আজ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি, আগেই কমলাপুরে যাত্রীর চাপ

ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকেট বিক্রি আজ থেকে শুরু হবে। তবে আনুষ্ঠানিক টিকেট বিক্রি শুরুর আগের দিনেই কমলাপুর রেল স্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশীরা ভিড় করেছেন। কাউন্টারের সামনে যেন যাত্রীদের তিল ধারণের ঠাঁই নেই। প্রতিটি কাউন্টারের সামনে থেকে টিকেটপ্রত্যাশীদের সারি এঁকে-বেঁকে চলে গেছে স্টেশনের বাইরে পর্যন্ত।

গতকাল কাউন্টার থেকে বিক্রি হচ্ছে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ট্রেনের টিকেট। আর এ টিকেট পেতেই সকাল থেকে কমলাপুরের লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকেটপ্রত্যাশীরা। এ ভিড় সকাল থেকে প্রচ- আকার ধারণ করলেও দুপুরের দিকে কিছুটা কমতে শুরু করে।

গত ১৩ এপ্রিল রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ‘৩ মে’ ধরে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। ২৭ এপ্রিলের টিকেট দেয়া হবে ২৩ এপ্রিল। এভাবে ২৮ এপ্রিলের টিকেট ২৪ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিলের টিকেট ২৫ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিলের টিকেট ২৬ এপ্রিল এবং ১ মের টিকেট ২৭ এপ্রিল বিক্রি করা হবে।

সে অনুযায়ী আজ ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল থেকেই কমলাপুরে টিকেটপ্রত্যাশীদের অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ২৬ তারিখের রাজশাহীগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট কাটতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘জানি ২৭ তারিখের অগ্রিম টিকেটের জন্য কাল (শনিবার) কমলাপুরে প্রচ- ভিড় হবে। তাই ভেবেছিলাম একদিন আগের টিকেট কেটে চলে যাব, সেক্ষেত্রে ভিড় তেমন একটা হবে না। কিন্তু সকালে কমলাপুরে এসে দেখি প্রচ- ভিড়। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। লাইনে এত দূর দাঁড়িয়েছি আমার সিরিয়াল আসতে আসতে মনে হচ্ছে না আর টিকেট পাব।’

পাশের সারিতে দাঁড়ানো জুবায়ের আহমেদ ২৬ তারিখের নীলসাগর ট্রেনের টিকেটপ্রত্যাশী। তিনি বলেন, ‘দিনাজপুরের টিকেট কাটতে সকালে কমলাপুর এসে দেখি হাজার হাজার মানুষ। ভিড় এত বেশি যে লাইন বাইরের দিকে পর্যন্ত চলে গেছে। ছোট ভাইকে অনলাইনে টিকেট কাটার চেষ্টা করতে বলেছি। আমি সশরীরে কাউন্টারে এসেছি। ছোট ভাই অনলাইনে টিকেট পায়নি। আমি এখনও লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। জানি না কাউন্টার থেকে টিকেট পাব কি-না।’

জানতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘কাউন্টারগুলোতে টিকেটপ্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি। আজ ঈদের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরুর আগের দিন। অনেকে ভোগান্তি এড়াতে একদিন আগের টিকেট কাটতে এসেছে। ফলে ভিড় দেখা দিয়েছে। শনিবার থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রির সব প্রস্তুতি আমরা শেষ করেছি। আশা করছি সুষ্ঠু, সুন্দর পরিবেশে ও সুশৃঙ্খলভাবে টিকেট বিক্রি শুরু করতে পারব। অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টারে ৫০ শতাংশ টিকেট বিক্রি হবে।’

শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ২১ রমাদ্বান ১৪৪৩

আজ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি, আগেই কমলাপুরে যাত্রীর চাপ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকেট বিক্রি আজ থেকে শুরু হবে। তবে আনুষ্ঠানিক টিকেট বিক্রি শুরুর আগের দিনেই কমলাপুর রেল স্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশীরা ভিড় করেছেন। কাউন্টারের সামনে যেন যাত্রীদের তিল ধারণের ঠাঁই নেই। প্রতিটি কাউন্টারের সামনে থেকে টিকেটপ্রত্যাশীদের সারি এঁকে-বেঁকে চলে গেছে স্টেশনের বাইরে পর্যন্ত।

গতকাল কাউন্টার থেকে বিক্রি হচ্ছে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ট্রেনের টিকেট। আর এ টিকেট পেতেই সকাল থেকে কমলাপুরের লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকেটপ্রত্যাশীরা। এ ভিড় সকাল থেকে প্রচ- আকার ধারণ করলেও দুপুরের দিকে কিছুটা কমতে শুরু করে।

গত ১৩ এপ্রিল রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ‘৩ মে’ ধরে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। ২৭ এপ্রিলের টিকেট দেয়া হবে ২৩ এপ্রিল। এভাবে ২৮ এপ্রিলের টিকেট ২৪ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিলের টিকেট ২৫ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিলের টিকেট ২৬ এপ্রিল এবং ১ মের টিকেট ২৭ এপ্রিল বিক্রি করা হবে।

সে অনুযায়ী আজ ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল থেকেই কমলাপুরে টিকেটপ্রত্যাশীদের অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ২৬ তারিখের রাজশাহীগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট কাটতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘জানি ২৭ তারিখের অগ্রিম টিকেটের জন্য কাল (শনিবার) কমলাপুরে প্রচ- ভিড় হবে। তাই ভেবেছিলাম একদিন আগের টিকেট কেটে চলে যাব, সেক্ষেত্রে ভিড় তেমন একটা হবে না। কিন্তু সকালে কমলাপুরে এসে দেখি প্রচ- ভিড়। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। লাইনে এত দূর দাঁড়িয়েছি আমার সিরিয়াল আসতে আসতে মনে হচ্ছে না আর টিকেট পাব।’

পাশের সারিতে দাঁড়ানো জুবায়ের আহমেদ ২৬ তারিখের নীলসাগর ট্রেনের টিকেটপ্রত্যাশী। তিনি বলেন, ‘দিনাজপুরের টিকেট কাটতে সকালে কমলাপুর এসে দেখি হাজার হাজার মানুষ। ভিড় এত বেশি যে লাইন বাইরের দিকে পর্যন্ত চলে গেছে। ছোট ভাইকে অনলাইনে টিকেট কাটার চেষ্টা করতে বলেছি। আমি সশরীরে কাউন্টারে এসেছি। ছোট ভাই অনলাইনে টিকেট পায়নি। আমি এখনও লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। জানি না কাউন্টার থেকে টিকেট পাব কি-না।’

জানতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘কাউন্টারগুলোতে টিকেটপ্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি। আজ ঈদের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরুর আগের দিন। অনেকে ভোগান্তি এড়াতে একদিন আগের টিকেট কাটতে এসেছে। ফলে ভিড় দেখা দিয়েছে। শনিবার থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রির সব প্রস্তুতি আমরা শেষ করেছি। আশা করছি সুষ্ঠু, সুন্দর পরিবেশে ও সুশৃঙ্খলভাবে টিকেট বিক্রি শুরু করতে পারব। অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টারে ৫০ শতাংশ টিকেট বিক্রি হবে।’