৯ জুলাই মামলা করে দুদক। এরপর তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ছফির উদ্দিন মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

অন্যদিকে ওই সময় তার স্ত্রী আসামি নাছিমা আক্তার সীমার নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সম্পদ বিবরণী নোটিশ দেয়া হয়েছিল। তিনি ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, নাছিমা আক্তার তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ নামে ৩০ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টাকার স্থাবর ও ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার অস্থাবরসহ মোট ৪৮ লাখ ১ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে ১ কোটি ১৪ হাজার ৪৪ হাজার ১৩৬ টাকা সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। যা তার ঘোষণা করা সম্পদের তুলনায় ৬৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৩৬ টাকা বেশি। অর্থাৎ তিনি সম্পদ বিবরণীতে গোপন বা মিথ্যা বিবরণ দিয়েছেন। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এছাড়া নাছিমা আক্তার সীমার ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যায় দুদকের অনুসন্ধানে। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।