বাঁকখালী নদীর তীরে বালু মহালের গর্তে পড়ে ২ বোনের মৃত্যু

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বাঁকখালী নদীর তীরে বালু মহালের গর্তে পড়ে একই পরিবারের ২ বোনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফতেখারকুল লম্বরী ঘাট সংলগ্ন বাঁকখালী নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে। শিশু ২ জন ফতেখারকুল ইউনিয়নের খন্দকারপাড়ার বাসিন্দা আবদুল করিমের মেয়ে। তাদের নাম তাসফিয়া নুর জোফা (৯) ও জান্নাতুল মাওয়া (৫)। এরা দুজনই রামু কেন্দ্রীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাসফিয়া ৩য় শ্রেণীতে এবং জান্নাতুল মাওয়া শিশু শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছিল।

বাঁকখালী নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। যার কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে পড়ে এ ধরনের দুর্ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

ওই দুই শিশুর বাবা আবদুল করিম জানান, গতকাল সকাল ১০টার দিকে তার মেয়েসহ পাশর্^বর্তী আরও কয়েকজন শিশু গরুর জন্য ঘাস আনতে বাঁকখালীর চরে যায়। কেটে নেওয়া ঘাস বাঁকখালী নদীর পানিতে ধোয়ার জন্য গেলে ৪ জন শিশু পানিতে পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, ৪ শিশুর নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে এলাকাবাসী নদীতে উদ্ধারে নেমে পড়ে। এক পর্যায়ে ২ শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নিখোঁজ হয় আরও ২ শিশু। বেলা ১২টার দিকে তাসফিয়া এবং বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জান্নাতুল মাওয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী।

খবর পেয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো ঘটনাস্থলে যান। এলাকাবাসী জানান, আবদুল করিম দম্পতি ২ কন্যা শিশু হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। শিশু দুটির শোকে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন বাবা-মাসহ স্বজনরা। এ নিয়ে পুরো এলাকায় বিরাজ করছে শোকাবহ পরিবেশ।

এ বিষয়ে জানতে রামু সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিগ?্যান চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার ফতেখারকুল লম্বরী ঘাট সংলগ্ন বাঁকখালী নদীর তীরে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ২১ রমাদ্বান ১৪৪৩

বাঁকখালী নদীর তীরে বালু মহালের গর্তে পড়ে ২ বোনের মৃত্যু

প্রতিনিধি, কক্সবাজার

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বাঁকখালী নদীর তীরে বালু মহালের গর্তে পড়ে একই পরিবারের ২ বোনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফতেখারকুল লম্বরী ঘাট সংলগ্ন বাঁকখালী নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে। শিশু ২ জন ফতেখারকুল ইউনিয়নের খন্দকারপাড়ার বাসিন্দা আবদুল করিমের মেয়ে। তাদের নাম তাসফিয়া নুর জোফা (৯) ও জান্নাতুল মাওয়া (৫)। এরা দুজনই রামু কেন্দ্রীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাসফিয়া ৩য় শ্রেণীতে এবং জান্নাতুল মাওয়া শিশু শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছিল।

বাঁকখালী নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। যার কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে পড়ে এ ধরনের দুর্ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

ওই দুই শিশুর বাবা আবদুল করিম জানান, গতকাল সকাল ১০টার দিকে তার মেয়েসহ পাশর্^বর্তী আরও কয়েকজন শিশু গরুর জন্য ঘাস আনতে বাঁকখালীর চরে যায়। কেটে নেওয়া ঘাস বাঁকখালী নদীর পানিতে ধোয়ার জন্য গেলে ৪ জন শিশু পানিতে পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, ৪ শিশুর নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে এলাকাবাসী নদীতে উদ্ধারে নেমে পড়ে। এক পর্যায়ে ২ শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নিখোঁজ হয় আরও ২ শিশু। বেলা ১২টার দিকে তাসফিয়া এবং বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জান্নাতুল মাওয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী।

খবর পেয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো ঘটনাস্থলে যান। এলাকাবাসী জানান, আবদুল করিম দম্পতি ২ কন্যা শিশু হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। শিশু দুটির শোকে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন বাবা-মাসহ স্বজনরা। এ নিয়ে পুরো এলাকায় বিরাজ করছে শোকাবহ পরিবেশ।

এ বিষয়ে জানতে রামু সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিগ?্যান চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার ফতেখারকুল লম্বরী ঘাট সংলগ্ন বাঁকখালী নদীর তীরে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।